কিংবদন্তি লেখক, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। লাখো পাঠক, ভক্তদের কাছে তিনি এখনো চিরভাস্বর। পারিবারিবারিক বলয় থেকেই সাহিত্যের ভিত গড়ে ওঠা হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের লেখালেখির ভূবনে প্রবাদ পুরুষ হয়ে যুগের পর যুগ বেঁচে থাকবেন পাঠকদের মনে। মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা আয়োজনে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করা হবে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন তিনি। ২০১২ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন অগনিত পাঠকের হৃদয়ে।
হুমায়ুন আহমেদের একাদশতম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নুহাশ পল্লিতে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। নুহাশ পল্লির ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, বুধবার সকাল থেকে আশপাশের কয়েকটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্ররা নুহাশ পল্লিতে কোরআন তেলাওয়াত করবে। পরে তারা কবর জিয়ারত ও দোয়ায় অংশ নেবে। ঐ দিনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে হুমায়ূন আহমেদের দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতসহ স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন গতকাল রাতেই নুহাশ পল্লিতে পৌঁছে গেছেন।
এছাড়া হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের লোকজন, ভক্ত, বন্ধুরা কবর জিয়ারত ও মিলাদে যোগ দেবেন। দুপুরে মিলাদ মাহফিল শেষে এতিম শিশু ও শিক্ষার্থীদের খাদ্য বিতরণ করা হবে। ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হবে।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সিংহাসনে এমন রাজপুত্র খুব কমই এসেছেন। সাহিত্যের আসনে সমাসীন হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, এমনকি মৃত্যুর পরও রাজত্ব করেছেন খুব কমজনই। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের রাজপুত্র হিসেবেই তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙালীর হৃদয়ে।