ঢাকা ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লালমনিরহাটের

হাতীবান্ধায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে রাজী না হওয়ায় স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে রাজী না হওয়ায় স্ত্রীর গলা চেপে ধরে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মজনু মিয়া নামে একজনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৬ জুলাই) এবিষয়ে ভুক্তভোগীর পিতা আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে দুই জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযুক্ত মজনু মিয়ার ওই উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী মোক্তার পাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের পুত্র।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায় প্রায় পনেরো বছর আগে ওইবউপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে আজিমা বেগমের সাথে মোক্তার পাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে মজনু মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি ছেলের সন্তানও রয়েছে। মজনু মিয়া অন্য নারী আসক্ত হওয়ায় বিয়ের ৬ মাস পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে তার স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার শুরু করেন। এনিয়ে কয়েকবার গ্রাম্য সালিশ বৈঠকও হয়।
এদিকে গত ১৩ জুন শশুর বাড়ির দাওয়াতকে কেন্দ্র করে রাতে মজনু মিয়া তার স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে। রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন দুপুরেও মজনু মিয়া তার মায়ের পরামর্শে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করাসহ গলা চেপে ধরে হত্যাচেষ্টা করে। এসময় মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে আজিমা বেগম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে খবর পেয়ে আজিমার চাচা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার কর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।

ভুক্তভোগী আজিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন পর নারী আসক্ত পুরুষ। সবসময়ই অন্য নারীদের সাথে ফোনে কথা বলে, সংসারের কোন ধার ধারেনা। সে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য আমার কাছে অনুমতি চায়। এনিয়ে কিছু বললেই আমার উপর শুরু করে পাষবিক নির্যাতন। আমি তার কঠিন বিচার চাই।
অভিযুক্ত মজনু মিয়া বলেন, এক বছর আগে অন্য মেয়ের সাথে ফোনে কথা বললেও এখন আর বলিনা। পারিবারিক বিষয় নিয়ে গতকাল একটু ঝামেলা হয়েছে।

হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ এরশাদুল আলম বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

সংবাদটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

লালমনিরহাটের

হাতীবান্ধায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে রাজী না হওয়ায় স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

"নিউজ বিজয়: এক দশকের মাইলফলক" প্রকাশিত সময় : ০৬:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে রাজী না হওয়ায় স্ত্রীর গলা চেপে ধরে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মজনু মিয়া নামে একজনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৬ জুলাই) এবিষয়ে ভুক্তভোগীর পিতা আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে দুই জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযুক্ত মজনু মিয়ার ওই উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী মোক্তার পাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের পুত্র।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায় প্রায় পনেরো বছর আগে ওইবউপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে আজিমা বেগমের সাথে মোক্তার পাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে মজনু মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি ছেলের সন্তানও রয়েছে। মজনু মিয়া অন্য নারী আসক্ত হওয়ায় বিয়ের ৬ মাস পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে তার স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার শুরু করেন। এনিয়ে কয়েকবার গ্রাম্য সালিশ বৈঠকও হয়।
এদিকে গত ১৩ জুন শশুর বাড়ির দাওয়াতকে কেন্দ্র করে রাতে মজনু মিয়া তার স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে। রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন দুপুরেও মজনু মিয়া তার মায়ের পরামর্শে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করাসহ গলা চেপে ধরে হত্যাচেষ্টা করে। এসময় মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে আজিমা বেগম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে খবর পেয়ে আজিমার চাচা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার কর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।

ভুক্তভোগী আজিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন পর নারী আসক্ত পুরুষ। সবসময়ই অন্য নারীদের সাথে ফোনে কথা বলে, সংসারের কোন ধার ধারেনা। সে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য আমার কাছে অনুমতি চায়। এনিয়ে কিছু বললেই আমার উপর শুরু করে পাষবিক নির্যাতন। আমি তার কঠিন বিচার চাই।
অভিযুক্ত মজনু মিয়া বলেন, এক বছর আগে অন্য মেয়ের সাথে ফোনে কথা বললেও এখন আর বলিনা। পারিবারিক বিষয় নিয়ে গতকাল একটু ঝামেলা হয়েছে।

হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ এরশাদুল আলম বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন