ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সচল হচ্ছে কুমিল্লা-নোয়াখালীর মোবাইল টাওয়ার

ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের অন্তত ১২ জেলা। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এই জেলার প্রায় সব এলাকা টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ তৎপরতা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকরা।

বিটিআরসির তথ্যমতে, শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত থেকে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে টেলিযোগাযোগ সেবার উন্নতি হতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎসংযোগ ফেরায় সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কও ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া জেলার সংখ্যাও কমেছে।
তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ফেনী। জেলাটিতে অচল হয়ে পড়া মোবাইল টাওয়ারগুলো চেষ্টা করেও সচল করা যাচ্ছে না। উল্টো আরও বেশি সংখ্যক টাওয়ার অচলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলার প্রায় ৯৩ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে উদ্বেগ বাড়ছে মানুষের।

বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের সবশেষ তথ্যমতে, বন্যাকবলিত ১২ জেলার মধ্যে ১০ জেলার কিছু এলাকায় এখনো টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সেগুলো হলো- ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে ফেনী। জেলাটির ৯২ দশমিক ৬ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার বা সাইট এখন অচল। সেখানে থাকা ৬৫৩টি টাওয়ারের মধ্যে ৬০৫টি অচল হয়ে পড়েছে। সচল আছে মাত্র ৪৮টি। সেগুলোও কতক্ষণ সচল রাখা সম্ভব হবে, তা নিয়ে শঙ্কায় অপারেটররা।

গত দুদিন ধরে খারাপ পরিস্থিতি থাকলেও কিছুটা উন্নতি হয়েছে কুমিল্লা ও নোয়াখালীর টেলিযোগাযোগ সেবা। নোয়াখালীর এক হাজার ১৫১টি টাওয়ারের মধ্যে ১৭৫টি এবং কুমিল্লায় ২ হাজার ৫২৯টি টাওয়ারের মধ্যে ২৪৩টি অচল রয়েছে। বাকিগুলো সচল। অচল টাওয়ারগুলোও দ্রুত সচল করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে অপারেটরগুলো।

এছাড়া লক্ষ্মীপুরে ৩৬টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০টি, চট্টগ্রামে ৮৬টি, খাগড়াছড়িতে ৩০টি, হবিগঞ্জে তিনটি, মৌলভীবাজারে ৪০টি এবং সিলেটে ৭টি মোবাইল টাওয়ার অচল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে পাঁচটি ফেনী জেলার প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। ভি-স্যাটগুলো ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখার যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

টেলিকম অপারেটরদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অটুট রেখে পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপ (ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল জেনারেটর ইত্যাদি) রাখার ব্যবস্থা নেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেসসচিব হলেন দুই সাংবাদিক

সচল হচ্ছে কুমিল্লা-নোয়াখালীর মোবাইল টাওয়ার

প্রকাশিত সময় :- ১২:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের অন্তত ১২ জেলা। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এই জেলার প্রায় সব এলাকা টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ তৎপরতা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকরা।

বিটিআরসির তথ্যমতে, শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত থেকে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে টেলিযোগাযোগ সেবার উন্নতি হতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎসংযোগ ফেরায় সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কও ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া জেলার সংখ্যাও কমেছে।
তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ফেনী। জেলাটিতে অচল হয়ে পড়া মোবাইল টাওয়ারগুলো চেষ্টা করেও সচল করা যাচ্ছে না। উল্টো আরও বেশি সংখ্যক টাওয়ার অচলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলার প্রায় ৯৩ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে উদ্বেগ বাড়ছে মানুষের।

বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের সবশেষ তথ্যমতে, বন্যাকবলিত ১২ জেলার মধ্যে ১০ জেলার কিছু এলাকায় এখনো টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সেগুলো হলো- ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে ফেনী। জেলাটির ৯২ দশমিক ৬ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার বা সাইট এখন অচল। সেখানে থাকা ৬৫৩টি টাওয়ারের মধ্যে ৬০৫টি অচল হয়ে পড়েছে। সচল আছে মাত্র ৪৮টি। সেগুলোও কতক্ষণ সচল রাখা সম্ভব হবে, তা নিয়ে শঙ্কায় অপারেটররা।

গত দুদিন ধরে খারাপ পরিস্থিতি থাকলেও কিছুটা উন্নতি হয়েছে কুমিল্লা ও নোয়াখালীর টেলিযোগাযোগ সেবা। নোয়াখালীর এক হাজার ১৫১টি টাওয়ারের মধ্যে ১৭৫টি এবং কুমিল্লায় ২ হাজার ৫২৯টি টাওয়ারের মধ্যে ২৪৩টি অচল রয়েছে। বাকিগুলো সচল। অচল টাওয়ারগুলোও দ্রুত সচল করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে অপারেটরগুলো।

এছাড়া লক্ষ্মীপুরে ৩৬টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০টি, চট্টগ্রামে ৮৬টি, খাগড়াছড়িতে ৩০টি, হবিগঞ্জে তিনটি, মৌলভীবাজারে ৪০টি এবং সিলেটে ৭টি মোবাইল টাওয়ার অচল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে পাঁচটি ফেনী জেলার প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। ভি-স্যাটগুলো ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখার যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

টেলিকম অপারেটরদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অটুট রেখে পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপ (ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল জেনারেটর ইত্যাদি) রাখার ব্যবস্থা নেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন