বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে প্রথমবারের মতো বিদ্যুতের আওতায় আসছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে মহেশখালীর মাতারবাড়ি হয়ে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে এই দ্বীপ।
দেশব্যাপী শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে ২০২০ সালে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কুতুবদিয়া, হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই বিদ্যুতায়ন’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।
জানা যায়, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প পরিচালক বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ।
প্রকল্পের কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, পুরো প্রকল্পের কাজ ৭৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বৈশ্বিক সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় মালামাল দেশে আসতে একটু দেরি হয়েছে।
এই প্রকল্পের সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, প্রকল্পটির আওতায় তিনটি দ্বীপে মোট ৭২০ কিলোমিটার সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। এ কাজের প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। মহেশখালীর মাতারবাড়ি থেকে মগনামা ঘাট পর্যন্ত ৩৩ কেভি রিভার ক্রসিংসহ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। মগনামা ঘাট থেকে কুতুবদিয়া ৫ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট সাবমেরিন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে একটি লাইনের ৩ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিটুকু সম্পন্ন হতে ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ সময় লাগবে। একই সময়ে সাবমেরিন স্টেশন চালু করা হবে। এছাড়া রয়েছে কুতুবদিয়ায় দুই কিলোমিটার ওভার হেডলাইন ও বিতরণ লাইন।
উল্লেখ্য, কুতুবদিয়ার প্রায় ২১৫ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বর্তমানে প্রায় ২ লাখ মানুষ বসবাস করেন। কুতুবদিয়া দ্বীপে ১৯৮০ সালে জেনারেটরের মাধ্যমে প্রায় ৬০০ গ্রাহকের মধ্যে সান্ধ্যকালীন কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভাঙায় তা পুণঃসংস্কার না করায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
নিউজ বিজয়ের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন।
২০০৫ সালে দেড় কিলোমিটার লাইন মেরামত করে দুটি জেনারেটরের মাধ্যমে উপজেলা সদর ও কিছু এলাকায় সন্ধ্যার পর কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি। এছাড়া ২০০৮ সালে কুতুবদিয়ায় ১ মেগাওয়াট সক্ষমতার বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলেও তেমন কাজে আসেনি। এটিও বন্ধ রয়েছে বর্তমানে।
শতভাগ নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই বিদ্যুতায়ন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, চলতি বছরের (২০২৩ সাল) ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে কুতুবদিয়ার মানুষ বিদ্যুৎ পাবেন। এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে কুতুবদিয়ায় ৩০ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব সংযোগের মাধ্যমে পুরো জনসংখ্যাকে বিদ্যুতের আওতায় আনা যাবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
E-mail :- [email protected] । E-mail :- [email protected] মোবাইল- +৮৮০১৭১৩-৬৩৬৬৬১ । বার্তা বিভাগ :- +০১৭১৬-৯৮০০৮৮ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত NewsBijoy24.Com - Popular Online Newspaper of Bangladesh.