ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

https://www.newsbijoy24.com/

সুনামগঞ্জের এক শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টা,আদালতে মামলা দায়ের

প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকায় মোবাইলে ছবি দেখানোর কথা বলে ৪ বছরের এক শিশুকে বসতঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা শিশুটির পিতা নিজে বাদি হয়ে ধর্ষনের চেষ্টাকারী অনিক পাল(১৯)কে আসামী করে গতকাল মঙ্গলবার (০৭/০৬/২০২২ ইং) তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুনামগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নারী ও শিশু নির্যাতন পিটিশন মামলা নং-২৬৬/২২ইং।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষনের চেষ্টাকারী যুবক অনিক পাল জেলার তাহিরপুর উপজেলার তেলিগাঁও গ্রামের শশ্যা পালের ছেলে। মামলার বাদি জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব-বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হলে ও তিনি গত নয়মাস ধরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকায় প্রণয় দাসের বাসার পশ্চিমে এবং পূবর্-ভিটায় ধর্ষনের চেষ্টাকারীরা ভাড়া বাসায় উভয়পক্ষ বসবাস করে আসছিলেন। এদিকে শিশুটির পিতা শহরের রাধানগর পয়েন্টে সেলুনের ব্যবসা করে আসছিলেন। তিনি প্রায় সময়ই দোকানের কাজ সেরে গভীর রাতে বাসায় ফিরতেন। এদিকে অভিযুক্ত অনিক পাল শহরের বাসস্ট্রেন্ডের সিএনজি ওয়ার্কশপে বেতনভূক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়,এই মালিকের বাসায় উভয়পক্ষ ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকার সুবাদে উভয় ভাড়াটিয়ার মধ্যে আসা যাওয়া ও ছিল। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে গত ১১ই মে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় শিশুটির পিতা দোকানে থাকায় এবং মা গৃহ কাজে ব্যস্ত থাকার সুবাদে অভিযুক্ত আসামী অনিক পাল ঐ শিশুটিকে মোবাইলে ছবি দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে তার ভাড়া বাসার রুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে মেঝেতে ফেলে শিশুটির পেন্ট খুলে জোরপূর্বক যৌন নিপীড়নের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত অনিক পাল শিশুটির যৌনাঙ্গের ভেতরে আঙ্গুল ঢুকাইয়া শিশুটিকে রক্তাক্ত করার চেষ্টাকালে শিশুটি চিৎকার শুরু করলে ধর্ষনের চেষ্টাকারী অনিক পাল পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে অভিযুক্ত অনিক পাল শিশুটির মাকে ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং ঘটনাটি প্রকাশ করলে সবাইকে প্রাণে মারার হুমকি ও প্রদান করা হয়। শিশুটির মা তার স্বামী মামলার বাদিকে প্রাণের ভয়ে না জানিয়ে বিষয়টি কয়েকদিন গোপন রাখেন। পরবর্তীতে শিশুটির যৌনাঙ্গ জ¦ালাপোড়া করতে থাকলে শিশুটি একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে বিষয়টি শিশুর পিতার নজরে আসলে শিশুটিকে নিয়ে গত ৬জুন সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অনিক পালের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে মামলা বাদি জানান,একটি অবুঝ শিশুকে কিভাবে অভিযুক্ত আসামী অনিক পাল মোবাইলে ছবি দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালায়। তিনি এই অভিযুক্ত যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে বাসার মালিক প্রণয় দাস জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী জানান,বিঞ্জ আদালত হতে মামলাটি থানায় আসলে তদন্ত সাপেক্ষেদোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

সংবাদটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

দুনিয়া ও আখেরাতের ফেতনা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা

সুনামগঞ্জের এক শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টা,আদালতে মামলা দায়ের

"নিউজ বিজয়: এক দশকের মাইলফলক" প্রকাশিত সময় : ০৭:৩০:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকায় মোবাইলে ছবি দেখানোর কথা বলে ৪ বছরের এক শিশুকে বসতঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা শিশুটির পিতা নিজে বাদি হয়ে ধর্ষনের চেষ্টাকারী অনিক পাল(১৯)কে আসামী করে গতকাল মঙ্গলবার (০৭/০৬/২০২২ ইং) তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুনামগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নারী ও শিশু নির্যাতন পিটিশন মামলা নং-২৬৬/২২ইং।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষনের চেষ্টাকারী যুবক অনিক পাল জেলার তাহিরপুর উপজেলার তেলিগাঁও গ্রামের শশ্যা পালের ছেলে। মামলার বাদি জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব-বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হলে ও তিনি গত নয়মাস ধরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকায় প্রণয় দাসের বাসার পশ্চিমে এবং পূবর্-ভিটায় ধর্ষনের চেষ্টাকারীরা ভাড়া বাসায় উভয়পক্ষ বসবাস করে আসছিলেন। এদিকে শিশুটির পিতা শহরের রাধানগর পয়েন্টে সেলুনের ব্যবসা করে আসছিলেন। তিনি প্রায় সময়ই দোকানের কাজ সেরে গভীর রাতে বাসায় ফিরতেন। এদিকে অভিযুক্ত অনিক পাল শহরের বাসস্ট্রেন্ডের সিএনজি ওয়ার্কশপে বেতনভূক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়,এই মালিকের বাসায় উভয়পক্ষ ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকার সুবাদে উভয় ভাড়াটিয়ার মধ্যে আসা যাওয়া ও ছিল। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে গত ১১ই মে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় শিশুটির পিতা দোকানে থাকায় এবং মা গৃহ কাজে ব্যস্ত থাকার সুবাদে অভিযুক্ত আসামী অনিক পাল ঐ শিশুটিকে মোবাইলে ছবি দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে তার ভাড়া বাসার রুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে মেঝেতে ফেলে শিশুটির পেন্ট খুলে জোরপূর্বক যৌন নিপীড়নের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত অনিক পাল শিশুটির যৌনাঙ্গের ভেতরে আঙ্গুল ঢুকাইয়া শিশুটিকে রক্তাক্ত করার চেষ্টাকালে শিশুটি চিৎকার শুরু করলে ধর্ষনের চেষ্টাকারী অনিক পাল পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে অভিযুক্ত অনিক পাল শিশুটির মাকে ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং ঘটনাটি প্রকাশ করলে সবাইকে প্রাণে মারার হুমকি ও প্রদান করা হয়। শিশুটির মা তার স্বামী মামলার বাদিকে প্রাণের ভয়ে না জানিয়ে বিষয়টি কয়েকদিন গোপন রাখেন। পরবর্তীতে শিশুটির যৌনাঙ্গ জ¦ালাপোড়া করতে থাকলে শিশুটি একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে বিষয়টি শিশুর পিতার নজরে আসলে শিশুটিকে নিয়ে গত ৬জুন সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অনিক পালের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে মামলা বাদি জানান,একটি অবুঝ শিশুকে কিভাবে অভিযুক্ত আসামী অনিক পাল মোবাইলে ছবি দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালায়। তিনি এই অভিযুক্ত যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে বাসার মালিক প্রণয় দাস জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী জানান,বিঞ্জ আদালত হতে মামলাটি থানায় আসলে তদন্ত সাপেক্ষেদোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন