ঢাকা ০৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ মোবারক

অভিনেত্রী ছায়া দেবীর জন্মবার্ষিকী আজ

  • বিনোদন ডেস্ক:-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৩:০২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
  • ৪২৪ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

ছায়া দেবী একজন ভারতীয় জাদরেল অভিনেত্রী ছিলেন। আসল নাম ছিল কনকবালা গাঙ্গুলী। তার চেহারার মধ্যে ছিল আলাদা এক আভিজাত্য। ধনী পরিবারের কত্রী কিংবা ঝগড়াটে স্বভাবের বিধবা চরিত্রে দারুণ মানাত তাকে। আজ এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ছায়া দেবী ৩ জুন, ১৯১৪ সালে ভাগলপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ছিলেন হারাধন গঙ্গোপাধ্যায়।
সেই সময় সমাজে বাল্য বিবাহের প্রথা চালু ছিল। সেই প্রথামতো মাত্র ১১ বছর বয়সেই তার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। কনকবালার স্বামী ছিলেন রাঁচির একজন অধ্যাপক। তবে ভাগ্য তার জন্য অন্য কিছুই ঠিক করে রেখেছিল।
অতটুকু বয়সে বিয়েটা মোটেও ভালভাবে নিতে পারেননি ছায়া দেবী। তবে ওই অবস্থায় তিনি শ্বশুরবাড়িতে পড়েও থাকেননি। তিনি স্বামীর সংসারে মন বসাতে পারতেন না। তাই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তিনি বাপের বাড়িতে চলে আসেন। এরপর আবার নতুন করে জীবন শুরু করেন ছায়া দেবী। বাড়িতে ফিরে পড়াশোনায় মন দেন।
তার বাবার ছিল বদলির চাকরি। সেই সময় তারা ভাগলপুর ছেড়ে দিল্লিতে চলে যান। সেখানে গিয়েও পড়াশোনা চালিয়ে যান অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে গানটাও শিখে নেন। বাবার চাকরির সুবাদে যখন কলকাতায় আসেন তখন কিংবদন্তি মান্না দের কাকা তথা প্রবাদপ্রতিম শিল্পী কৃষ্ণচন্দ্র দের কাছে তিনি সংগীত শিক্ষা নেন। ঠিক এই সময়েই দুই পিসতুতো দাদার সুবাদে তিনি অভিনয়ের দুনিয়াতে পা রাখেন। তার এক পিসতুতো দাদার বন্ধু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ম্যানেজার ছিলেন। তার কাছে খবর পেয়েই ছায়া দেবীকে ‘পথের শেষে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পাঠানো হয়। এর পর দেবকী কুমার বসুর নজরে পড়ে যান ছায়া দেবী। তারপর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
‘পথের শেষে’ ছবির পর ‘সোনার সংসার’, ‘ঘনা’, ‘রজনী’, ‘প্রতিশোধ’ ইত্যাদি বহু ছবিতে তিনি অভিনয়ের সুযোগ পান। অভিনয়ের দুনিয়ায় তখন তার নামডাক বাড়তে থাকে হুহু করে। ঠিক এই সময়ই তিনি আচমকা কলকাতা ছেড়ে ভাগলপুরে গিয়ে দামোদর মিশ্রের কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীতের শিক্ষা নিতে শুরু করেন। তবে পরিচালক সুশীল মজুমদারের অনুরোধে আবার টলিউডে ফিরে আসেন ছায়া দেবী। শুরু হয় অভিনয় দুনিয়াতে তার দ্বিতীয় ইনিংস।
‘রাজা রামমোহন’, ‘রাজকুমারী’, ‘সপ্তপদী’, ‘উত্তর ফাল্গুনী’ ইত্যাদি বহু ছবিতে অভিনয় করেন ছায়া দেবী। তিনি তার কেরিয়ারে প্রায় ১০০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেন। তবে শেষের জীবনটা চরম একাকিত্বের মধ্যে কেটেছিল তার। সেই সময় তার পাশে আর কেউ বিশেষ ছিলেন না। শেষমেষ ২০০১ সালের ২৭ এপ্রিল সেরিব্রাল অ্যাটাকের কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলার এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

চলতি মাসে তিন দফায় রেকর্ডর পর কিছুটা কমলো স্বর্ণের দাম

অভিনেত্রী ছায়া দেবীর জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত সময় :- ০৩:০২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

ছায়া দেবী একজন ভারতীয় জাদরেল অভিনেত্রী ছিলেন। আসল নাম ছিল কনকবালা গাঙ্গুলী। তার চেহারার মধ্যে ছিল আলাদা এক আভিজাত্য। ধনী পরিবারের কত্রী কিংবা ঝগড়াটে স্বভাবের বিধবা চরিত্রে দারুণ মানাত তাকে। আজ এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ছায়া দেবী ৩ জুন, ১৯১৪ সালে ভাগলপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ছিলেন হারাধন গঙ্গোপাধ্যায়।
সেই সময় সমাজে বাল্য বিবাহের প্রথা চালু ছিল। সেই প্রথামতো মাত্র ১১ বছর বয়সেই তার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। কনকবালার স্বামী ছিলেন রাঁচির একজন অধ্যাপক। তবে ভাগ্য তার জন্য অন্য কিছুই ঠিক করে রেখেছিল।
অতটুকু বয়সে বিয়েটা মোটেও ভালভাবে নিতে পারেননি ছায়া দেবী। তবে ওই অবস্থায় তিনি শ্বশুরবাড়িতে পড়েও থাকেননি। তিনি স্বামীর সংসারে মন বসাতে পারতেন না। তাই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তিনি বাপের বাড়িতে চলে আসেন। এরপর আবার নতুন করে জীবন শুরু করেন ছায়া দেবী। বাড়িতে ফিরে পড়াশোনায় মন দেন।
তার বাবার ছিল বদলির চাকরি। সেই সময় তারা ভাগলপুর ছেড়ে দিল্লিতে চলে যান। সেখানে গিয়েও পড়াশোনা চালিয়ে যান অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে গানটাও শিখে নেন। বাবার চাকরির সুবাদে যখন কলকাতায় আসেন তখন কিংবদন্তি মান্না দের কাকা তথা প্রবাদপ্রতিম শিল্পী কৃষ্ণচন্দ্র দের কাছে তিনি সংগীত শিক্ষা নেন। ঠিক এই সময়েই দুই পিসতুতো দাদার সুবাদে তিনি অভিনয়ের দুনিয়াতে পা রাখেন। তার এক পিসতুতো দাদার বন্ধু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ম্যানেজার ছিলেন। তার কাছে খবর পেয়েই ছায়া দেবীকে ‘পথের শেষে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পাঠানো হয়। এর পর দেবকী কুমার বসুর নজরে পড়ে যান ছায়া দেবী। তারপর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
‘পথের শেষে’ ছবির পর ‘সোনার সংসার’, ‘ঘনা’, ‘রজনী’, ‘প্রতিশোধ’ ইত্যাদি বহু ছবিতে তিনি অভিনয়ের সুযোগ পান। অভিনয়ের দুনিয়ায় তখন তার নামডাক বাড়তে থাকে হুহু করে। ঠিক এই সময়ই তিনি আচমকা কলকাতা ছেড়ে ভাগলপুরে গিয়ে দামোদর মিশ্রের কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীতের শিক্ষা নিতে শুরু করেন। তবে পরিচালক সুশীল মজুমদারের অনুরোধে আবার টলিউডে ফিরে আসেন ছায়া দেবী। শুরু হয় অভিনয় দুনিয়াতে তার দ্বিতীয় ইনিংস।
‘রাজা রামমোহন’, ‘রাজকুমারী’, ‘সপ্তপদী’, ‘উত্তর ফাল্গুনী’ ইত্যাদি বহু ছবিতে অভিনয় করেন ছায়া দেবী। তিনি তার কেরিয়ারে প্রায় ১০০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেন। তবে শেষের জীবনটা চরম একাকিত্বের মধ্যে কেটেছিল তার। সেই সময় তার পাশে আর কেউ বিশেষ ছিলেন না। শেষমেষ ২০০১ সালের ২৭ এপ্রিল সেরিব্রাল অ্যাটাকের কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলার এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন