বর্তমান সময় বিশেষ করে দেশে সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। সরকারের উন্নয়নের মুল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামভিত্তিক উন্নয়ন। যার ফলে পুরোদেশ আর্থিকভাবে হবে স্বনির্ভর। সরকার চাইছেন গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক। তৃনমুলের উন্নয়নই দেশ গঠনের প্রথম শর্ত। কিন্তু দেশের উপজেলাগুলোর নানা প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা থাকলেও বাস্তবে তা অনেকাংশে সম্ভব হয়নি।
বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভিলেজ ‘এ’ ক্যাটাগরির একটি রাস্তা দীর্ঘ ২০ বছরে ‘এইচবিবি’ রাস্তা থেকে ‘বিসি’ রাস্তায় রূপান্তরিত করেনি। রাস্তাটি নির্মাণের বাস্তবায়নের সমস্ত কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া থাকলেও তা হয়নি। রাস্তাটির আইডি নং-৫০৬১০৪০৪৪, নাম-বিবিএসজি হাই স্কুল থেকে সোনাহার মগড়া (প্রাথমিক বিদ্যালয়) পর্যন্ত। যার দৈর্ঘ্য ১.৬ কি. মি., আর্থেন .৮৪ কি. মি., পেভমেন্ট .৭৬ কি. মি.। রাস্তাটি কার্পেটিং না করায় এ জনপথের বেহাল দশা ও চলাচলে অযোগ্য। রাস্তাটির বিষয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও উপজেলা এলজিইডি বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের টনক নড়েনি।
অন্যদিকে উল্লেখিত বিবিএসজি টু মগড়া (সোনাহার স্কুল) ১.৬ কি. মি. সড়কের মাঝ পথ দিয়ে দক্ষিণ দিকে রয়েছে একটি সংযোগ সড়ক। যা কাজেম আলী ফকির বাড়ির কালভার্ট থেকে শুরু করে আলী আহম্মেদ মেম্বর বাড়ীর কালভার্ট হয়ে আব্দুল হক খান বাড়ির কালভার্ট ব্রিজ পর্যন্ত ১/২ কি. মি. দৈর্ঘ। এই সংযোগ সড়কটি ব্যবহার করে এলাকার ৫০টি পরিবারকে মুল সড়কে উঠতে হয়।
ইতোপূর্বে চাখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দু’টি কালভার্ট তৈরিসহ ৩ বার কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি ভরাটের কাজ করেন। এরপর এ জনপথের আর কোন উন্নয়নের কাজ হয়নি।
এই ২টি রাস্তার চারদিকেই রয়েছে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও হাট। শিক্ষার্থীদের বর্ষা মৌসুমে কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসায় যেতে সমস্যায় পড়তে হয়। এই সময় রাস্তার কিছু অংশ পানিতে ডুবে থাকে। অন্যদিকে কৃষক তাদের শাকসব্জি, ফলমূল ও পান পরিবহন করতে পারছেন না। বর্ষার মৌসুমে রাস্তায় জলাবদ্ধতা ও কাঁদার সৃষ্টি হয়। মুমূর্ষ রোগীকে ভ্যানে করে হাসপাতালে নেয়া অসম্ভব হয়ে পরে। এই জনপথ ২টি সংষ্কার না হওয়ায় গ্রামীবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে আশু সংষ্কারের দাবি জানান।
নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন