যশোরের কেশবপুরে গত কয়েকদিন একাধারে গ্রীষ্মের তাপদাহ অব্যাহত থাকায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। জৈষ্ঠের রৌদ্রের প্রখর তাপে জনবীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। বাতাসে ভেসে আসছে আগুনের হল্কা। শিশু কিশোররা তীব্র তাপদাহ থেকে স্বস্তি পেতে পুকুরের পানিতে ঝাপিয়ে পড়ছে। কেউবা আবার টিউবওয়ালেরে পানি গায়ে ঢালছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অধিকাংশ পুকুর ও জলাশয়ে পানি শুকিয়ে গেছে। তাই গোসল করতেও পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। সবচেয়ে কষ্টে পড়েছেন বয়বৃদ্ধরা। সারা দিনের প্রচন্ড খরতাপে অতিরিক্ত ঘামে শরীরে পানি শুন্যতা দেখা দিচ্ছে। ভ্যাপসা গরমে সবচেয়ে বেশি নাকাল শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ।
প্রতি দিনই হু-হু করে বাড়ছে তাপমাত্রা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝাঝালো রোদে বাড়ছে তীব্র তাপদাহ। আর এই তাপদাহে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। গরমে রাস্তায় যান ও মানুষের চলাচল কমে যাচ্ছে। দিনের বেলায় বিশেষ করে দুপুরের দিকে গ্রাম বা শহরে লোক চলাচল কমে আসছে। খুব প্রয়োজন না হলে মানুষ ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। তবে খেটে খাওয়া মানুষকে পোহাতে হচ্ছে নরক যন্ত্রণা। খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ চরমে ঠেকেছে। তাপদাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং।
এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রচন্ড তাপদাহে সব বয়সী মানুষের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন বলেন, গরমে পানিস্বল্পতা, আমাশয়, ডায়রিয়া, জন্ডিস ও হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের শঙ্কা রয়েছে। তবে সতর্ক হয়ে চললে সমস্যা এড়ানো সম্ভব। সবাইকে ঘরে থাকতে ও বেশী করে পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।