ঢাকা ০২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ মোবারক

পীরগাছায় ঢাঁকের বারিতে শুরু শারদীয় দূর্গাপূজা, ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

রাত পোহালেই ঢাঁক ঢোলের বারিতে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিমা তৈরি ও রং এবং সাজসজ্জার কাজ শেষ। নানা রঙে সাজানো হয়েছে পীরগাছা উপজেলার পূর্জামন্ডপ গুলো। সাধারন মানুষকে আকৃষ্ট করতে
তৈরি করা হয়েছে বিশাল তোরন। দূর্গাপূজা উপলক্ষে পূর্জামন্ডপ গুলোর আশে আশে বসছে বিভিন্ন দোকানপাট। সব মিলিয়ে মূখর পরিবেশে ঢাকের বারি অপেক্ষায় সনাতন ধর্মের মানুষ। এ বছর পীরগাছা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৮৮টি মন্ডপে
দূর্গাপূজা পালিত হবে। এ জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন।
বিভিন্ন এলাকার পূর্জামন্ডপ ঘুরে দেখা দেখা গেছে, মন্দিরগুলোতে শেষ হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। রঙ-তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠছে প্রতিমাগুলো। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শনিবার শুরু হচ্ছে ৫ দিন ব্যাপী চলবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উপজেলার রাজবাড়ী পাকার মাথায় দেবোত্তর ছোট ও বড় তরফের আলাদা ভাবে দূর্গাপূজা পালন করে। ওই মন্দিও প্রাঙ্গনে বসেছে মেলা।
বিভিন্ন জিনিসের দোকান সাজিয়ে বসেছে ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি দূর্গা মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় ডাকুয়ার দিঘী
দুর্গা মন্দিরের সভাপতি, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রী সুধীর চন্দ্র বর্মন বলেন, প্রতি বছরই প্রতিমা তৈরিতে খরচ বাড়ছে। এখন ডাকের বাড়ির অপেক্ষা।
পীরগাছা বাজারের ষ্টেশন সংলগ্ন ওম সংঘ সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি শ্রী শিপন কুমার সাহা ও সাধারন সম্পাদক কনক চৌহান সূর্য্য বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। শনিবার ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দুর্গাপুজা শুরু হবে। এ জন্য গোটা মন্দিও প্রাঙ্গণে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নিজস্ব ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আনসার ও পুলিশ সার্বক্ষনিক
থাকবে। বাংলাদেশ পূর্জা উদযাপন পরিষদ পীরগাছা উপজেলা শাখার সভাপতি তরুণ কুমার রায় বলেন, এ বছর পীরগাছায় প্রায় ৮৮টি মন্ডপে দূর্গা পূর্জা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের ন্যায় ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রেখে সার্বজনীন দুর্গা উৎসব
অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, পীরগাছার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে কল্যালী ইউনিয়নে ৯টি পূজা দেখবে মেট্রোপলিটন পুলিশের মাহিগঞ্জ থানা। বাকি ৮টি ইউনিয়নে ৭৯টি পূজা মন্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া আছে। ২২২ পুরুষ এবং ১৫৮ জন মহিলা আনসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন মন্ডপ ঝুঁকিপূর্ণ আছে বলে কোন খবর পাওয়া যায়নি।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

 

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

হাতীবান্ধা উপজেলার জনগণের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জু

পীরগাছায় ঢাঁকের বারিতে শুরু শারদীয় দূর্গাপূজা, ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

প্রকাশিত সময় :- ০১:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাত পোহালেই ঢাঁক ঢোলের বারিতে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিমা তৈরি ও রং এবং সাজসজ্জার কাজ শেষ। নানা রঙে সাজানো হয়েছে পীরগাছা উপজেলার পূর্জামন্ডপ গুলো। সাধারন মানুষকে আকৃষ্ট করতে
তৈরি করা হয়েছে বিশাল তোরন। দূর্গাপূজা উপলক্ষে পূর্জামন্ডপ গুলোর আশে আশে বসছে বিভিন্ন দোকানপাট। সব মিলিয়ে মূখর পরিবেশে ঢাকের বারি অপেক্ষায় সনাতন ধর্মের মানুষ। এ বছর পীরগাছা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৮৮টি মন্ডপে
দূর্গাপূজা পালিত হবে। এ জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন।
বিভিন্ন এলাকার পূর্জামন্ডপ ঘুরে দেখা দেখা গেছে, মন্দিরগুলোতে শেষ হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। রঙ-তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠছে প্রতিমাগুলো। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শনিবার শুরু হচ্ছে ৫ দিন ব্যাপী চলবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উপজেলার রাজবাড়ী পাকার মাথায় দেবোত্তর ছোট ও বড় তরফের আলাদা ভাবে দূর্গাপূজা পালন করে। ওই মন্দিও প্রাঙ্গনে বসেছে মেলা।
বিভিন্ন জিনিসের দোকান সাজিয়ে বসেছে ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি দূর্গা মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় ডাকুয়ার দিঘী
দুর্গা মন্দিরের সভাপতি, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রী সুধীর চন্দ্র বর্মন বলেন, প্রতি বছরই প্রতিমা তৈরিতে খরচ বাড়ছে। এখন ডাকের বাড়ির অপেক্ষা।
পীরগাছা বাজারের ষ্টেশন সংলগ্ন ওম সংঘ সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি শ্রী শিপন কুমার সাহা ও সাধারন সম্পাদক কনক চৌহান সূর্য্য বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। শনিবার ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দুর্গাপুজা শুরু হবে। এ জন্য গোটা মন্দিও প্রাঙ্গণে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নিজস্ব ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আনসার ও পুলিশ সার্বক্ষনিক
থাকবে। বাংলাদেশ পূর্জা উদযাপন পরিষদ পীরগাছা উপজেলা শাখার সভাপতি তরুণ কুমার রায় বলেন, এ বছর পীরগাছায় প্রায় ৮৮টি মন্ডপে দূর্গা পূর্জা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের ন্যায় ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রেখে সার্বজনীন দুর্গা উৎসব
অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, পীরগাছার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে কল্যালী ইউনিয়নে ৯টি পূজা দেখবে মেট্রোপলিটন পুলিশের মাহিগঞ্জ থানা। বাকি ৮টি ইউনিয়নে ৭৯টি পূজা মন্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া আছে। ২২২ পুরুষ এবং ১৫৮ জন মহিলা আনসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন মন্ডপ ঝুঁকিপূর্ণ আছে বলে কোন খবর পাওয়া যায়নি।

নিউজবিজয়/এফএইচএন