ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টে হারলেন ড. ইউনূস, দিতে হবে ৫০ কোটি টাকা

ড. মুহাম্মদ ইউনূস- ফাইল ফটো

৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ২০১১-১৩ বর্ষের আয়কর আপিল ফাইল করতে হবে বলে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

হাইকোর্ট জানান, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।

সহকারী অ্যাটর্নী জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা আক্তার জানান, ২০২০ সালের নভেম্বরে ২০১১ থেকে ২০১৩ দুই বছরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট ফাইল করে। পরে ওই নোটিশ কেন বেআইনি বলা হবে না এনিয়ে রুলও জারি করে আদালত। এরপর গত তিন বছরে বিভিন্ন আদালত ঘুরে মামলাটি বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে আসে। সোমবার গ্রামীণ টেলিকমের রিট আবেদন খারিজ করেদেন আদালত। সেই সাথে গ্রামীণ টেলিকমকে আদেশ দেন নিয়ম অনুযায়ী দাবিকৃত আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমা দিয়ে এর পর এনবিআর এর বিরুদ্ধে আয়ক আপিল দায়ের করতে।

আরও পড়ুন >  শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য চাকরির প্রতিশ্রুতি: সারজিস আলম

এর আগের রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্ট জানিয়েছিল ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণ এবং গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন ড. ইউনূস।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান। মামলার নথি অনুসারে, আইএফইডি কর্মকর্তারা ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশকিছু লঙ্ঘন খুঁজে পান। সেই বছরের ১৯ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি। এ ছাড়া, কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনো গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ করা হয়নি।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ফের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ট্রাম্প: বাংলাদেশি জ্যোতিষী

হাইকোর্টে হারলেন ড. ইউনূস, দিতে হবে ৫০ কোটি টাকা

প্রকাশিত সময় :- ০৫:৩৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ২০১১-১৩ বর্ষের আয়কর আপিল ফাইল করতে হবে বলে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

হাইকোর্ট জানান, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।

সহকারী অ্যাটর্নী জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা আক্তার জানান, ২০২০ সালের নভেম্বরে ২০১১ থেকে ২০১৩ দুই বছরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট ফাইল করে। পরে ওই নোটিশ কেন বেআইনি বলা হবে না এনিয়ে রুলও জারি করে আদালত। এরপর গত তিন বছরে বিভিন্ন আদালত ঘুরে মামলাটি বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে আসে। সোমবার গ্রামীণ টেলিকমের রিট আবেদন খারিজ করেদেন আদালত। সেই সাথে গ্রামীণ টেলিকমকে আদেশ দেন নিয়ম অনুযায়ী দাবিকৃত আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমা দিয়ে এর পর এনবিআর এর বিরুদ্ধে আয়ক আপিল দায়ের করতে।

আরও পড়ুন >  ফের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ট্রাম্প: বাংলাদেশি জ্যোতিষী

এর আগের রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্ট জানিয়েছিল ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণ এবং গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন ড. ইউনূস।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান। মামলার নথি অনুসারে, আইএফইডি কর্মকর্তারা ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশকিছু লঙ্ঘন খুঁজে পান। সেই বছরের ১৯ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি। এ ছাড়া, কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনো গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ করা হয়নি।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন