লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আওয়ামীলীগ নেতার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হাতীবান্ধা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোমের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ভেসে উঠতে দেখ যায়া ‘জয় বাংলা, ছাত্রলীগ আবার ফিরবে’। ডিসপ্লেতে ‘জয় বাংলা, ছাত্রলীগ আবার ফিরবে’ প্রদর্শনের ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা ঝড় বইছে।
গতকাল রবিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার প্রাইম ব্যাংক এলাকায় হাতীবান্ধা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম এর ডিজিটাল সাইনবোর্ডে এ লেখা ভেসে ওঠে। এ ঘটনার পর প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে উপজেলা ছাত্র শিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, এক সময়ের জাতীয় পার্টির সক্রিয় রাজনীতি করা মোস্তাাফিজুর রহমান মঞ্জু বিগত সরকারের আমলে দল পরিবর্তন করে আওয়ামীলীগে যোগ দেন এবং উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। জনসমর্থন না থাকায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হেরে যান তিনি। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারি সহ কয়েকজন ব্যবসায়িকে শেয়ার নিয়ে হাতীবান্ধা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম গড়ে তুলেন। সরকার পতনের পর তিনি এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেন।
রাতে ক্লিনিকের ডিজিটাল স্ক্রিনে ‘জয় বাংলা, ছাত্রলীগ আবার ফিরবে’ লেখা প্রদর্শনের প্রতিবাদে হাতীবান্ধা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম এর সামনে বিক্ষোভ কারীরা সন্দেহ পোষণ করে বলেন, ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগীরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার আহবান জানান তারা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সাফায়াতুল করিম বলেন, হাতীবান্ধায় অস্তিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির এটি গোপন স্বরযন্ত্রের অংশ। জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাই। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে ছাত্রজনতা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
হাতীবান্ধা উপজেলার সাবেক শিবির সভাপতি গোলাম আজম বলেন, আওয়ামীলীগ নেতার প্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নাম ভেসে বেড়াবে এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়। আমরা প্রতিবাদ করেছি এবং প্রশাসন যেন তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওয়াতায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রুবেল ইসলাম বলেন, কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সজাগ আছে। কিন্তু দুষ্কৃতিকারীরা পরিকল্পিত ভাবে রাতের আঁধারে এটা করেছে।
হাতীবান্ধা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জুর সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। আমার কোন ঠ্যাকা পড়েছে।আওয়ামীলীগের সাথে আমার ১ বছর ধরে কোন উঠাবসা নেই সেখানে আবার ছাত্রলীগ।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহামুদুন নবী বলেন, ঘটনাটি শোনার পর পরেই সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম, ওই ঘটনায় একটি জিডি করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন