ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাতীবান্ধায় শিক্ষক-কে অপহরণ ও লাঞ্চিতর অভিযোগের তদন্ত শুরু

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় একজন সিনিয়র শিক্ষককে অপহরণ করে ৫ঘন্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ পুলিশের সহযোগীতায় ফাঁকা চেক ও তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর গ্রহনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ বিভাগ সহ সরকারী একাধিক প্রতিষ্ঠান।

উল্লেখ্য যে, গত ২৬-০৫-২০২২খ্রি: তারিখে কালীগঞ্জ থানাধীন শিয়ালখোওয়া এস সি স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র বি এস সি শিক্ষক জনাব ভরত চন্দ্র রায় কে হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ী ইউনিয়নের বুলুর চৌপথি নামক স্থানে-বয়লার মুরগী ব্যবসায়ী মোহর আলী, সুজন মেম্বার, জসিম মাস্টার, পবিত্র রায়, আশরাফুল ইসলাম সুদখোর সহ আরো ৫/৬ জন রাত আনুমানিক সারে সাত টার সময় সিনেমা স্টাইলে আটক করেন এবং পরে ছাতোরদিঘি নামক স্থানে নিয়ে যায়। উক্তস্থানে ৫ঘন্টা আটকে রেখে জনাব ভরত চন্ত্র রায় কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। ভরত চন্দ্র রায় তেনার আটকের বিষয়টি বোন-জামাই কে মোবেইলে অবগত করেন।

জনাব ভরতের বোন-জামাই বাংলাদেশ পুলিশের সেবা মুলক সার্ভিস ৯৯৯-এ কল দিয়ে সাহায্য চান। ৯৯৯-থেকে হাতীবান্ধা থানায় বিষয়টি জানানো হয়। হাতীবান্ধা থানার এস আই সুকুমার রায় সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ভরত চন্দ্র রায় কে উদ্ধার করতে আসেন। এস আই সুকুমার রায় ভরত চন্দ্র কে উদ্ধারের পরিবর্তে উল্টো অপহরনকারীদের সাথে টাকার বিনিময়ে আতাত করে স্কুল শিক্ষক ভরত চন্দ্র রায় কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ জনতা ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার একটি সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরের ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর ও তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।

ভরত চন্দ্র রায় বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জন-নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সু-বিচার চেয়ে আবেদন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ৯/৭/২০২২খ্রি: তারিখে লালমনিরহাট পুলিশের বি-সার্কেল(অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জনাব তাপস চন্দ্র রায় উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত কার্য শুরু করেন।

একই রাতে ভরত চন্দ্র রায় কে লাঞ্চিত করে আদায়কৃত চেক ও স্টাম্প পেপার হাতীবান্ধার গেন্দুকুড়ির বাসিন্দা মাধব রায় কে প্রদান করেন এস আই সুকুমার সহ অপরাপর অপহরনকারীরা। উল্লেখ্য যে, মাধব চন্দ্র রায়ের নিকট খরত চন্দ্র রায় বার লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা চেক মুলে পাওনা ছিলো।মাধব কর্তৃক যথা সময়ে টাকা পরিশোধ না করায় – ভরত চন্দ্র রায় লালমনিরহাট আদালতের সরনাপন্ন হন এবং এক সময়ে উক্ত মামলার রায় নিজের পক্ষে পেয়ে যান।

বিজ্ঞ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, চেকে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ সহ ১ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড। উল্লেখিত পুলিশের এস আই সুকুমার রায় ও অপরাপর অপহরনকারীরা মাধবের হয়ে ভরত চন্দ্র রায় কে আটক করে চেক ও স্ট্যাম্প পেপারে জোড়পূর্বক স্বাক্ষর গ্রহণ করিয়ে নেন। ঘটনার শেষে স,আই সুকুমার রায় ও অপহরনকারীরা সহ একটি খিচুরী পার্টের আয়োজন করেন, যাহার সম্পূর্ণ খরচ বহন করেন অভিযুক্ত মাধব চন্দ্র রায়।

এদিকে দূর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত কাজে মাঠে নেমেছে । তাছাড়া ঈদুল আযাহার পর আই,জি মহোদয়ের টিম কর্তৃক তদন্ত হওয়ার কথা আছে বলে- বিশ্বস্ত সুত্রে জানাগেছে।

সুত্র-ক্রাইমবার্তা

সংবাদটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইতিহাসের এই দিনে: ৭ ফেব্রুয়ারি-২০২৫

