রিনা খান, পরিচিতির জন্য যেন নামটাই যথেষ্ট। ঢালিউডের প্রভাবশালী এই খল অভিনেত্রী নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সম্প্রতি এই অভিনেত্রীকে বিএনপি অফিসে দেখা গেছে। আর কী কারণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, তা পরিস্কার করেছেন এক ভিডিওবার্তার মাধ্যমে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) তিনি বিষয়টি নিয়ে ভিডিওবার্তায় বিস্তারিত কথা বলেন।
রিনা খান বলেন, আমি জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন, জিসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভানেত্রী। আমি বিএনপি করি বলেই আজ আমার এ অবস্থা। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের উৎখাত চেয়েছি, পেয়েছি। ভবিষ্যতে আমরা আর কোনোদিন আমাদের ওপর, কারও ওপর জুলুম করতে না পারে, আমরা সেটাই কামনা করি। আজ আমি খুবই খুশি। খুশিতে আমার কান্না চলে আসছে।
নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি একটি নির্যাতিত সন্তানের মা, আমি অভিনেত্রী সেলিনা সুলতানা রিনা খান। আমি বিএনপি করি বিধায় আমার ছেলে ২০০৯ সালে জার্মান গেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। তার নামে ওয়ারেন্ট বের হয়েছে। আমার ছোট ছেলের পেছনেও পুলিশ লেগেছিল। আমিও ঘরে থাকতে পারতাম না।
কোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারতেন না জানিয়ে প্রভাবশালী এই খল অভিনেত্রী বলেন, বিটিভির কোনো অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা হতো না। এই ফ্যাসিস্ট সরকার যাওয়ার পরে আমরা নতুন করে জীবন পেলাম।
মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে ভিডিওবার্তায় রিনা খান বলেন, আমি আমার ছেলের মামলাটা নিয়ে বিএনপির পার্টি অফিসে এসেছি। আমাদের সালাহউদ্দিন (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) সাহেব আছেন, উনি আমাদের মুরব্বি, আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। যারা বিএনপির রয়েছে তারা সবাই আমাকে অনেক সহায়তা করছেন।
তিনি বলেন, আজ আমি একটা অ্যাপ্লিকেশন (আবেদন) করলাম, আমার ছেলের নামে মামলাটা তুলে নেওয়ার জন্য। আমি অনেক কাজ রেখে সকাল থেকে এসেছি এখানে। স্যার আমাকে অনেক সময় দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সোহাগ মিলন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে অভিষেক ঘটে রিনা খানের। এরপর একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায় নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেন তিনি।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন