ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারুনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-জমি দখলের মামলা  

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়।

শায়লা শারমিন নামে এক নারী বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন। পরে মহানগর হাকিম মাহবুব আহমেদ মোহাম্মদপুর থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

হারুন ছাড়াও এ মামলায় ঢাকা উদ্যান সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাদল ও ‘রিপন পারফিউমারি হাউজের’ মালিক ফয়জুর রহমান রিপনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে শায়লা শারমিন বলেন, তার মা মমতাজ আরা ১৭ বছর আগে নবীনগর হাউজিং প্রকল্পের একটি সম্পত্তি কিনে ভোগদখল করে আসছেন। জমির সব কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকায় তিনি সেখানে বাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর জমির মাটি ভরাট ও পাইলিংয়ের কাজ শুরু করলে ২০২০ সালের ১০ জুলাই বাদল ও রিপন ওই জমির মালিকানা দাবি করে নির্মাণ কাজে বাধা দেন।

অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা জমিতে টানানো সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে এবং জায়গা খালি করার জন্য হুমকি দেয়। বিভিন্ন সময়ে শায়লা শারমিন, তার মা ও পরিবারের সদস্যদের হয়রানি ও জীবননাশের হুমকি দেয়। জমি দখল করতে না পেরে বাদল ও রিপন রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে চাপ সৃষ্টি করে। ২০২০ সালের ১৫ জুলাই হারুনের মাধ্যমে শায়লা শারমিন ও তার স্বামীকে ডিবি অফিসে তলব করা হয়। সেখানে জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। টাকা না দিলে জমি দখল করে নেয়ার পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো ও গুম-খুনের হুমকি দেয়া হয়।

শায়লা শারমিন বলেন, আসামিদের চাপে তিনি ২০২০ সালের ৬ অগাস্ট ২০ লাখ টাকা দেন। এরপরও তারা নির্মাণ কাজ বন্ধের চাপ দিতে থাকে এবং আরও টাকা দাবি করে। পরে সবশেষ ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর আরও ৫ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন। চাঁদা আদায়ে তারা হেনস্তা ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে।

২০তম বিসিএস ক্যাডারে পুলিশের চাকরি নেয়া হারুন ১৯৯৮ সালে ছাত্রলীগের বাহাদুর-অজয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে একসময় চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন।

গণআন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে হারুন অর রশীদের কোনো খোঁজ মিলছে না।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক

হারুনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-জমি দখলের মামলা  

প্রকাশিত সময় :- ১২:১৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়।

শায়লা শারমিন নামে এক নারী বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন। পরে মহানগর হাকিম মাহবুব আহমেদ মোহাম্মদপুর থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

হারুন ছাড়াও এ মামলায় ঢাকা উদ্যান সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাদল ও ‘রিপন পারফিউমারি হাউজের’ মালিক ফয়জুর রহমান রিপনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে শায়লা শারমিন বলেন, তার মা মমতাজ আরা ১৭ বছর আগে নবীনগর হাউজিং প্রকল্পের একটি সম্পত্তি কিনে ভোগদখল করে আসছেন। জমির সব কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকায় তিনি সেখানে বাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর জমির মাটি ভরাট ও পাইলিংয়ের কাজ শুরু করলে ২০২০ সালের ১০ জুলাই বাদল ও রিপন ওই জমির মালিকানা দাবি করে নির্মাণ কাজে বাধা দেন।

অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা জমিতে টানানো সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে এবং জায়গা খালি করার জন্য হুমকি দেয়। বিভিন্ন সময়ে শায়লা শারমিন, তার মা ও পরিবারের সদস্যদের হয়রানি ও জীবননাশের হুমকি দেয়। জমি দখল করতে না পেরে বাদল ও রিপন রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে চাপ সৃষ্টি করে। ২০২০ সালের ১৫ জুলাই হারুনের মাধ্যমে শায়লা শারমিন ও তার স্বামীকে ডিবি অফিসে তলব করা হয়। সেখানে জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। টাকা না দিলে জমি দখল করে নেয়ার পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো ও গুম-খুনের হুমকি দেয়া হয়।

শায়লা শারমিন বলেন, আসামিদের চাপে তিনি ২০২০ সালের ৬ অগাস্ট ২০ লাখ টাকা দেন। এরপরও তারা নির্মাণ কাজ বন্ধের চাপ দিতে থাকে এবং আরও টাকা দাবি করে। পরে সবশেষ ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর আরও ৫ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন। চাঁদা আদায়ে তারা হেনস্তা ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে।

২০তম বিসিএস ক্যাডারে পুলিশের চাকরি নেয়া হারুন ১৯৯৮ সালে ছাত্রলীগের বাহাদুর-অজয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে একসময় চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন।

গণআন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে হারুন অর রশীদের কোনো খোঁজ মিলছে না।

নিউজবিজয়/এফএইচএন