ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান-ইসরাইল সংঘাত

সংস্কারের অভাবে রাস্তা ধসে যাচ্ছে- চলাচলে হাজার হাজার মানুষের জনদুর্ভোগ

লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের কুমড়ীরহাট হতে কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদগামী ২ কিলোমিটার সড়কটি খানাখন্দে ভরা। রাস্তায় গাড়ি চলে হেলেদুলে। সংস্কারের অভাবে পিচ উঠে বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত হয়ে রাস্তা ধসে যাচ্ছে। চলাচলে হাজার হাজার মানুষের জনদুর্ভোগ।রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়তই আসা-যাওয়া করছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন। ভাঙা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে রিকশা ও অটোরিকশার যাত্রীরা যেমন নাকাল হচ্ছেন, তেমনি প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে রাতে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদগামী একমাত্র রাস্তাটি প্রায় দেড়যুগ থেকে সংস্কারের অভাবে পুরো পাকারাস্তাটি খানাখন্দে ভরা ভেঙ্গে ক্ষত বিক্ষত হয়ে ধসে নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে হাজার হাজার মানুষ, বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যার ফলে জনগন জনদুর্ভোগ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন পাকা রাস্তা সংস্কার করা হলেও অত্র রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে এখন অবহেলায় অযত্নে বেহাল এ দশায় পড়ে আছে।আবার পাশে সতী নদী থাকায় বর্ষাকালে স্রোতের কারনে প্রতি বছর রাস্তা ভেঙ্গে নদী আর রাস্তা এক হয়ে যাচ্ছে। ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে ইউনিয়ন পরিষদগামী একমাত্র প্রধান রাস্তাটি অত্র এলাকার হাজার,হাজার মানুষ চলাচলে দুর্ভোগের চরম পর্যায়ে পড়েছে। রাস্তাটির সমস্যা নিয়ে একাধিকবার প্রতিবেদন প্রকাশসহ বিভিন্নমহল জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও কোন কাজ হয়নি। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচন আসলে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগনের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হলে তারা আর আসেনি।
জানাগেছে, উপজেলা থেকে কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের দুরুত্ব ৭ কিলোমিটার। অন্যদিকে কুমড়ীরহাট থেকে থেকে কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদগামী রাস্তাটির দুরত্ব ৩ কিলোমিটার। তার মধ্যে অনুমানিক ২০০২ সালে ২ কিলোমিটার পাকাকরনের কাজ করা হয়। বাকী ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি আজ পর্যন্ত পাকাকরনে কাজ করা হয়নি। যেটেকু পাকা রাস্তা আছে বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে পুরো রাস্তাটি জরাজীর্ণ, ক্ষত বিক্ষত উচু নিচু হয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়ে অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে থাকে এবং কর্দমাক্তের সৃষ্টি হয়।বর্ষাকালে কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে জনসাধারন চলাচল করছে। এ অবস্থায় আছে যা চলাচলে একেবারে অনপযোগি। বিশেষ এই রাস্তার পাশে একটি সতি নদী প্রবাহিত হয়েছে যা সংস্কারে অভাবে বর্ষাকালে ভেঙ্গে রাস্তাটি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এখন রাস্তাটি ভেঙ্গে নদী আর রাস্তা প্রায় একত্রে হয়ে গেছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ অত্র ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা হলো এটা। প্রতিদিন ট্রাক,রিক্সা ও ভ্যানসহ শত শত বিভিন্ন যানবাহন এবং স্কুল ও কলেজে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। জেলার মধ্যে কমলাবাড়ী ইউনিয়নটি বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপন্ন করে খ্যাতি অর্জন করেছে যা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সবজি রপ্তানি করে থাকেন এখানকার কৃষকরা। যোগাযোগ না থাকায় সবজি কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে রাস্তাটি ক্ষত বিক্ষত হওয়ার কারনে ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারন মানুষ বেশি দামে ভাড়া পোহাতে হচ্ছে।

বিগতদিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন করা হলেও অত্র ইউনিয়নে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেনি। অথচ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের যোগাযোগের জন্য পাকা রাস্তা রয়েছে একমাত্র ব্যতিক্রম কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদটি চলাচলে কাঁচারাস্তা। ইউনিয়ন পরিষদ হল সরকারের একটি গুরুত্বপুর্ন অফিস যা এখানে প্রতিদিন শত শত জনসাধারন বিভিন্ন কাজের জন্য সেবা নিতে আসে।