হাতীবান্ধায় শিক্ষক-কে অপহরণ ও লাঞ্চিতর অভিযোগের তদন্ত শুরু

"নিউজ বিজয়: এক দশকের মাইলফলক" প্রকাশিত সময় : ০৮:৩১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জুলাই ২০২২

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় একজন সিনিয়র শিক্ষককে অপহরণ করে ৫ঘন্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ পুলিশের সহযোগীতায় ফাঁকা চেক ও তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর গ্রহনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ বিভাগ সহ সরকারী একাধিক প্রতিষ্ঠান।

উল্লেখ্য যে, গত ২৬-০৫-২০২২খ্রি: তারিখে কালীগঞ্জ থানাধীন শিয়ালখোওয়া এস সি স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র বি এস সি শিক্ষক জনাব ভরত চন্দ্র রায় কে হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ী ইউনিয়নের বুলুর চৌপথি নামক স্থানে-বয়লার মুরগী ব্যবসায়ী মোহর আলী, সুজন মেম্বার, জসিম মাস্টার, পবিত্র রায়, আশরাফুল ইসলাম সুদখোর সহ আরো ৫/৬ জন রাত আনুমানিক সারে সাত টার সময় সিনেমা স্টাইলে আটক করেন এবং পরে ছাতোরদিঘি নামক স্থানে নিয়ে যায়। উক্তস্থানে ৫ঘন্টা আটকে রেখে জনাব ভরত চন্ত্র রায় কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। ভরত চন্দ্র রায় তেনার আটকের বিষয়টি বোন-জামাই কে মোবেইলে অবগত করেন।

জনাব ভরতের বোন-জামাই বাংলাদেশ পুলিশের সেবা মুলক সার্ভিস ৯৯৯-এ কল দিয়ে সাহায্য চান। ৯৯৯-থেকে হাতীবান্ধা থানায় বিষয়টি জানানো হয়। হাতীবান্ধা থানার এস আই সুকুমার রায় সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ভরত চন্দ্র রায় কে উদ্ধার করতে আসেন। এস আই সুকুমার রায় ভরত চন্দ্র কে উদ্ধারের পরিবর্তে উল্টো অপহরনকারীদের সাথে টাকার বিনিময়ে আতাত করে স্কুল শিক্ষক ভরত চন্দ্র রায় কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ জনতা ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার একটি সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরের ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর ও তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।

ভরত চন্দ্র রায় বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জন-নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সু-বিচার চেয়ে আবেদন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ৯/৭/২০২২খ্রি: তারিখে লালমনিরহাট পুলিশের বি-সার্কেল(অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জনাব তাপস চন্দ্র রায় উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত কার্য শুরু করেন।

একই রাতে ভরত চন্দ্র রায় কে লাঞ্চিত করে আদায়কৃত চেক ও স্টাম্প পেপার হাতীবান্ধার গেন্দুকুড়ির বাসিন্দা মাধব রায় কে প্রদান করেন এস আই সুকুমার সহ অপরাপর অপহরনকারীরা। উল্লেখ্য যে, মাধব চন্দ্র রায়ের নিকট খরত চন্দ্র রায় বার লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা চেক মুলে পাওনা ছিলো।মাধব কর্তৃক যথা সময়ে টাকা পরিশোধ না করায় – ভরত চন্দ্র রায় লালমনিরহাট আদালতের সরনাপন্ন হন এবং এক সময়ে উক্ত মামলার রায় নিজের পক্ষে পেয়ে যান।

বিজ্ঞ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, চেকে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ সহ ১ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড। উল্লেখিত পুলিশের এস আই সুকুমার রায় ও অপরাপর অপহরনকারীরা মাধবের হয়ে ভরত চন্দ্র রায় কে আটক করে চেক ও স্ট্যাম্প পেপারে জোড়পূর্বক স্বাক্ষর গ্রহণ করিয়ে নেন। ঘটনার শেষে স,আই সুকুমার রায় ও অপহরনকারীরা সহ একটি খিচুরী পার্টের আয়োজন করেন, যাহার সম্পূর্ণ খরচ বহন করেন অভিযুক্ত মাধব চন্দ্র রায়।

এদিকে দূর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত কাজে মাঠে নেমেছে । তাছাড়া ঈদুল আযাহার পর আই,জি মহোদয়ের টিম কর্তৃক তদন্ত হওয়ার কথা আছে বলে- বিশ্বস্ত সুত্রে জানাগেছে।

সুত্র-ক্রাইমবার্তা