
হাতীবান্ধা উপজেলায় সরকারিভাবে ঘোষণা করা মৎস্য অভয়াশ্রম চিলা খাল নদী। কর্তৃপক্ষের ‘নজরদারি না থাকার’ কারণে মৎস্য অভয়াশ্রমগুলোতে প্রতিনিয়তই বিষাক্ত ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ শিকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভয়াশ্রমটিতে বাঁশের খুঁটির উপর লাল পতাকার নিশানা দিয়ে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে, যেখানে ‘মৎস্য অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিষিদ্ধ’ লেখা রয়েছে। মৎস্য অভয়াশ্রম নির্ধারিত এলাকার বাইরে মৎস্য সংরক্ষণ আইন মেনে চলারও জন্যও বলা হয়। মৎস্য সংরক্ষণ আইন অমান্যকারীর জেল কিংবা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে বলেও ওই সাইনবোর্ডে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছের পাশাপাশি সরকারিভাবে অভয়াশ্রমগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। লক্ষ্য অভয়াশ্রমগুলো বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছের আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তোলা। স্থানীয়দের ভাষ্য, এসব মৎস্য অভয়াশ্রমগুলো দেখভালের জন্য উপজেলা মৎস্য বিভাগ স্থানীয়ভাবে একটি কমিটি গঠন করেছে; কিন্তু সে কমিটির লোকজন অভয়াশ্রমের কোনো দেখভাল করেন না। সরকারি নিয়মানুযায়ী মৎস্য অভয়াশ্রমে আশ্রয় নেওয়া মা মাছসহ যেকোন ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। অথচ এসব অভয়াশ্রমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কারেন্ট জাল, চায়না জাল, বেড় জাল,টেপাই জাল, ভেসাল জাল,খরা জাল, হাজারি ছিপ দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ শিকার করা হচ্ছে। তাছাড়াও রাতে অভয়াশ্রমটিতে প্রবেশ করে লক্ষ টাকা খরচ করে দেয়া বাঁশের খুটিসহ মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। এসব অভয়াশ্রমে টেংরা, বোয়াল, আইর, শোল, চিংড়ি, পুঁটি, বাইম, রাণি, পলি, মেনি, বাতাশি, টাকিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আশ্রয় নেয়। সাধারণত মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত এসকল দেশিয় প্রজাতির মাছ ডিম ছাড়ে। ডিম ফুটে যেসব রেনু বের হয় সেগুলো বড় হয়ে প্রকৃতিতে মাছের ভারসাম্য রক্ষা করে। অথচ সুকশৌলে এসব ডিমওয়ালা মা মাছ অবাধে শিকার করা হচ্ছে। খাল পাড়ের বাসিন্দা আমিনুর রহমান, ্ জানান, মৎস্য অভয়াশ্রমের তীর ঘেঁষে যারা বসবাস করে তাদের মধ্যে একটি মহল ও কিছু স্থানীয় অসাধু মৎস্যজীবীদের সহযোগিতায় রাতের আঁধারে অভয়াশ্রমে মা ও পোনা মাছ শিকার করছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
মোঃ নজরুল ইসলাম / নিউজ বিজয়