ঢাকা ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, আক্রান্তে রেকর্ড

ক্রমশ ভয়ানক রূপ ধারণ করছে ডেঙ্গু। এডিস মশাবাহিত রোগটিতে একদিকে যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, তেমনি আশঙ্কাজনক হারে ঝরছে প্রাণও।সবশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের। এছাড়া এ সময়ে বছরের নতুন রেকর্ড হয়েছে আক্রান্তের সংখ্যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২২৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর এক হাজার ২২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে।
সব মিলিয়ে চলতি বছরে সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৫৯০ এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৬।

রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ২২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়ই ৪৫১ জন। ঢাকা বিভাগে ২৮১ জন, বরিশালে ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬৯ জন, খুলনায় ১১১ জন, ময়মনসিংহে ১৯ জন, রাজশাহীতে ৪৭ জন ও রংপুরে ৫৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৯০ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। একই সময়ে মারা যাওয়া ১৮৬ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ।

২০২৩ সালে দেশে রেকর্ড ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নেন ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। ওই বছর এক হাজার ৭০৫ জন মারা যান মশাবাহিত এই রোগে, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, আক্রান্তে রেকর্ড

প্রকাশিত সময়:- ০৮:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

ক্রমশ ভয়ানক রূপ ধারণ করছে ডেঙ্গু। এডিস মশাবাহিত রোগটিতে একদিকে যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, তেমনি আশঙ্কাজনক হারে ঝরছে প্রাণও।সবশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের। এছাড়া এ সময়ে বছরের নতুন রেকর্ড হয়েছে আক্রান্তের সংখ্যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২২৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর এক হাজার ২২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে।
সব মিলিয়ে চলতি বছরে সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৫৯০ এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৬।

রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ২২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়ই ৪৫১ জন। ঢাকা বিভাগে ২৮১ জন, বরিশালে ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬৯ জন, খুলনায় ১১১ জন, ময়মনসিংহে ১৯ জন, রাজশাহীতে ৪৭ জন ও রংপুরে ৫৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৯০ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। একই সময়ে মারা যাওয়া ১৮৬ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ।

২০২৩ সালে দেশে রেকর্ড ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নেন ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। ওই বছর এক হাজার ৭০৫ জন মারা যান মশাবাহিত এই রোগে, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন