বরিশাল জেলা তথ্য অফিস এর আয়োজনে ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমন প্রতিরোধে টিকা গ্রহণের গুরুত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন আজ নগরীর কাঁশিপুর স্কুল এন্ড কলেজে এ সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাস প্রধান অতিথি ছিলেন। বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাঁশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মামুন অর রশীদ। এসময় কাঁশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জনসচেতনতামূলক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন তথ্য দপ্তরের সহকারী তথ্য অফিসার লেলিন বালা। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কোভিড-১৯ ও পদ্মাসেতু নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাঁশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মনিকা রায়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, করোনা মহামারি প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অনেকটাই বদলে গেছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ এড়াতে আমাদের এমন অনেক অভ্যাসই পরিহার করতে হচ্ছে, যেগুলো একসময় আমাদের স্বাভাবিক জীবনেরই অংশ ছিল। গবেষক ও চিকিৎসকরা বলেছেন, করোনা থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজেকে সুস্থ রাখতে যেসব নিয়ম কানুন অনুসরণ করতে হয় সেগুলোই স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যবিধি বলা হয় সেসব নিয়মাবলি ও অনুশীলনকে যেগুলো সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
জেলা তথ্য দপ্তরের পরিচালক জাকির হোসেন জানান, অনেকে স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে এক বলে মনে করেন। কিন্তু দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে। স্বাস্থ্যবিধি একটি ব্যাপক ও বিস্তৃত বিষয়। গোসল করা, হাত ধোয়া, নখ কাটা এগুলো পরিচ্ছন্নতার অংশ। তবে স্বাস্থ্যবিধিতে পরিস্থিতি বুঝে আরও বেশকিছু আরোপিত বিষয় থাকে। ভাইরাসের সংক্রমণ হার যেমনই হোক, ঘরের বাইরে সবসময় মাস্ক পরে থাকুন। তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও আপনাকে মাস্ক পরতে হবে। তাছাড়া মাস্ক পরলে করোনাভাইরাস ছাড়াও অন্যান্য ধুলাবালি ও বিষাক্ত বস্তু নিঃশ্বাসের সঙ্গে আপনার ফুসফুসে যেতে পারবে না।
কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, যেখানেই যার সঙ্গে কথা বলবেন অন্তত ৩ ফুট বা ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখবেন। এটাকে বলা হয় ‘সামাজিক দূরত্ব’। এই দূরত্ব রাখার কারণ হলো অন্যকারও হাঁচি-কাশির ড্রপলেটের সঙ্গে আসা ভাইরাসের জীবাণু যেনো আপনার নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ না করে। চোখে, মুখে বারবার হাত দেওয়া আমাদের স্বাভাবিক একটি অভ্যাস। তবে করোনাকালে এসে এই অভ্যাস বদলাতে হবে বলে উল্লেখ করেন। হাত দিয়ে আমরা অনেককিছুই স্পর্শ করি। সেগুলোতে যদি ভাইরাসের কণা আটকে থাকে এবং তা যদি আমাদের হাতের মাধ্যমে মুখ, নাক কিংবা চোখের মধ্য দিয়ে দেহে প্রবেশ করে তবে আমরা আক্রান্ত হয়ে যাবো। ফলে এ বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপস্থিত শিক্ষকগন জানান, যেখানে সেখানে স্পর্শ করা যাবে না। আমরা এমন অনেক কিছুই স্পর্শ করি যা অন্যরাও স্পর্শ করেন। যেমন- টাকাপয়সা, সুইচ, লিফটের বোতাম, বাসের হাতল বা সিঁড়ির হাতল ইত্যাদি। এসব বস্তুতে ভাইরাসের জীবাণু থাকতে পারে। ফলে এমন কিছু স্পর্শ করলেও হাত ধুয়ে নিতে হবে বা স্যানিটাইজ করে নিতে হবে। এসময় জানানো হয় বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর জামাকাপড় বদলে ফেলতে হবে। কারণ জামা-কাপড়ের মাধ্যমেও আমরা এ ভাইরাস বহন করে ঘরে নিয়ে আসতে পারি, যা নিজেকে বা পরিবারের অন্যদের সংক্রমিত করতে পারে।
নিউজবিজয়/এফএইচএন
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
E-mail :- [email protected] । E-mail :- [email protected] মোবাইল- +৮৮০১৭১৩-৬৩৬৬৬১ । বার্তা বিভাগ :- +০১৭১৬-৯৮০০৮৮ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত NewsBijoy24.Com - Popular Online Newspaper of Bangladesh.