মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউনিয়নের পাঁচ একর এলাকায় গত ৪ এপ্রিল ২০২৩ পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সমর্থনে একদল পাহাড়ি কর্তৃক বাঙালি ফরিদ উদ্দিন সহ পাঁচ জনের মালিকানাধীন(কবিলতের) জমিতে রাতের অন্ধকারে মাচা ঘর বানিয়ে অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলে ওই জমি সংক্রান্ত মালিকানার কোন কাগজপত্র তারা প্রদর্শন করতে পারে নি।
পরবর্তীতে তাদের NID কার্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, তাঁরা কেউই এই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নন।
অতঃপর উক্ত স্থানে অবস্থান নেওয়া কবিতা চাকমা জানান যে, তাদেরকে এই এলাকার কিছু লোক এখানে নিয়ে এসেছে। এবং কারা তাদেরকে এখানে নিয়ে এসেছে এই ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কোন ব্যক্তির নাম ও পরিচয় বলতে ব্যর্থ হন।
পরবর্তীতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, ইউপিডিএফ ( মূল) সন্ত্রাসীদের সমর্থনে তারা এখানে এসে বসবাসের ব্যবস্থা নিয়েছে।
উল্লেখ্য যে গত বছরও ঠিক একইভাবে ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীদের সমর্থনে একদল পাহাড়ি, দক্ষিন জয়সেনপাড়া এলাকায় অন্যের মালিকানাধীন জমিতে কয়েকটি অবৈধ মাচা ঘর তৈরি করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল|
পরিশেষে পাড়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলে আরও জানা যায় যে একদল পাহাড়ি বর্তমানে জাল কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে বাঙালির কবুলিয়াত জমিতে সরকারি আবাসন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ নেয়ার চেষ্টা করছে ।
পরবর্তীতে অভিযুক্ত ব্যক্তি, জ্ঞান বিকাশ চাকমা (২২),পিতা কালো রঞ্জন চাকমা, সুমন চাকমা (২৩), পিতা নিহার বিন্দু চাকমা, বিন্দু চাকমা (৪৫),রাঙ্গু চাকমা, সান্তনা চাকমা(৩৪) পিতা বসু কুমার চাকমা, বিদর্শন চাকমা (১৩),পিতা বিন্দু চাকমা, সজিব চাকমা(৬),পিতা মিন্টু চাকমা, কবিতা চাকমা (২৩)স্বামী সুমন চাকমা, রেশমি চাকমা (১৯),স্বামী জ্ঞান বিকাশ চাকমা,জিসান চাকমা (৫),পিতা বিন্দু চাকমা, আলোমতি চাকমা(৪৫) স্বামী বিন্দু চাকমা,কে স্থানীয় মেম্বার বিমল চাকমা, হেডমেনস্বদেশ প্রীতি চাকমা,পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের পরিবারের কাছে হস্তর করা হয় ।