লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়ন পরিনত হয়েছে মাদকের আখড়ায়।
স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য বিক্রি করে আসছে ওই এলাকার কথিত মাদক সম্রাট আব্দুস সালাম ও তার সহযোগীরা ।
কথিত মাদক বিক্রেতা আঃ সালাম ওই ইউনিয়নের দইখাওয়া গ্রামের টেকনিক্যাল কলেজ এলাকার আকবার আলীর ছেলে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সালাম গত দুই বছর আগেও ছিলো একজন দিনমজুর। মাদক বিক্রি করে এখন সে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন, এলাকায় নামে বেনামে কিনেছেন একরের পর একর জমি। মাদক পরিবহনের জন্য কিনেছেন দশটির ও অধিক মোটরসাইকেল। আছে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস।
জানা যায় জেলা কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডারে কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করেছেন একটি আলিশান বাড়ী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, ছালাম কথিত মাদকের বিরাট এক ডিলার। তার বাড়ীতে প্রতিদিন দূর দুরান্ত থেকে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০টি মোটর সাইকেলে করে লোকজন আসে মাদক ক্রয় ও সেবনের উদ্দ্যেশে।
হাতীবান্ধা থানা পুলিশ, স্থানীয় চেয়ারম্যান, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, এমনকি কতিপয় সাংবাদিকও নিয়মিত মাসোয়ারা নেয় এ মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দাবী স্থানীয়দের।
তারা আরও জানান,কথিত মাদককারবারী আঃ ছালাম দুই বছর আগে একবার মাদক বিক্রির অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জেল থেকে ফিরে এসে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সে। বর্তমানে তার কারনে হাতের লাগালে মাদক পেয়ে স্থানীয় অনেক কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের ছেলেরাও জড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে এ মরন নেশায়।
স্থানীয়দের দাবী দ্রুত এই কথিত মাদক সম্রাট আঃ ছালামকে আটক করে আইনের আওতায় আনা না গেলে মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা পাবে না গোতামারী ইউনিয়ন সহ পুরো হাতীবান্ধা উপজেলা।
কথিত মাদক ব্যবসায়ী সালাম মুঠোফোনে জানান, এলাকার কিছু ব্যক্তি শত্রুতাবসত আমার নামে এসব ছড়াচ্ছে। আমি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নই। আপনি আমার এলাকায় আসেন সরাসরি কথা বলবো।
এ বিষয়ে গোতামারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা বলেন, আঃ সালাম একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। তাকে ধরার জন্য হাতীবান্ধা থানার ওসিকে আমি রিকুয়েস্ট করেছি। মাসোয়ারার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, মাঝে মধ্যে গ্রাম পুলিশ দিয়ে এলাকায় টহল জোরদার করিয়েছি যেন বাইরের মোটরসাইকেল আরোহীরা মাদক সেবন করতে না আসতে পারে। তাই মাদককারবারীরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম মাসোহারার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার থানার কেউ টাকা নেয় না। যদি থানার পুলিশের নাম করে কেউ একাজ করে, অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মাদক ব্যবসায়ী সালামের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।