এলাকবাসীর দাবী রাস্তাটি সংস্কারসহ নদীর পাশে ভাঙ্গারোধে জিও ব্যাগ অথবা বোল্ডার ফেলে মেরামত করতে কর্তূপক্ষের নিকট জোর দাবী করেন।
ভ্যানচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তায় চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হয়। আমরা এই ভাঙ্গা ক্ষত বিক্ষত রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝূঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করি। ভাঙা রাস্তার কারণে গাড়ি প্রায়ই বিকল হয়ে যায়। বেশির ভাগ রাস্তা ভেঙে পিচ উঠে গর্তের কারণে খানাখন্দে ভরা।ভ্যান থেকে যাত্রীদের নামিয়ে তারপর গর্ত পাড় হতে হয়। রাতে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। রাস্তাটি সংস্কার না করার কারনে পুরো রাস্তার ইট পাথর বৃষ্টিতে ধুয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে। দেখার মত কেউ নেই মনে হয় আমরা অন্যদেশে বাস করি। তাই অত্র রাস্তাটি সংস্কার করতে সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।
পথচারী আকতার হোসেন বলেন, গ্রাম হতে বিভিন্ন জায়গায় যেতে এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয় অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। হাঁটতে গেলেই হোঁচট খেতে হয়। এ রাস্তাটি অতিদ্রুত মেরামত করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগীরা।
কমলাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান বলেন, জেলা ও উপজেলাগামী একমাত্র এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য ছোট বড় যানবাহন ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়। রাস্তাটি অতিব জরুরীভাবে সংস্কার করে অত্র এলাকার মানুষের কষ্টলাগব থেকে দুর করতে কর্তূপক্ষের নিকট দাবী করেন।
ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান বলেন,পাকা রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় জনগন চরম ভোগান্তিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে তাছাড়া খানাখন্দের কারনে বর্ষায় রাস্তা ধসে নদীতে চলে যাচ্ছে। অন্যান্য এলাকায় রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন করা হলেও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেনি বলে তিনি জানান।
কমলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ ওমর চিশতি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ হল জনগনের প্রাণ। যেখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ সেবা নিতে আসে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থাটাও খুবই গুরুত্বপুর্ন। কুমড়ীরহাট থেকে কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদগামী রাস্তাটির খুবই খারাপ অবস্থা। বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দে ক্ষত বিক্ষত হয়ে ধসে যাচ্ছে। বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলে অনপযোগি হওয়ায় জনদুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে। অত্র এলাকাটি সবজি উৎপাদনে শ্রেষ্ঠ এলাকা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। তাদের উৎপাদিত সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে থাকে। তাই রাস্তাটি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংস্কার করতে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তূপক্ষের নিকট দাবী করেছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক জানান,অত্র পাকা রাস্তাটি জুন পরবর্তি ২০২৫-২৬ইং অর্থ বছরের রক্ষানাবেক্ষনেরর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে। বাকী কাঁচা রাস্তা অংশে ২.১ কিলোমিটার পাকাকরনের কাজে প্রাক্কলন অনুমোদনের জন্য এলজিইডি দপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে। রাস্তার সাথে নদী প্রবহন থাকায় সড়কটি কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নদী শাষনের ব্যবস্থা গ্রহনে ঐ দপ্তরে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার মা-বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

No description available.

সংস্কারের অভাবে রাস্তা ধসে যাচ্ছে- চলাচলে হাজার হাজার মানুষের জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত সময়:- ০১:২৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের কুমড়ীরহাট হতে কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদগামী ২ কিলোমিটার সড়কটি খানাখন্দে ভরা। রাস্তায় গাড়ি চলে হেলেদুলে। সংস্কারের অভাবে পিচ উঠে বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত হয়ে রাস্তা ধসে যাচ্ছে। চলাচলে হাজার হাজার মানুষের জনদুর্ভোগ।রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়তই আসা-যাওয়া করছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন। ভাঙা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে রিকশা ও অটোরিকশার যাত্রীরা যেমন নাকাল হচ্ছেন, তেমনি প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে রাতে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদগামী একমাত্র রাস্তাটি প্রায় দেড়যুগ থেকে সংস্কারের অভাবে পুরো পাকারাস্তাটি খানাখন্দে ভরা ভেঙ্গে ক্ষত বিক্ষত হয়ে ধসে নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে হাজার হাজার মানুষ, বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যার ফলে জনগন জনদুর্ভোগ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন পাকা রাস্তা সংস্কার করা হলেও অত্র রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে এখন অবহেলায় অযত্নে বেহাল এ দশায় পড়ে আছে।আবার পাশে সতী নদী থাকায় বর্ষাকালে স্রোতের কারনে প্রতি বছর রাস্তা ভেঙ্গে নদী আর রাস্তা এক হয়ে যাচ্ছে। ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে ইউনিয়ন পরিষদগামী একমাত্র প্রধান রাস্তাটি অত্র এলাকার হাজার,হাজার মানুষ চলাচলে দুর্ভোগের চরম পর্যায়ে পড়েছে। রাস্তাটির সমস্যা নিয়ে একাধিকবার প্রতিবেদন প্রকাশসহ বিভিন্নমহল জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও কোন কাজ হয়নি। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচন আসলে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগনের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হলে তারা আর আসেনি।
জানাগেছে, উপজেলা থেকে কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের দুরুত্ব ৭ কিলোমিটার। অন্যদিকে কুমড়ীরহাট থেকে থেকে কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদগামী রাস্তাটির দুরত্ব ৩ কিলোমিটার। তার মধ্যে অনুমানিক ২০০২ সালে ২ কিলোমিটার পাকাকরনের কাজ করা হয়। বাকী ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি আজ পর্যন্ত পাকাকরনে কাজ করা হয়নি। যেটেকু পাকা রাস্তা আছে বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে পুরো রাস্তাটি জরাজীর্ণ, ক্ষত বিক্ষত উচু নিচু হয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়ে অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে থাকে এবং কর্দমাক্তের সৃষ্টি হয়।বর্ষাকালে কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে জনসাধারন চলাচল করছে। এ অবস্থায় আছে যা চলাচলে একেবারে অনপযোগি। বিশেষ এই রাস্তার পাশে একটি সতি নদী প্রবাহিত হয়েছে যা সংস্কারে অভাবে বর্ষাকালে ভেঙ্গে রাস্তাটি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এখন রাস্তাটি ভেঙ্গে নদী আর রাস্তা প্রায় একত্রে হয়ে গেছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ অত্র ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা হলো এটা। প্রতিদিন ট্রাক,রিক্সা ও ভ্যানসহ শত শত বিভিন্ন যানবাহন এবং স্কুল ও কলেজে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। জেলার মধ্যে কমলাবাড়ী ইউনিয়নটি বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপন্ন করে খ্যাতি অর্জন করেছে যা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সবজি রপ্তানি করে থাকেন এখানকার কৃষকরা। যোগাযোগ না থাকায় সবজি কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে রাস্তাটি ক্ষত বিক্ষত হওয়ার কারনে ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারন মানুষ বেশি দামে ভাড়া পোহাতে হচ্ছে।

বিগতদিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন করা হলেও অত্র ইউনিয়নে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেনি। অথচ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের যোগাযোগের জন্য পাকা রাস্তা রয়েছে একমাত্র ব্যতিক্রম কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদটি চলাচলে কাঁচারাস্তা। ইউনিয়ন পরিষদ হল সরকারের একটি গুরুত্বপুর্ন অফিস যা এখানে প্রতিদিন শত শত জনসাধারন বিভিন্ন কাজের জন্য সেবা নিতে আসে।

এলাকবাসীর দাবী রাস্তাটি সংস্কারসহ নদীর পাশে ভাঙ্গারোধে জিও ব্যাগ অথবা বোল্ডার ফেলে মেরামত করতে কর্তূপক্ষের নিকট জোর দাবী করেন।
ভ্যানচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তায় চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হয়। আমরা এই ভাঙ্গা ক্ষত বিক্ষত রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝূঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করি। ভাঙা রাস্তার কারণে গাড়ি প্রায়ই বিকল হয়ে যায়। বেশির ভাগ রাস্তা ভেঙে পিচ উঠে গর্তের কারণে খানাখন্দে ভরা।ভ্যান থেকে যাত্রীদের নামিয়ে তারপর গর্ত পাড় হতে হয়। রাতে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। রাস্তাটি সংস্কার না করার কারনে পুরো রাস্তার ইট পাথর বৃষ্টিতে ধুয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে। দেখার মত কেউ নেই মনে হয় আমরা অন্যদেশে বাস করি। তাই অত্র রাস্তাটি সংস্কার করতে সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।
পথচারী আকতার হোসেন বলেন, গ্রাম হতে বিভিন্ন জায়গায় যেতে এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয় অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। হাঁটতে গেলেই হোঁচট খেতে হয়। এ রাস্তাটি অতিদ্রুত মেরামত করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগীরা।
কমলাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান বলেন, জেলা ও উপজেলাগামী একমাত্র এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য ছোট বড় যানবাহন ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়। রাস্তাটি অতিব জরুরীভাবে সংস্কার করে অত্র এলাকার মানুষের কষ্টলাগব থেকে দুর করতে কর্তূপক্ষের নিকট দাবী করেন।
ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান বলেন,পাকা রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় জনগন চরম ভোগান্তিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে তাছাড়া খানাখন্দের কারনে বর্ষায় রাস্তা ধসে নদীতে চলে যাচ্ছে। অন্যান্য এলাকায় রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন করা হলেও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেনি বলে তিনি জানান।
কমলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ ওমর চিশতি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ হল জনগনের প্রাণ। যেখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ সেবা নিতে আসে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থাটাও খুবই গুরুত্বপুর্ন। কুমড়ীরহাট থেকে কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদগামী রাস্তাটির খুবই খারাপ অবস্থা। বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দে ক্ষত বিক্ষত হয়ে ধসে যাচ্ছে। বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলে অনপযোগি হওয়ায় জনদুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে। অত্র এলাকাটি সবজি উৎপাদনে শ্রেষ্ঠ এলাকা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। তাদের উৎপাদিত সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে থাকে। তাই রাস্তাটি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংস্কার করতে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তূপক্ষের নিকট দাবী করেছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক জানান,অত্র পাকা রাস্তাটি জুন পরবর্তি ২০২৫-২৬ইং অর্থ বছরের রক্ষানাবেক্ষনেরর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে। বাকী কাঁচা রাস্তা অংশে ২.১ কিলোমিটার পাকাকরনের কাজে প্রাক্কলন অনুমোদনের জন্য এলজিইডি দপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে। রাস্তার সাথে নদী প্রবহন থাকায় সড়কটি কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নদী শাষনের ব্যবস্থা গ্রহনে ঐ দপ্তরে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন