ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভয়াবহ দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর ভারতের সেই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১২:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
  • ৩১৩ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

ভয়াবহ দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পরে প্রথম ট্রেন চলল ভারতের ওড়িশার বালাসোরের বাহানগা রেল স্টেশনের লাইনে। প্রথমে ডাউন লাইন দিয়ে একটি মালবাহী ট্রেন বেরিয়ে যায়। ওই সময় ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবসহ একাধিক কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই ডাউন লাইন দিয়ে ওই মালবাহী ট্রেন যাওয়ার পর মালবাহী ট্রেনের উদ্দেশে হাত নাড়েন রেলমন্ত্রী। ওই সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকেও ধন্যবাদ জানাতে দেখা যায় তাকে।

যে লাইনের সামনে দাঁড়িয়ে রোববার রাতে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান রেলমন্ত্রী, সেই লাইনেই শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দিন বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আকরিক লোহা বোঝাই মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা মেরেছিল আপ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যে ট্রেন ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে ছুটে যাচ্ছিল। মালবাহী ট্রেনের আকরিক লোহা ও করমণ্ডলের প্রবল গতির জেরে দুর্ঘটনার অভিঘাত ভয়াবহ হয়। লাইনচ্যুত হয়ে যায় চেন্নাইগামী করমণ্ডলের এক্সপ্রেসের ২১টি কোচ। কয়েকটি ছিটকে গিয়ে অন্য লাইনে পড়ে।

যে লাইনে ততক্ষণে চলে আসে ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোচে ধাক্কা মারে সেই ট্রেন। কয়েকটি কোচ লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তার জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়। দুমড়ে-মুচড়ে যায় একাধিক কোচ। দুর্ঘটনা এতটাই বেশি ছিল যে প্রায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন ১১ শর বেশি মানুষ। তারা ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে ভরতি আছেন।

চারিদিকে সেই হাহাকার, আর্তনাদ, কান্নার মধ্যেই শনিবার দুপুর থেকে লাইনের কাজ শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক হাজার শ্রমিক কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। সকালে প্রথমে ডাউন লাইন ঠিক করা হয়। সন্ধ্যার দিকে আপ লাইনও ঠিক করে ফেলেন শ্রমিকরা। তারপর রাত ১০টা নাগাদ ডাউন লাইনে মালবাহী ট্রেন চালিয়ে ট্রায়াল দেওয়া হয়। ওই মালবাহী ট্রেন যাওয়ার পরেই হাত নাড়তে থাকেন রেলমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সবাই খুব ভালো কাজ করেছেন। পুরো টিম খুব ভালো কাজ করেছে। যা হয়েছে, সেজন্য আমরা দুঃখিত। যারা পরিজনদের হারিয়েছেন, তাদের জন্য শোকাহত আমরা। কিন্তু আমাদের দুর্ঘটনার মূল কারণে পৌঁছাতে হবে। দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে। আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন। যে দ্রুততার সঙ্গে আপনারা কাজ করেছেন, সেজন্য পুরো টিমকে ধন্যবাদ।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ঈদের পর কত দিনের মধ্যে ছয় রোজা রাখতে হয়?

ভয়াবহ দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর ভারতের সেই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু

প্রকাশিত সময় :- ১২:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

ভয়াবহ দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পরে প্রথম ট্রেন চলল ভারতের ওড়িশার বালাসোরের বাহানগা রেল স্টেশনের লাইনে। প্রথমে ডাউন লাইন দিয়ে একটি মালবাহী ট্রেন বেরিয়ে যায়। ওই সময় ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবসহ একাধিক কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই ডাউন লাইন দিয়ে ওই মালবাহী ট্রেন যাওয়ার পর মালবাহী ট্রেনের উদ্দেশে হাত নাড়েন রেলমন্ত্রী। ওই সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকেও ধন্যবাদ জানাতে দেখা যায় তাকে।

যে লাইনের সামনে দাঁড়িয়ে রোববার রাতে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান রেলমন্ত্রী, সেই লাইনেই শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দিন বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আকরিক লোহা বোঝাই মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা মেরেছিল আপ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যে ট্রেন ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে ছুটে যাচ্ছিল। মালবাহী ট্রেনের আকরিক লোহা ও করমণ্ডলের প্রবল গতির জেরে দুর্ঘটনার অভিঘাত ভয়াবহ হয়। লাইনচ্যুত হয়ে যায় চেন্নাইগামী করমণ্ডলের এক্সপ্রেসের ২১টি কোচ। কয়েকটি ছিটকে গিয়ে অন্য লাইনে পড়ে।

যে লাইনে ততক্ষণে চলে আসে ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোচে ধাক্কা মারে সেই ট্রেন। কয়েকটি কোচ লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তার জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়। দুমড়ে-মুচড়ে যায় একাধিক কোচ। দুর্ঘটনা এতটাই বেশি ছিল যে প্রায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন ১১ শর বেশি মানুষ। তারা ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে ভরতি আছেন।

চারিদিকে সেই হাহাকার, আর্তনাদ, কান্নার মধ্যেই শনিবার দুপুর থেকে লাইনের কাজ শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক হাজার শ্রমিক কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। সকালে প্রথমে ডাউন লাইন ঠিক করা হয়। সন্ধ্যার দিকে আপ লাইনও ঠিক করে ফেলেন শ্রমিকরা। তারপর রাত ১০টা নাগাদ ডাউন লাইনে মালবাহী ট্রেন চালিয়ে ট্রায়াল দেওয়া হয়। ওই মালবাহী ট্রেন যাওয়ার পরেই হাত নাড়তে থাকেন রেলমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সবাই খুব ভালো কাজ করেছেন। পুরো টিম খুব ভালো কাজ করেছে। যা হয়েছে, সেজন্য আমরা দুঃখিত। যারা পরিজনদের হারিয়েছেন, তাদের জন্য শোকাহত আমরা। কিন্তু আমাদের দুর্ঘটনার মূল কারণে পৌঁছাতে হবে। দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে। আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন। যে দ্রুততার সঙ্গে আপনারা কাজ করেছেন, সেজন্য পুরো টিমকে ধন্যবাদ।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন