ঢাকা ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ ভালোবাসার মানুষ ছেড়ে গেলে করণীয় কী?

প্রেম ভালোবাসয় পরিপূর্ণ এই পৃথিবী। যেখানে প্রেম আছে সেখানে বিরহ থাকবেই। এটা জেনেও সে ফাঁদে কেউ কেউ ধরা পড়বেন, তাতে আর আশ্চর্য কী!

তবে প্রেমের সময়টা ঠিক যতটা মধুর, ততটাই কষ্টকর হয়ে ওঠে ‘ধোঁকা’ খেলে। বেশ কিছু দিন কান্নাকাটি করে, অনেকেই আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ান, নতুন প্রেমের ফাঁদে পা দেন। কিন্তু সবার জীবনে তেমনটা হয় না। সম্পর্কে যার অনুভূতি যত গভীর, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা তার মনে ততটাই দাগ কাটে। কেউ হতাশ হয়ে পড়লেও সামলে নেন, কেউ আবার অবসাদে ডুবে যান। বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার নজিরও খুব একটা কম নেই।

বিচ্ছেদ কষ্টকর ঠিকই; তবে এটি থেকে বেরিয়ে আসার পথও রয়েছে। এমন সময়ে কী করলে কষ্ট কমানো যেতে পারে, নতুন প্রজন্মের অনেকেই ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রেম খুঁজে নিচ্ছেন। সে ভাবে হয়তো কেউ কাউকে চেনেন না, কিন্তু কিছু দিন কথাবার্তা চলতে না চলতেই অনেকে মানসিক ভাবে সংযুক্ত হয়ে পড়েন অন্য মানুষটির সঙ্গে। সেই মানুষটি আদৌ বিশ্বাসের যোগ্য কি না, তা নিয়ে তলিয়ে ভেবেও দেখেন না। অথচ কিছু দিন পরে দেখা যাচ্ছে, দু-জনে দু-জনের পরিপূরক নয়। বিচ্ছেদ অবধারিত।

তবে অল্প সময়েই অনেকে এমন ভাবে মন দিয়ে বসেন যে, ভাঙন ভীষণ কষ্টকর হয়ে ওঠে। এই সময়ে সাধারণত কয়েকটি কাজ করা যায়। যেমন-

বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো

একলা বসে থাকলেই স্মৃতি মনকে বিষন্ন করে তুলবে। সেই সময়ে আর ফিরবে না ভেবেই দু-চোখ ঝাপসা হয়ে উঠবে। এই সময়টা যথা সম্ভব বন্ধু, আত্মীয়, প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কাটানো দরকার। কোথাও বেরিয়ে আসা, সিনেমা দেখায় ব্যস্ত করে রাখলে, খানিকটা সময় অতীতের স্মৃতি থেকে দূরে থাকা যাবে। তবে, বিষণ্ণ মনে এর কোনওটাই ভালো লাগতে না-ও পারে। তবু বন্ধুদের সঙ্গে কষ্টের কথা ভাগ করে নিলে মন হালকা লাগবে।

নিজেকে বোঝানো

নিজেকে প্রশ্ন করা দরকার, যে মানুষটি কষ্ট দিলেন, তিনি সত্যি কি যোগ্য ছিলেন? তিনি কি সত্যি কোনো দিন ভালোবেসেছিলেন? যদি তা না-ই হয়, তাহলে এই চোখের পানি বা কষ্ট অর্থহীন। জীবনে আবার নতুন কেউ আসবেন। শুধু সেই সময়ের জন্য অপেক্ষ করা প্রয়োজন।

কাজে মন দেওয়া

মানসিক কষ্ট ভোলার অন্যতম উপায় নিজের কাজে মন দেওয়া। নিজেকে সময় দেওয়া। বিচ্ছেদের পরের সময় যতই টালমাটাল হোক না কেন, কর্মজগতে মন দিলে বেশ কিছুটা সময় অন্য সমস্ত দিকগুলো ভুলে থাকা যায়। পেশাজগতে মনঃসংযোগে কাজের উন্নতি হতে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে কাজের জগতে প্রশংসা মিললে, নতুন করে ভালো লাগা তৈরি হবে।

