ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ মোবারক

খুলনার দৌলতপুর খেয়াঘাটের দুই পাড়ে টোল আদায়ে জনগণের ভোগান্তি; অবশেষে নিরসন।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে খুলনার দৌলতপুর খেয়াঘাটের দুই পাড়ে টোল আদায় শুরু হয়। ইতিপূর্বে শুধুমাত্র এই খেয়া ঘাটের দৌলতপুর প্রান্তে টোল আদায় করা হতো। সেক্ষেত্রে জনপ্রতি নৌকা বা ট্রলার ভাড়া ২ টাকা এবং জনপ্রতি ঘাটে টোল দিতে হতো ২ টাকা অর্থাৎ নদী পাড়ি দিতে প্রতিবারে প্রতি জনের ব্যয় হতো ৪ টাকা। কিন্তু আজ সকাল থেকে নদীর দুই পাড়ে টোল আদায় করায় ব্যয় বৃদ্ধির সাথে জনগণের ভোগান্তি বেড়ে যায়। আর এই ভোগান্তি শুধুমাত্র আর্থিক ব্যয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। সেটি জনগণের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং বাক-বিতণ্ডাতেও রূপ নেয়।

উদ্ভূত সমস্যার সমাধান না হওয়ার ফলে খেয়া ঘাটের দুই পাড়েই উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে খেয়া ঘাটের দুই পাড়েই পুলিশ অবস্থান নেয়। উল্লেখ থাকে যে, এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন আনুমানিক ১০ হাজার লোক পারাপার হয়।

সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত খেয়া ঘাটে উত্তেজনা বিরাজ করে। থেমে থেমে টোল আদায় বন্ধ হয় এবং আবার চালু হয়। সে কারণে নদী পারাপার হতে জনগণ দুর্ভোগের শিকার হন। এভাবে চলে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। তখন জনগণ বিকল্প পথে স্টিমার ঘাট এবং অন্যান্য ঘাট হয়ে যাতায়াত শুরু করে। কিছুক্ষণ পরে খেয়াঘাটের দুই প্রান্তে স্থায়ীভাবে টোল আদায় বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময়ে আমাদের প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদের সঙ্গে খেয়া ঘাটের দেয়াড়া প্রান্তের ইজারাদারের প্রতিনিধি শাহাবুদ্দিন মেম্বারের সঙ্গে কথা হয়। শাহাবুদ্দিন বলেন, “আমরা খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ইজারা প্রাপ্ত তাই আমরা এখানে টোল আদায় করছি। অপরদিকে ঘাটের দৌলতপুর প্রান্তে জেলা পরিষদ কর্তৃক ইজারা প্রদান করা হয়েছে। সে কারণে আজকের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের দিঘলিয়ার শ্রদ্ধেয় এমপি এবং আমাদের অভিভাবক সালাম মূর্শেদী আমাদের ফোনে বলেছেন- আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার, জনদরদী সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বদা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, তাই এখানেও আমরা জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করব। শ্রদ্ধেয় এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী এবং দিঘলিয়া ইউনিয়নের শ্রদ্ধাভাজন চেয়ারম্যান খেয়া ঘাটের দেয়াড়া প্রান্তের টোল আদায় না করার জন্য বলেছেন বিধায় আমরা টোল আদায় বন্ধ করেছি।”

অপরদিকে খেয়া ঘাটের দৌলতপুর প্রান্তের টোল আদায়ও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে জনগণের দুর্ভোগ নিরসন হয়েছে। তবে বিষয়টির স্থায়ী সমাধান হওয়া উচিত বলে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

চলতি মাসে তিন দফায় রেকর্ডর পর কিছুটা কমলো স্বর্ণের দাম

খুলনার দৌলতপুর খেয়াঘাটের দুই পাড়ে টোল আদায়ে জনগণের ভোগান্তি; অবশেষে নিরসন।

প্রকাশিত সময় :- ১১:০৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

আজ শুক্রবার সকাল থেকে খুলনার দৌলতপুর খেয়াঘাটের দুই পাড়ে টোল আদায় শুরু হয়। ইতিপূর্বে শুধুমাত্র এই খেয়া ঘাটের দৌলতপুর প্রান্তে টোল আদায় করা হতো। সেক্ষেত্রে জনপ্রতি নৌকা বা ট্রলার ভাড়া ২ টাকা এবং জনপ্রতি ঘাটে টোল দিতে হতো ২ টাকা অর্থাৎ নদী পাড়ি দিতে প্রতিবারে প্রতি জনের ব্যয় হতো ৪ টাকা। কিন্তু আজ সকাল থেকে নদীর দুই পাড়ে টোল আদায় করায় ব্যয় বৃদ্ধির সাথে জনগণের ভোগান্তি বেড়ে যায়। আর এই ভোগান্তি শুধুমাত্র আর্থিক ব্যয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। সেটি জনগণের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং বাক-বিতণ্ডাতেও রূপ নেয়।

উদ্ভূত সমস্যার সমাধান না হওয়ার ফলে খেয়া ঘাটের দুই পাড়েই উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে খেয়া ঘাটের দুই পাড়েই পুলিশ অবস্থান নেয়। উল্লেখ থাকে যে, এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন আনুমানিক ১০ হাজার লোক পারাপার হয়।

সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত খেয়া ঘাটে উত্তেজনা বিরাজ করে। থেমে থেমে টোল আদায় বন্ধ হয় এবং আবার চালু হয়। সে কারণে নদী পারাপার হতে জনগণ দুর্ভোগের শিকার হন। এভাবে চলে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। তখন জনগণ বিকল্প পথে স্টিমার ঘাট এবং অন্যান্য ঘাট হয়ে যাতায়াত শুরু করে। কিছুক্ষণ পরে খেয়াঘাটের দুই প্রান্তে স্থায়ীভাবে টোল আদায় বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময়ে আমাদের প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদের সঙ্গে খেয়া ঘাটের দেয়াড়া প্রান্তের ইজারাদারের প্রতিনিধি শাহাবুদ্দিন মেম্বারের সঙ্গে কথা হয়। শাহাবুদ্দিন বলেন, “আমরা খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ইজারা প্রাপ্ত তাই আমরা এখানে টোল আদায় করছি। অপরদিকে ঘাটের দৌলতপুর প্রান্তে জেলা পরিষদ কর্তৃক ইজারা প্রদান করা হয়েছে। সে কারণে আজকের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের দিঘলিয়ার শ্রদ্ধেয় এমপি এবং আমাদের অভিভাবক সালাম মূর্শেদী আমাদের ফোনে বলেছেন- আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার, জনদরদী সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বদা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, তাই এখানেও আমরা জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করব। শ্রদ্ধেয় এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী এবং দিঘলিয়া ইউনিয়নের শ্রদ্ধাভাজন চেয়ারম্যান খেয়া ঘাটের দেয়াড়া প্রান্তের টোল আদায় না করার জন্য বলেছেন বিধায় আমরা টোল আদায় বন্ধ করেছি।”

অপরদিকে খেয়া ঘাটের দৌলতপুর প্রান্তের টোল আদায়ও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে জনগণের দুর্ভোগ নিরসন হয়েছে। তবে বিষয়টির স্থায়ী সমাধান হওয়া উচিত বলে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন