চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ ঘটনায় রবিবার (৫ জুন) বিকেল ৪টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিন শতাধিক।
নিহতের মধ্যে সাতজনের পরিচায় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যান্টেনডেন্টস মো. মনিরুজ্জামান (৩২), নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার আব্দুল রশিদের ছেলে ফায়ার সার্ভিসকর্মী আলা উদ্দিন (৩৬), বাঁশখালী উপজেলার চনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামের বাসিন্দা মমিনুল হক (২৪), একই উপজেলার নানুপুর এলাকার মাহমুদুর রহমানের ছেলে মো. মহিউদ্দীন, ভোলা জেলার হাবিবুর রহমান (২৬), রবিউল আলম (১৯), ডিপোর ফ্রক অপারেটর বাঁশখালীর হাসান আলীর ছেলে তোফায়েল আহমেদ (২২)।
এদিকে অগ্নিদগ্ধদের জরুরি চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালসহ সব হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে আহতদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, ছুটিতে থাকা সব চিকিৎসক-নার্সকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এতোসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত নেই। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ, স্যালাইন, পেইন কিলার নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ করছি সবাইকে। সেই সঙ্গে আশপাশের উপজেলা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসক আনা হয়েছে। তবু চিকিৎসা দিয়ে পেরে উঠছি না আমরা।