খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক “টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস ফর আন্ডারপ্রিভিলেজড রুরাল ইয়াং পিপল অব বাংলাদেশ সংক্ষেপে টেকাব” প্রকল্পের আইসিটির ট্রেনিং এর ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ।
কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ক এই প্রশিক্ষণে নারী এবং পুরুষ মিলে মোট ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছেন। বিগত ১ মার্চ ২০২৩ তারিখ থেকে শুরু হয়ে আজ শেষ হবে উক্ত প্রশিক্ষণ ।
কোন দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে সে দেশের কর্মক্ষম জনশক্তি। আর এ জনশক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে সে দেশের যুবসমাজ। তাই গ্রামাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত যুবদের আইসিটি প্রশিক্ষণে দক্ষ করে গড়ে তোলাই এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল এর কোন বিকল্প নেই। সে বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার গ্রামীণ শিক্ষিত বেকার যুবদের এই ভ্রাম্যমান কম্পিউটার প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষনার্থীরা প্রতিদিন জনপ্রতি ২০০ টাকা করে ভাতা পাবেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাদের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক সনদপত্র প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান। একটি ভ্রাম্যমান এসি সম্বলিত গাড়ির মধ্যে চলছে এই প্রশিক্ষণ, গাড়ির ভিতরে প্রশিক্ষণের যাবতীয় সরঞ্জামাদি রয়েছে এবং প্রশিক্ষনার্থীদের বসার ও সুব্যবস্থা আছে।
গত ১ মার্চ ২০২৩ তারিখ খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন খুলনা-৪ আসনের এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী।
খুলনা জেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দিঘলিয়া থানার ওসি, এবং উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানের সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। দিঘলিয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব মোঃ মাহফুজুর রহমান এ প্রশিক্ষণে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন।
প্রশিক্ষণপ্রার্থীরা এ ধরনের একটা প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।