রংপুরের পীরগাছায় দোকানীর দেয়া ভুল কীটনাশক প্রয়োগ করায় জ¦লে বির্বণ হয়ে গেছে এক কৃষকের এক একর ৩২ শতাংশ জমির ধান। জাহিদুল ইসলাম নামে ওই কৃষককে পোকা ও পচন রোগের ঔষধের বদলে আগাছানাশক ঔষধ দিয়েছেন দোকানী আবুল হোসেন। সবুজ শ্যামল ধানগাছ গুলো জ¦লে গিয়ে বির্বণ হয়ে পড়ায় চরম ক্ষতির সম্মুখীন বর্গা চাষি কৃষক জাহিদুল ইসলাম এখন দিশেহারা।
সরেজমিগে গিয়ে দেখা গেছে, সবুজ-শ্যামল ধান খেতের মাঝে হলুদ ও লাল রং ধারণ করে জ¦লে গিয়ে শুকিয়ে মরে যাচ্ছে এক একর ৩২ শতাংশ জমির ধান খেত। উপজেলার তালুক ইসাদ ডারার পাড় গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে আসছিলো। চলতি আমন মৌসুমেও ২৪ হাজার টাকা চুক্তিতে এক একর ৩২ শতাংশ জমি চাষ করেন। ওই জমিগুলোতে রোপা আমন ধান সবেমাত্র ফুলে-ফেপে বেড়িয়ে আসতে চাইছে। এর মধ্যে পোকা ও পচন রোগ দেখা দিলে তিনি পীরগাছা বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী কৃষক বন্ধু সার ঘরের মালিক আবুল হোসেনের নিকট যান। দোকানী আবুল হোসেন তাকে হট গোল্ড নামে একটি কীটনাশক দিয়ে মোড়ক ছাড়াই একই ধরনের আরেকটি কীটনাশকের বোতল দেন। গত বৃহস্পতিবার ওই কীটনাশক গুলো জমিতে প্রােগ করার পরদিন থেকে জমির ধানগুলো শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। পরে বিষয়টি দোকানীকে জানালে তিনি ভুল স্বীকার করেন।
কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি বর্গা চাষি। এখন পর্যন্ত প্রতি ২২ শতাংশ জমিতে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ধানগুলো (কাচ থোর) হয়েছে। আর কদিন পরে ধান বেরুবে। কিন্তু দোকানীর ভুলে আমার এক একর ৩২ শতাংশ জমির ধান মরে যাচ্ছে। আমার এতো বড় ক্ষতি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমি ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক বন্ধু সার ঘরের মালিক আবুল হোসেন বলেন, ভুল তো হয়েই গেছে। এখন ধানগুলো যাতে ফিরে আসে সে চেষ্টা চলছে। বাকিটা পরে দেখা যাবে।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে জমিগুলো দেখে আসার জন্য বলা হয়েছে। আর ওই কৃষক অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
E-mail :- [email protected] । E-mail :- [email protected] মোবাইল- +৮৮০১৭১৩-৬৩৬৬৬১ । বার্তা বিভাগ :- +০১৭১৬-৯৮০০৮৮ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত NewsBijoy24.Com - Popular Online Newspaper of Bangladesh.