শখ

ছোট থেকে বড় হওয়ার পথে নানা সময়ে নানা রকম শখ তৈরি হয়। অনেক শখ হারিয়েও যায়। জীবনের সেই ভালো লাগা, শখগুলোকে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করা যায়। এই সময়ে ভালো লাগার বিষয়ে ডুবে গেলে ভালো সময় কাটানো সম্ভব। কেউ গান গাইতে ভালবাসেন, কেউ ছবি আঁকতে। কারো যদি ফুলের গাছ ভালো লাগে তিনি বাড়ির একটুকরো অংশে বাগান করায় মন দিতে পারেন। নতুন করে গান শিখতে পারেন। আঁকা শেখাতে পারেন। নিজেকে ভালো দিকগুলোতে ডুবিয়ে রাখলে কষ্ট ভোলা সম্ভব হবে।

যোগাযোগ ছিন্ন করা

বিচ্ছেদের পরেও অনেকে প্রাক্তনের ছবি দেখে নীরবে চোখের পানি ফেলেন। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার গতিবিধি নজরে রাখেন। কিন্তু এগুলো করে কষ্ট কমানো যায় না। যে গিয়েছে তার জন্য মন খারাপ না করে নতুন কিছুতে মন দেওয়া প্রয়োজন। মনের কষ্ট প্রিয় কোনো মানুষকে বলতে পারেন। যদি সমস্ত কথা না বলা যায়, তাহলে ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন। এতে কিছুটা হলেও কষ্ট কমতে পারে।

সময় এ ক্ষেত্রে ক্ষতে প্রলেপ লাগাতে সাহায্য করে। তাই কষ্ট ভোলার জন্য সময় দেওয়া প্রয়োজন। তবে যদি বিচ্ছেদের অভিঘাতে খাওয়া-ঘুম ও দৈনন্দিন জীবনে তার খারাপ প্রভাব পড়তে শুরু করে, তাহলে কাউন্সেলিং জরুরি।
নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

এই প্রথম বাংলাদেশে আনন্দের সঙ্গে দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে: গয়েশ্বর

হঠাৎ ভালোবাসার মানুষ ছেড়ে গেলে করণীয় কী?

প্রকাশিত সময় :- ০২:২৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রেম ভালোবাসয় পরিপূর্ণ এই পৃথিবী। যেখানে প্রেম আছে সেখানে বিরহ থাকবেই। এটা জেনেও সে ফাঁদে কেউ কেউ ধরা পড়বেন, তাতে আর আশ্চর্য কী!

তবে প্রেমের সময়টা ঠিক যতটা মধুর, ততটাই কষ্টকর হয়ে ওঠে ‘ধোঁকা’ খেলে। বেশ কিছু দিন কান্নাকাটি করে, অনেকেই আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ান, নতুন প্রেমের ফাঁদে পা দেন। কিন্তু সবার জীবনে তেমনটা হয় না। সম্পর্কে যার অনুভূতি যত গভীর, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা তার মনে ততটাই দাগ কাটে। কেউ হতাশ হয়ে পড়লেও সামলে নেন, কেউ আবার অবসাদে ডুবে যান। বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার নজিরও খুব একটা কম নেই।

বিচ্ছেদ কষ্টকর ঠিকই; তবে এটি থেকে বেরিয়ে আসার পথও রয়েছে। এমন সময়ে কী করলে কষ্ট কমানো যেতে পারে, নতুন প্রজন্মের অনেকেই ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রেম খুঁজে নিচ্ছেন। সে ভাবে হয়তো কেউ কাউকে চেনেন না, কিন্তু কিছু দিন কথাবার্তা চলতে না চলতেই অনেকে মানসিক ভাবে সংযুক্ত হয়ে পড়েন অন্য মানুষটির সঙ্গে। সেই মানুষটি আদৌ বিশ্বাসের যোগ্য কি না, তা নিয়ে তলিয়ে ভেবেও দেখেন না। অথচ কিছু দিন পরে দেখা যাচ্ছে, দু-জনে দু-জনের পরিপূরক নয়। বিচ্ছেদ অবধারিত।

তবে অল্প সময়েই অনেকে এমন ভাবে মন দিয়ে বসেন যে, ভাঙন ভীষণ কষ্টকর হয়ে ওঠে। এই সময়ে সাধারণত কয়েকটি কাজ করা যায়। যেমন-

বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো

একলা বসে থাকলেই স্মৃতি মনকে বিষন্ন করে তুলবে। সেই সময়ে আর ফিরবে না ভেবেই দু-চোখ ঝাপসা হয়ে উঠবে। এই সময়টা যথা সম্ভব বন্ধু, আত্মীয়, প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কাটানো দরকার। কোথাও বেরিয়ে আসা, সিনেমা দেখায় ব্যস্ত করে রাখলে, খানিকটা সময় অতীতের স্মৃতি থেকে দূরে থাকা যাবে। তবে, বিষণ্ণ মনে এর কোনওটাই ভালো লাগতে না-ও পারে। তবু বন্ধুদের সঙ্গে কষ্টের কথা ভাগ করে নিলে মন হালকা লাগবে।

নিজেকে বোঝানো

নিজেকে প্রশ্ন করা দরকার, যে মানুষটি কষ্ট দিলেন, তিনি সত্যি কি যোগ্য ছিলেন? তিনি কি সত্যি কোনো দিন ভালোবেসেছিলেন? যদি তা না-ই হয়, তাহলে এই চোখের পানি বা কষ্ট অর্থহীন। জীবনে আবার নতুন কেউ আসবেন। শুধু সেই সময়ের জন্য অপেক্ষ করা প্রয়োজন।

কাজে মন দেওয়া

মানসিক কষ্ট ভোলার অন্যতম উপায় নিজের কাজে মন দেওয়া। নিজেকে সময় দেওয়া। বিচ্ছেদের পরের সময় যতই টালমাটাল হোক না কেন, কর্মজগতে মন দিলে বেশ কিছুটা সময় অন্য সমস্ত দিকগুলো ভুলে থাকা যায়। পেশাজগতে মনঃসংযোগে কাজের উন্নতি হতে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে কাজের জগতে প্রশংসা মিললে, নতুন করে ভালো লাগা তৈরি হবে।

শখ

ছোট থেকে বড় হওয়ার পথে নানা সময়ে নানা রকম শখ তৈরি হয়। অনেক শখ হারিয়েও যায়। জীবনের সেই ভালো লাগা, শখগুলোকে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করা যায়। এই সময়ে ভালো লাগার বিষয়ে ডুবে গেলে ভালো সময় কাটানো সম্ভব। কেউ গান গাইতে ভালবাসেন, কেউ ছবি আঁকতে। কারো যদি ফুলের গাছ ভালো লাগে তিনি বাড়ির একটুকরো অংশে বাগান করায় মন দিতে পারেন। নতুন করে গান শিখতে পারেন। আঁকা শেখাতে পারেন। নিজেকে ভালো দিকগুলোতে ডুবিয়ে রাখলে কষ্ট ভোলা সম্ভব হবে।

যোগাযোগ ছিন্ন করা

বিচ্ছেদের পরেও অনেকে প্রাক্তনের ছবি দেখে নীরবে চোখের পানি ফেলেন। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার গতিবিধি নজরে রাখেন। কিন্তু এগুলো করে কষ্ট কমানো যায় না। যে গিয়েছে তার জন্য মন খারাপ না করে নতুন কিছুতে মন দেওয়া প্রয়োজন। মনের কষ্ট প্রিয় কোনো মানুষকে বলতে পারেন। যদি সমস্ত কথা না বলা যায়, তাহলে ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন। এতে কিছুটা হলেও কষ্ট কমতে পারে।

সময় এ ক্ষেত্রে ক্ষতে প্রলেপ লাগাতে সাহায্য করে। তাই কষ্ট ভোলার জন্য সময় দেওয়া প্রয়োজন। তবে যদি বিচ্ছেদের অভিঘাতে খাওয়া-ঘুম ও দৈনন্দিন জীবনে তার খারাপ প্রভাব পড়তে শুরু করে, তাহলে কাউন্সেলিং জরুরি।
নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন