আজ ২০ মার্চ, আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আরও সুখী, কল্যাণময় ও সহানুভূতিশীল বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে দিবসটি পালন করা হয়। এটি মানুষের জীবনে সুখের গুরুত্ব উদযাপন এবং স্বীকৃতি দেওয়ার একটি দিন। এই দিনে ব্যক্তি, সম্প্রদায় ও সংস্থা পর্যায়ে সুখ ও কল্যাণ বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করা হয়।
আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উদযাপনের কিছু উপায়
সুখ ছড়িয়ে দিন : অন্য কারো জন্য ভালো কিছু করতে পারেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিবাচক বার্তা শেয়ার করুন, অথবা সুখ ও ইতিবাচকতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয় কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানের হয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে পারেন।
নিজের সুখের কথা ভাবুন : আপনাকে কী খুশি করে তা নিয়ে ভাবার জন্য সময় নিন এবং সেই বিষয়গুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করুন।
অন্যদের সঙ্গে উদযাপন করুন : বন্ধুবান্ধব, পরিবার বা সহকর্মীদের নিয়ে একসঙ্গে দিনটি উদযাপন করার জন্য সুখকে প্রতিপাদ্য করে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন।
সুখ সম্পর্কে জানুন : সুখ ও সুস্থতা বিষয়ক বই পড়ুন অথবা তথ্যচিত্র দেখুন এবং আপনার অর্জিত নতুন জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারেন।
যেভাবে এলো আন্তর্জাতিক সুখ দিবস
২০১২ সালে জাতিসংঘ ২০ মার্চকে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। টেকসই উন্নয়ন ও বিশ্ব শান্তির প্রচারে সুখ ও কল্যাণের গুরুত্ব স্বীকার করে নিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এই দিবসটি প্রথম ২০১৩ সালে পালিত হয় এবং তারপর থেকে এটি বিশ্বব্যাপী একটি আন্দোলনে পরিণত হয়েছে, যেখানে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ সুখ ও সুস্থতার প্রচারে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন।
সুখ মানুষের মৌলিক অধিকার, এই বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই আন্তর্জাতিক সুখ দিবস পালিত হয়। একইসঙ্গে মনে করা হয় যে, সুখ ও কল্যাণের প্রচার একটি আরও শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই বিশ্বের দিকে পরিচালিত করতে পারে। জীবনে রূপান্তর ঘটাতে এবং পৃথিবীকে সবার জন্য একটি উন্নত স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সুখের শক্তি উদযাপনের দিন এটি।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন