ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ মোবারক

বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম, কেজি ১০০

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০১:১২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
  • ৩৯১ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

প্রায় এক মাস আছে ঈদুল আজহার। আর এসময়ে এসেই বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরই পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি প্রায় একশ টাকা। যদিও বিক্রেতাদের অভিযোগ, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় দাম বাড়ছে।

রোববার (৪ জুন) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মাত্র দেড়মাস আগে রমজানে এক কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। সবশেষ দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।

কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে পেঁয়াজের।

রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, মালিবাগ বাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, খিলগাঁও বাজার এবং এসব এলাকার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ (দেশি কিং) বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া দেশি (পাবনা) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। দেশি ও চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা প্রতি কেজি।

খিলগাঁও বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রবিউল বলছেন, ঈদের মাসখানেক আগেই পেঁয়াজের দাম প্রায় ১০০ টাকা। রোজায় ৩৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনলেও এখন দাম প্রায় তিনগুণ। যেভাবে দাম বাড়ছে পেঁয়াজ খাওয়াই বন্ধ করে দিতে হবে।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় দাম বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে ঈদে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

আরেকজন ক্রেতা সবুজ বলেন, কোরবানির ঈদের এখনো প্রায় এক মাস দেরি, এর মধ্যেই দাম বেড়েছে অনেক। রোজায় ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি, এখন দাম প্রায় তিনগুণ। এখনই সরকারিভাবে অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজ মজুতদারদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে।

ফকিরাপুল বাজারের খুচরা বিক্রেতা শফিকুল জানান, পাইকারিতে দাম কমলে খুচরায়ও কমে যায়। তবে, বর্তমানে যেভাবে দাম বাড়ছে, এভাবে চলতে থাকলে ঈদের আগেই পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা পার হতে পারে। আমদানির মাধ্যমে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ডিবিতে কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান, হতে পারেন গ্রেপ্তার

বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম, কেজি ১০০

প্রকাশিত সময় :- ০১:১২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

প্রায় এক মাস আছে ঈদুল আজহার। আর এসময়ে এসেই বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরই পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি প্রায় একশ টাকা। যদিও বিক্রেতাদের অভিযোগ, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় দাম বাড়ছে।

রোববার (৪ জুন) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মাত্র দেড়মাস আগে রমজানে এক কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। সবশেষ দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।

কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে পেঁয়াজের।

রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, মালিবাগ বাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, খিলগাঁও বাজার এবং এসব এলাকার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ (দেশি কিং) বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া দেশি (পাবনা) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। দেশি ও চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা প্রতি কেজি।

খিলগাঁও বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রবিউল বলছেন, ঈদের মাসখানেক আগেই পেঁয়াজের দাম প্রায় ১০০ টাকা। রোজায় ৩৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনলেও এখন দাম প্রায় তিনগুণ। যেভাবে দাম বাড়ছে পেঁয়াজ খাওয়াই বন্ধ করে দিতে হবে।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় দাম বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে ঈদে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

আরেকজন ক্রেতা সবুজ বলেন, কোরবানির ঈদের এখনো প্রায় এক মাস দেরি, এর মধ্যেই দাম বেড়েছে অনেক। রোজায় ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি, এখন দাম প্রায় তিনগুণ। এখনই সরকারিভাবে অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজ মজুতদারদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে।

ফকিরাপুল বাজারের খুচরা বিক্রেতা শফিকুল জানান, পাইকারিতে দাম কমলে খুচরায়ও কমে যায়। তবে, বর্তমানে যেভাবে দাম বাড়ছে, এভাবে চলতে থাকলে ঈদের আগেই পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা পার হতে পারে। আমদানির মাধ্যমে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন