লালমনিরহাট আদিতমারীতে রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মিদের সাথে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মোঃ শামীম কামাল এনডিইউ,এএফডব্লিউসি,পিএসসি,এলএলবি,এমফিল তার নিজ বাসভবনে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থানীয় ইলেকট্রনিক,প্রিন্ট মিডিয়া এবং গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দের মতবিনিময় সভা করেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন,আমি সেনাবাহিনীতে দির্ঘ ৩২ বছর ব্রিডিয়ার জেনারেল পদে চাকুরী অবস্থায় অত্যান্ত সুনাম-খ্যাতি ও গভীর দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করেছি। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সামরিক ও বেসামরিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে চিনে এনডিইউ,ভারতে কমান্ড কোর্স,জার্মানী এবং ফ্রান্সে আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতি ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহন করে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী থেকে শুরু করে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষক হিসেবে ১২ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। এনডিসি একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে দু-বার প্রশিক্ষক এবং এমফিল সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে আমি সামরিক কূটনীতিতে পিএইচডি করছি।
তিনি আরও জানান, তার চাকুরী জীবনে কোন প্রকার অনিয়ম,দুর্নীতি,অসতা,শৃংঙ্খলা,রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড বা নেতিবাচক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলাম না। নিজে একজন সৎ, পেশাদার এবং দেশপ্রেমিক অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।১৯৯০ সালে কমিশন্ডপ্রাপ্তির পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রত্যেকটি পদোন্নতিতে মেধা,জ্ঞান ও উন্নতমানের পেশাগত দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি বোর্ড অত্যান্ত সত্তুষ্টিত্তে আমার পদোন্নতি সর্বসন্মতিক্রমে আনন্দচিত্তে প্রদান করেন। যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন দায়িত্ব -কর্তব্যে আমাকে নিয়োজিত করেন। ইতিমধ্যে ২০১১ সালে আমাকে র্য্যাবে পোস্টিং এর প্রস্তাব করলে আমি প্রত্যাখান করি। ২০১১ সালে ঢাকায় সদর দপ্তর লজিস্টিক এরিয়ার জিএসও-১ পদে নিয়োগ পাই। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন এবং সংবেদনশীল দায়িত্ব। এই দায়িয়ত্ব পালনকালে ঢাকা সন্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) সংস্কার নিয়ে একটি বড় ধরনের এবং নারায়নগঞ্জে সেনাবাহিনীর একটি বড় জায়গায় দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রে ৩শ থেকে ৪শ কোটি টাকার একটি বড় দুর্নীতি সাক্ষ্যপ্রমাণসহ ধরি। এ দুর্নীতির সাথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারেক আহমেদ সিদ্দকীর স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক জড়িত ছিলেন। দেশে যত গুম,খুন ও জুলুম নির্যাতন হয়েছে তার সাথে সে জড়িত ছিল। বিগত ১৫ বছর হাসিনার শাষনামলে সশস্ত্রবাহিনীতে অযোগ্য অফিসারদের পদোন্নতিসহ যত দুর্নীতি হয়েছে তার সাথে মেজর জেনারেল (অবঃ) তারেক আহমেদ জড়িত ছিল। অতিবিলম্বে এই দম্পতির অন্যায়, গুম,খুন ও দুর্নীতির বিচার ও তাদের সম্পত্তি ক্রোক করা প্রয়োজন। এসব বিষয়ে আমি মাথা নত করেনি এবং প্রতিবাদ করায় সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আমি ২০২২ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহন করে। একইসালে রাজনীতিতে ফিরে নির্বাচন করার জন্য আরপিও সংশোধনের জন্য একটি রিট করি।এ অবস্থায় সরকার রিটটি খারিজ করে দেয়। রাজনীতি প্রসঙ্গে বলেন,বাংলাদেশ বিগত ৫৩ বছর রাজনীতি ক্যানভাস অত্যান্ক প্রতিহিংসা, অন্যায়,জুলুম এবং অগণতান্ত্রিকতার ছবি কৈ কিছু না। এদেশের রাজনীতি নেতা এবং পারিবারভিত্তিক।সবার ওপর নেতা, তার নিচে দল এবং সবার নিচে দেশ রাজনীতি বলতে প্রতিপক্ষকে নোংরা ভাষায় আক্রমন নির্যাতন, জেল-জুলুম,দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ এদেশের রাজনীতির চরিত্রটি অত্যন্ত কলংকিত।
এ অবস্থায় উত্তোরনে জন্য ঠিক করেছি আদিতমারী-কালীগঞ্জ দুই উপজেলায় মানুষের ভাগ্যে উন্নয়নের জন্য কাজ করা দরকার। তাই আমি তাদের পাঁশে থাকতে চায়। মরহুম আলহাজ্ব মজিবর রহমানের স্মৃতি প্রসঙ্গে বলেন, তার বাবা এই দুই উপজেলায় পর,পরটানা ৭ বারের সংসদ সদস্য হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন যা সবার কাছে তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান সৎ সংসদ সদস্য জীবনে কাহারো কোন প্রকার ক্ষতি করেনি। সেই বাবার আদর্শকে বুকে ধারন করে রাজনীতি ফিরে এসেছেন এবং তিস্তা মহিপরিকল্পনা নিয়ে তামাশা চলছে। নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহিপরিকল্পনা, লালমনিরহাট বিমান বন্দর চালু করা এবং জেলায় একটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরন জোন নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করতে চান। এজন্য তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে ইচ্ছা পোষন করেছে।
নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন