ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলার বাজারে পাওয়া যাচ্ছেনা বোতলজাত সয়াবিন তেল চরম দুর্ভোগে ক্রেতারা

ভোলার বাজারে পাওয়া যাচ্ছেনা বোতলজাত সয়াবিন তেল। ঈদুল ফিতরের পর থেকেই জেলা সদরের কোন মুদির দোকানে বোতলজাত এ ভোজ্যতেলটি যেন বাজার থেকে হাওয়া হয়ে গেছে। কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। বাজারে খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও দাম আকাশচুম্বি।
এমন অভিযোগ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজার থেকে হাওয়া হয়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে পারছেন না। অনেক ক্রেতা আবার বাধ্য হয়ে বেশী দামে খোলা সয়াবিন তেল কিনছেন। এতে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ভোলা শহরের হাসপাতাল রোড এলাকার বাসিন্দা কালীকির্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির সাজওয়াল বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল ভোলার বাজারে কোথাও পাচ্ছিনা। তাই বাধ্য হয়ে আমি খোলা সয়াবিন তেল কিনেছি। তাও আবার দাম বেশী।
তিনি আরও বলেন, খোলা এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ২১০ টাকা। এখন দেখছি বোতলজাত সয়াবিন তেলের চেয়ে খোলা সয়াবিন তেলের দাম আরও বেশী।
ভোলা সদর উপজেলার সদর রোড, নতুন বাজার ও যুগিরঘোল এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরেও বোতলজাত সয়াবিন তেল কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। দোকানিরা চড়া দামে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে যুগিরঘোল এলাকার মুদি দোকানী নান্টু বিশ্বাস বলেন, আমাদের দোকানে এখন আর বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। খোলা সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে। রোববার খোলা সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি করেছি ২১০ টাকা দরে। তিনি আরও বলেন, এখন ভোলার বাজারে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও আমার চেয়েও বেশী দামে বিক্রি করছেন।

এ বিষয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মোবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরী ভোলার বাণী’কে বলেন, ‘অতি মুনাফার আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। তেমনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে এ ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট দেখা দেয়। আসলে কোনো সংকট নেই।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজিত হাওলাদার রোববার ভোলার বাণী’কে বলেন, কালকে থেকেই (সোমবার থেকে) আমরা এ ব্যপারে ব্যবস্থা নেবো।

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে

ভোলার বাজারে পাওয়া যাচ্ছেনা বোতলজাত সয়াবিন তেল চরম দুর্ভোগে ক্রেতারা

প্রকাশিত সময় :- ১২:৪২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২

ভোলার বাজারে পাওয়া যাচ্ছেনা বোতলজাত সয়াবিন তেল। ঈদুল ফিতরের পর থেকেই জেলা সদরের কোন মুদির দোকানে বোতলজাত এ ভোজ্যতেলটি যেন বাজার থেকে হাওয়া হয়ে গেছে। কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। বাজারে খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও দাম আকাশচুম্বি।
এমন অভিযোগ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজার থেকে হাওয়া হয়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে পারছেন না। অনেক ক্রেতা আবার বাধ্য হয়ে বেশী দামে খোলা সয়াবিন তেল কিনছেন। এতে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ভোলা শহরের হাসপাতাল রোড এলাকার বাসিন্দা কালীকির্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির সাজওয়াল বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল ভোলার বাজারে কোথাও পাচ্ছিনা। তাই বাধ্য হয়ে আমি খোলা সয়াবিন তেল কিনেছি। তাও আবার দাম বেশী।
তিনি আরও বলেন, খোলা এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ২১০ টাকা। এখন দেখছি বোতলজাত সয়াবিন তেলের চেয়ে খোলা সয়াবিন তেলের দাম আরও বেশী।
ভোলা সদর উপজেলার সদর রোড, নতুন বাজার ও যুগিরঘোল এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরেও বোতলজাত সয়াবিন তেল কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। দোকানিরা চড়া দামে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে যুগিরঘোল এলাকার মুদি দোকানী নান্টু বিশ্বাস বলেন, আমাদের দোকানে এখন আর বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। খোলা সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে। রোববার খোলা সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি করেছি ২১০ টাকা দরে। তিনি আরও বলেন, এখন ভোলার বাজারে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও আমার চেয়েও বেশী দামে বিক্রি করছেন।

এ বিষয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মোবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরী ভোলার বাণী’কে বলেন, ‘অতি মুনাফার আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। তেমনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে এ ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট দেখা দেয়। আসলে কোনো সংকট নেই।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজিত হাওলাদার রোববার ভোলার বাণী’কে বলেন, কালকে থেকেই (সোমবার থেকে) আমরা এ ব্যপারে ব্যবস্থা নেবো।