বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করলো রংপুর রাইডার্স। শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সামনে ১৭৭ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে সব উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানে থামে কুমিল্লা। ফলে ৩৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুরকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার রনি তালুকদার। মারমুখী ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৯ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করে রনি। রনি মারমুখী খেললেও দেখেশুনে খেলতে থাকেন আরেক অপেনার নাইম শেখ। দুইজন মিলে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৮৪ রান। এরপর রনি তালুকদার আউট হলে প্রথম সাফল্য পায় কুমিল্লা। ৩১ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন রনি।
রনির বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন শোয়েব মালিক। এরপর মালিককে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন নাইম। তবে, দলীয় ১১৫ রানে ৩৪ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান নাইম শেখ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা। রাজাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন শোয়েব মালিক। ক্রিজে এসে কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন রাজা। তবে দলীয় ১৩৪ রানে ১০ বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি। রাজার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নূরুল হাসান সোহান। ক্রিজে এসে রানের গতি বাড়ান তিনি। ইনিংসের ১৯তম ওভারে রান আউট হন শোয়েব মালিক।
দলীয় ১৬৩ রানে ২৬ বলে ৩৩ রান করে আউট হন শোয়েব। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন বেনি হাওয়েল। ইনিংসের ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন হাওয়েল। ৬ বলে ৮ রান করে আউত হন তিনি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫ রান সংগ্রহ করে রংপুর। সোহান ১১ বলে ১৯ ও মেহেদী ২ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন। কুমিল্লার পক্ষে খুশদিল, মোসাদ্দেক, মোস্তাফিজ ও ফারুকী নেন ১টি করে উইকেট।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে কুমিল্লা। লিটন দাস ও সৈকত আলি মিলে দলকে দেখে শুনেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে রাকিবুল হাসানের বলে হাসান মাহমুদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ১২ বলে ১০ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা ডেভিড মালানের সঙ্গে জুটি বাধেন সৈকত। তবে দলীয় ৫০ পার হওয়ার পরই দুজনই ফিরে যান সাজঘরে। সৈকত ২১ বলে ১৬ ও মালান ৯ বলে ১৭ রান করে আউট হন। তিন উইকেট হারালেও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও মোসাদ্দেক হোসেন মিলে দলকে ১০০’র ওপর নিয়ে যান।
নিজেদের মাঝে ৫০ রানের জুটি গড়লেও দলীয় ১১৫ রানে ২৩ বলে ৩৫ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে আউট হন ইমরুল। এরপর অবশ্য বাকি ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মিছিল ধরেন। ১১৫ থেকে ১৪২ রানের মাঝে ৭ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে দলটি। দলটির মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারে ধ্বস নামান রবিউল হক ও হাসান মাহমুদ। ১৫ থেকে ২০ ওভারের মাঝে ৫ উইকেট শিকার করেন দুজন। হাসান ৩টি, রবিউল ২টি ও রাকিবুল শিকার করেন ২টি উইকেট। ৩৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
E-mail :- [email protected] । E-mail :- [email protected] মোবাইল- +৮৮০১৭১৩-৬৩৬৬৬১ । বার্তা বিভাগ :- +০১৭১৬-৯৮০০৮৮ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত NewsBijoy24.Com - Popular Online Newspaper of Bangladesh.