ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারাগাছে নকল মায়া বিড়ি আটক: আলিফ বিড়ির মালিক সহ দুইজন গ্রেফতার

কাউনিয়ার হারাগাছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা মুল্যের তিন লাখ শলাকা নকল মায়া ব্রান্ডের বিড়ি ও জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত আলিফ ব্রান্ডের বিড়ি জব্দ করেছে কাস্টমস।
এসময় আলিফ বিড়ি কারখানার মালিক মোনায়েম আলী (৫৫) ও তার সহযোগী রাজু মিয়াকে (২৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

মোনায়েম আলী গংগাচড়ার কামদেব গ্ৰামের মৃত মোলতাছেমের ছেলে এবং রাজু মিয়া আরপিএমপি তাজহাটের আরাজিতামপাট গ্ৰামের ইসলামের ছেলে।

এ ব্যাপারে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নকল বিড়ি তৈরি ও জাল ব্যান্ডরোল মজুদ ও ব্যবহার করে অবৈধভাবে ব্যবসা করার অপরাধে আলিফ বিড়ি কারখানার মালিক সহ দুইজনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানায় মামলা দায়ের করা করেছে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট হারাগাছ সার্কেলের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আবু নোমান।

শনিবার আটক দুই জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রংপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে শুক্রবার রাতে হারাগাছ পৌরসভার শহিদের ভাটা এলাকায় হারাগাছ রংপুর সড়ক থেকে ২৭ বস্তা বিড়ি বোঝাই পিকআপ সহ তাদের আটক করা হয়।

মামলার তদন্তকারী অফিসার ও হারাগাছ থানার উপ-পরিদর্শক এসআই কমল মোহন্ত জানান, গংগাচড়ার কামদেব গ্ৰামের মৃত মোলতাছেমের ছেলে ২৯ নং আলিফ বিড়ি কারখানার মালিক মোনায়েম আলী বিপুল পরিমাণ নকল মায়া ব্রান্ডের বিড়ি ও জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত আলিফ ব্রান্ডের বিড়ি উৎপাদন করে। এসব সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে উৎপাদন করা বিড়ি বাজারজাত করার জন্য পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট হারাগাছ সার্কেলের আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে হারাগাছ পৌর শহরের শহিদের ভাটা এলাকায় হারাগাছ-রংপুর সড়কে একটি পিক আপ আটক করে।
পিক আপে তল্লাশি চালিয়ে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা মুল্যের ৩ লাখ শলাকা নকল মায়া বিড়ি ও ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা মুল্যের ৩ লাখ ৭৫ হাজার শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত আলিফ ব্রান্ডের বিড়ি জব্দ করে কাস্টমস।
এসময় আলিফ বিড়ি কারখানার মালিক সহ দুইজনকে আটক করা হয়।

রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানায়, এ ব্যাপারে কাস্টমসের এক্সাইজ ও ভ্যাট হারাগাছ সার্কেলের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আবু নোমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
আটক দুই জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল রংপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জব্দকৃত বিড়ি ও পিক আপ গাড়ী কাস্টমস রংপুর অফিসের হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে মায়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ও মায়া বিড়ি কারখানার পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম মায়া বলেন, কাস্টমস রংপুর সদর ও হারাগাছ সার্কেল এর অধীনে প্রায় দুই শতাধিক ছোট ও মাঝারি নিবন্ধন ও ও অনিবন্ধিত বিড়ি কারখানার অসাধু মালিকরা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে হারাগাছের প্রতিষ্ঠিত মায়া বিড়ি সহ বড় বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের বিড়ি নকল করে দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করে আছে। এতে করে প্রতিষ্ঠিত বিড়ি কারখানাগুলোর উৎপাদন কমে গেছে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব।
তিনি বলেন, সরকারি রাজস্ব আদায় বাড়াতে এবং রাজস্ব প্রদান করে এমন প্রতিষ্ঠিত কারখানাগুলোর উৎপাদন রক্ষায় জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার ও নকল বিড়ি উৎপাদন কারী অসাধু কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র ভারতে পালানোর সময় আটক

হারাগাছে নকল মায়া বিড়ি আটক: আলিফ বিড়ির মালিক সহ দুইজন গ্রেফতার

প্রকাশিত সময় :- ০৫:৫১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২

কাউনিয়ার হারাগাছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা মুল্যের তিন লাখ শলাকা নকল মায়া ব্রান্ডের বিড়ি ও জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত আলিফ ব্রান্ডের বিড়ি জব্দ করেছে কাস্টমস।
এসময় আলিফ বিড়ি কারখানার মালিক মোনায়েম আলী (৫৫) ও তার সহযোগী রাজু মিয়াকে (২৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

মোনায়েম আলী গংগাচড়ার কামদেব গ্ৰামের মৃত মোলতাছেমের ছেলে এবং রাজু মিয়া আরপিএমপি তাজহাটের আরাজিতামপাট গ্ৰামের ইসলামের ছেলে।

এ ব্যাপারে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নকল বিড়ি তৈরি ও জাল ব্যান্ডরোল মজুদ ও ব্যবহার করে অবৈধভাবে ব্যবসা করার অপরাধে আলিফ বিড়ি কারখানার মালিক সহ দুইজনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানায় মামলা দায়ের করা করেছে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট হারাগাছ সার্কেলের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আবু নোমান।

শনিবার আটক দুই জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রংপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে শুক্রবার রাতে হারাগাছ পৌরসভার শহিদের ভাটা এলাকায় হারাগাছ রংপুর সড়ক থেকে ২৭ বস্তা বিড়ি বোঝাই পিকআপ সহ তাদের আটক করা হয়।

মামলার তদন্তকারী অফিসার ও হারাগাছ থানার উপ-পরিদর্শক এসআই কমল মোহন্ত জানান, গংগাচড়ার কামদেব গ্ৰামের মৃত মোলতাছেমের ছেলে ২৯ নং আলিফ বিড়ি কারখানার মালিক মোনায়েম আলী বিপুল পরিমাণ নকল মায়া ব্রান্ডের বিড়ি ও জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত আলিফ ব্রান্ডের বিড়ি উৎপাদন করে। এসব সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে উৎপাদন করা বিড়ি বাজারজাত করার জন্য পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট হারাগাছ সার্কেলের আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে হারাগাছ পৌর শহরের শহিদের ভাটা এলাকায় হারাগাছ-রংপুর সড়কে একটি পিক আপ আটক করে।
পিক আপে তল্লাশি চালিয়ে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা মুল্যের ৩ লাখ শলাকা নকল মায়া বিড়ি ও ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা মুল্যের ৩ লাখ ৭৫ হাজার শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত আলিফ ব্রান্ডের বিড়ি জব্দ করে কাস্টমস।
এসময় আলিফ বিড়ি কারখানার মালিক সহ দুইজনকে আটক করা হয়।

রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানায়, এ ব্যাপারে কাস্টমসের এক্সাইজ ও ভ্যাট হারাগাছ সার্কেলের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আবু নোমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
আটক দুই জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল রংপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জব্দকৃত বিড়ি ও পিক আপ গাড়ী কাস্টমস রংপুর অফিসের হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে মায়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ও মায়া বিড়ি কারখানার পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম মায়া বলেন, কাস্টমস রংপুর সদর ও হারাগাছ সার্কেল এর অধীনে প্রায় দুই শতাধিক ছোট ও মাঝারি নিবন্ধন ও ও অনিবন্ধিত বিড়ি কারখানার অসাধু মালিকরা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে হারাগাছের প্রতিষ্ঠিত মায়া বিড়ি সহ বড় বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের বিড়ি নকল করে দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করে আছে। এতে করে প্রতিষ্ঠিত বিড়ি কারখানাগুলোর উৎপাদন কমে গেছে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব।
তিনি বলেন, সরকারি রাজস্ব আদায় বাড়াতে এবং রাজস্ব প্রদান করে এমন প্রতিষ্ঠিত কারখানাগুলোর উৎপাদন রক্ষায় জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার ও নকল বিড়ি উৎপাদন কারী অসাধু কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন