বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, হাজি সেলিম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সগৌরবে বীরদর্পে ঢাকা বিমানবন্দর দিয়ে থাইল্যান্ড চলে গেছেন। দুর্নীতির মামলায় হাজি সেলিম আত্মসমর্পণ না করেই দেশ ছেড়েছেন। নির্বিঘ্নে হাজি সেলিমের বিদেশ পাড়ি দেওয়ার ঘটনায় এটাই প্রমাণিত হয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে আদালত অসহায়।
আজ বুধবার প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। আজ সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ প্রেস ব্রিফিং হয়। দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ড নিয়ে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের সাংসদ হাজি সেলিম। গত শনিবার বিকেলে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক যান।
আজকের প্রেস ব্রিফিংয়ে হাজি সেলিমের এই বিদেশে চলে যাওয়ার বিষয় নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন বিএনপি নেতা রিজভী। তিনি বলেন, ‘চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে কথিত দুর্নীতির মিথ্যা মামলায় বন্দী রেখে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ঠেলে দেওয়ার পরও বিদেশে তাঁর চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেওয়া হয় না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বোর্ড এবং তাঁর পরিবার বারবার আবেদন–নিবেদন করলেও বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী-এমপিদের দেশনেত্রীকে নিয়ে উপহাস–কটাক্ষের ধারাবর্ষণ থেমে নেই।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যতবার খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠানোর দাবি উঠেছে, ততবার আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা তারস্বরে চিৎকার করে বলেছেন, দণ্ডিত আসামির দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। অথচ হাজি সেলিমের জন্য সেই সুযোগ কীভাবে হলো? হাজি সেলিমের আইনজীবীর ভাষ্যমতে, তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণেই বিদেশে গিয়েছেন। নিশিরাতের বিনা ভোটের বিতর্কিত আওয়ামী লীগের একজন এমপি যে সুবিধা পেতে পারেন, সর্বাধিক ভোটে বারবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতার ঘোষকের সহধর্মিণী সে সুযোগ পান না।’রিজভী বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের পর আদালত হাজি সেলিমকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। এত দিনে তাঁর থাকার কথা ছিল কারাগারে, এমপি পদ হারানোর কথা ছিল। কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক গেছেন।’ রিজভীর মন্তব্য, অচিরেই হাজি সেলিম রাষ্ট্রীয় ক্ষমাও পেতে পারেন।
নিউজ বিজয়/নজরুল