সিরাজগঞ্জে শিশুসহ ৩ জনকে হত্যার দায়ে ২ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং মাদক মামলায় এক মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন পৃথক দুটি আদালত। মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলো সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চালা গ্রামের আঃ মুন্নাফের ছেলে আল আমিন (৩৬) ও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পবাহার নয়াপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০) এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শহিদুল ইসলাম (৩৫) সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোঃ নাজির এক শিশু ও দুই নারীকে হত্যার অভিযোগে ওই দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। ওই আদালতের পিপি গাজী আঃ রহমান সাংবাদিকদের জানান, পরকীয়া প্রেমিক আল আমিন ও তার গাড়ি চালক রবিউল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলার বেতঝুড়ি নতুন বাজারের কাপড়ের দোকানে মোবাইল ফোনে পরকীয়া প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে পরকীয়া প্রেমিকা নাসরিন আক্তার (৩০), তার বোনের শিশুকন্যা জাইমা খাতুন (০৫) ও ফুফু মেহেরুননেছাকে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ হত্যার পর লাশ তিনটি গুম করার উদ্ধেশ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ালের পাশে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। পরদিন পুলিশ বস্তাবন্দি তাদের ভাসমান লাশ উদ্ধারের পর স্বজনরা সনাক্ত করে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ওই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে একই সময় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মোঃ আবুল বাশার মিঞা মাদক মামলায় শহিদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি জেবু ন্নেছা (জেবা রহমান) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার এরান্দহ গস্খাম থেকে শহিদুল ইসলামকে হেরোইনসহ গ্রেফতার করে র্যাব-১২ সদস্যরা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ওই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।