ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ধর্ম ক্লাসে নৈতিক শিক্ষা নিতে গিয়ে লম্পট শিক্ষকের অনৈতিক লালসার শিকার হয়েছে।অভিযোগের পর লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটি।মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেও বিচার না পাওয়ায় স্কুল থেকে ছাড়পত্র নিতে বাধ্য হয়েছে।গত (২৬ অক্টোবর) বুধবার ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের লোকজন বিদ্যালয়টিতে স্থানীয় একজন কাউন্সিলরের সহযোগিতায় স্কুল থেকে ছাড়পত্র নিতে বাধ্য হয়েছে।ছাড়পত্র নেয়ার বিষয়টি স্হানীয় সাংবাদিকদের নজরে এলে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ প্রোর্টাল ও সোস্যাল মিডিয়ায় শ্লীলতাহানির খবরটি ফলাওভাবে প্রকাশিত হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটিসহ স্হানীয় প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে।অবশেষে গতকাল বুধবার ২ নভেম্বর ওই বিদ্যালয়ের গ্রন্হাগারিক অভিযুক্ত মৃনাল কান্তিকে জরুরি পরিচালনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধান শিক্ষক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। স্পর্শকাতর ঘটনাটি ঘটেছে,উপজেলা শহরের উলিপুর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।উল্লেখ্য উলিপুর পৌরসভার পুর্ব শিববাড়ি এলাকার এক হিন্দু পরিবারের ওই শিক্ষার্থী উলিপুর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যষ্ঠ শ্রেনির নিয়মিত শিক্ষার্থী।
গত ২৭সেপ্টেম্বর ওই বিদ্যালয়ের গ্রন্হাগারিক পদে কর্মরত মৃনাল কান্তি রায় প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে যষ্ঠ শ্রেণীর ধর্ম ক্লাশ নিতে যায়।ওই ক্লাসে জনৈক এক শিক্ষার্থীর জোড় পুর্বক শ্লীলতাহানি ঘটায়।ঘটনার পরপরই ওই শিক্ষার্থী তার এক বান্ধবীকে সাথে নিয়ে একজন শিক্ষিকাকে ঘটনাটি জানালে তিনি ঘটনাটি অন্য কাউকে জানাতে নিষেধ করে।ঘটনাটি ওই শিক্ষিকা তাৎক্ষনিক প্রধান ফেরদৌস কবির রানুকে অবহিত করেন। এরপর দুর্গাপুজার ছুটি শেষে ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে না আসায় ঘটনাটি অন্য কাউকে জানাতে পারে মর্মে প্রধান শিক্ষক ২ জন নারী শিক্ষকসহ একজন সহকারী শিক্ষককে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে পাঠান। এ সময় শিক্ষার্থীর উপর মৃনাল কান্তির অনৈতিক কার্যকলাপের ঘটনা বলে এবং সে আর ওই বিদ্যালয়ে পড়বে না বলেও সাফ জানিয়ে দেয়।ঘটনার বিবরণ শুনে অভিভাবকদের মাথায় যেন বজ্রপাত হয়।পরের দিন ওই শিক্ষার্থী অভিভাবক এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবরে অভিযোগ করে।বিচার না পাওয়ায় বিদ্যালয় থেকে ছাড় পত্র নিতে বাধ্য হয়।এ ঘটনায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান,পত্রিকায় সংবাদ পড়ার পর ও নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা স্যারের নির্দেশে আমি ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি ও অভিযুক্ত ওই গ্রন্হাগারিকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস কবীর রানুর কাছে কি ঘটনায় গ্রন্হগারিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে প্রতিষ্ঠানে মান সম্মান ক্ষুণ্ন হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে আর অন্য কোন মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি। #
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
E-mail :- [email protected] । E-mail :- [email protected] মোবাইল- +৮৮০১৭১৩-৬৩৬৬৬১ । বার্তা বিভাগ :- +০১৭১৬-৯৮০০৮৮ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত NewsBijoy24.Com - Popular Online Newspaper of Bangladesh.