ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার উপর আল্লাহর গজব পড়েছে: দুলু

আদিতমারী (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, শেখ হাসিনার উপড় আল্লাহর গজব পড়েছে। হিংসা আর অহমিকা তার এক ঘেয়ামী শাষন ব্যবস্থা ছিল যার কারনে আজ তার পতন হয়েছে। সে ছিল বিশ্বের অন্যতম স্বৈরশাষক। বিরোধী দল দমনে ছিল একমাত্র প্রধান কাজ। যার কারনে আজ বাংলাদেশে ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। আমরা পেয়েছি নতুন স্বাধীনতার সূর্য্যদয়। তিনি মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলা বিএনপি’র আয়োজনে,উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে যৌথ কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য এসব কথা বলেন।
উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমিনুল ইসলামে সভাপতিত্বে অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল,আদিতমারী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সালেকুজ্জামান প্রামাণিক,সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হবিবুর রহমান হবি,পলাশী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হামিদুল ইসলাম,যুবদলের আহবায়ক ইদ্রিস আলী,স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহরিয়ার আলম ও ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল হালিম প্রমূখ। উপজেলা বিএনপির সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সাবেক উপমন্ত্রী বলেন,১৬ বছর তাদের শাষনামলে মসজিদলীগ,মন্দিরলীগ,মুখে লীগ যেখানেই যাবেন শুধু লীগ আর লীগ। পুলিশ,বিজিবি,র্য্যাব,সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সর্বস্তররের আওয়ামীলীগ ছাড়া কিছুই ছিলনা। যা দলীয় করনের মাধ্যমে দুর্নীতি করে দলীয় নেতা-কর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কোটি,কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। শেখ হাসিনার একজন পিয়ন ৪ কোটি টাকার মালিক যদি হয়ে থাকে তাহলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ কত টাকার মালিক এম প্রশ্ন করেন।
যা বিএনপি’র মাঝে এমন ভীত সন্তুষ্ট হয়েছিল যা বিএনপি লোকেরা তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা-হামলা,জমি-জমা, বাড়ীদখলসহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সবাই বলেছিল হাসিনার পতন হবে না। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-ছাত্রীদের উসিলাই হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে।
দুলু বলেন,তিনি যেমন ছিলেন তার সঙ্গ বঙ্গরাও তেমন ছিল। আর নোবেল বিজয়ী ড.ইউনুস ও খালেদা জিয়াকে ভাল লাগত না। ড.ইউনুস পদ্মা ব্রীজে ফেলে দেওয়াসহ তার সমন্ধে নানা সমালোচনার করত। হাসিনা কোনদিনও কোন মানুষের সন্মান করেন নি। অসুস্থ্য খালেদা জিয়াকে মরে যাওয়াকে নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা করতেন। আল্লাহর মাইর দুনিয়ার ভাইর অপরাধ,অহংকার দাম্পিকতায় হাসিনার পতন হয়েছে। আওয়ামীলীগ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে তারা আর কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সামনে নির্বাচনে তাদের প্রার্থী পাওয়া যাবে না। তার অহংকারের জন্য এমন পতন হয়েছে যে এক কাপড় পড়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ১৬ বছর যাবত এই স্বৈরশাষক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের অনেক হাজার,হাজার নেতা খুন ও গুম হয়েছে এবং লাখ, লাখ নেতাকর্মির নামে শত,শত মামলায় স্বীকার হয়ে তারা বাড়ীতে থাকতে পারে নাই এমনি কি তাদের স্ত্রী সন্তানদের সাথে দেখা করতে পারেত না। অবশেষে ছাত্র জনতা ও সাধারন মানুষের আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগষ্ট স্বৈরচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। আওয়ামীলীগের মা হল শেখ হাসিনা আর বিএনপি’র মা হল খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একজন মা কিভাবে তার সন্তানকে রেখে পালিয়ে যায়। অথচ আমাদের নেত্রী অসুস্থ্য খালেদা জিয়াকে সুস্থ্য করতে বিদেশে চিকিৎসার কথা বলে রাজনীতি থেকে দুরে সরে যেতে বলেছিলেন কিন্তু তিনি এদেশের মায়ায় দেশ ত্যাগ করেনি। এ সরকারের আমলে মানুষের কোন ম্বাধিনতা ছিলনা। আমাদের বাক স্বাধিনতা ফিরিয়ে এনে মানুষের কথা বলার সুযোগ অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। যারা আজ তাদের বুকের তাজা রক্তমাখা আত্নত্যাগের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকারের স্বৈরচার হাসিনাকে পতন ঘটাতে শহীদ হয়েছে আমরা ক্ষমতায় গেলে সে সমস্ত বীর ছাত্র নিহত হয়েছে আমরা ক্ষমতায় গেলে তাদেরকে বীর উপাধি দেওয়া হবে। তিনি বলেন বিএনপির মা হল খালেদা জিয়া আর আওয়ামীলীগের মা হল শেখ হাসিনা। একটা মা কখনও সন্তানকে রেখে পালিয়ে যেতে পারে না। আর শেখ হাসিনা তার সন্তানকে রেখে পালিয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে যত খুন,গুম,অন্যায়,অত্যাচার দুর্নীতি হয়েছে তার বিচার করা হবে।
দুলু বলেন, এ দেশ আমাদের সকলের। আওয়ামীলীগ সরকার এদেশ ও দেশের মানুষ কে নিয়ে ভাবেনি। তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল। তারা নিজেদের পকেট ভারী করে দেশটাকে লুটেপুটে শেষ করে দিয়েছে। ছাত্র-জনতা বা বিএনপি’র আন্দোলনে নয়, শেখ হাসিনার উপর আল্লাহর গজব পড়েছে। সেই গজবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা বা বিএনপি’র আন্দোলন ছিলো সেই গজবের উসিলা মাত্র।

তিনি দলীয় নেতাকর্মিদের উদ্দেশ্য বলেন,আমরা যেন আওয়ামীলীগের মত আচরন না হয়।যারা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাপ্রয়োগ করতেছেন সেই সমস্ত দুস্কৃতকারীদের নিয়ে দল করব না। যতই বিশৃংখলা করবেন আইন শৃংখলার উন্নতি হবে না ততদিন বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হবে না। আইন শৃংখলার উন্নতি ভোটের পরিবেশ না হলে কিভাবে ভোট হবে। আর আমরা যদি সে পরিবেশ সৃষ্টি না করি কিভাবে নির্বাচন হবে। যতই দেড়ি করবেন ততই বিএনপি’র জন্য ক্ষমতা যাওয়া দেড়ি হবে। এখনও দেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তাই আমাদেরকে গ্রামে,গ্রামে গিয়ে আইন শৃংখলার উন্নতি এবং প্রশাসনকে তাদদের কাজে সহযোগিতা করতে হবে।
আর দল ক্ষমতায় যেতে ও উন্নয়ন করতে যারা রাস্তায় কাটা হয়ে দাঁড়ায় সেই কাটা কেটে ফেলব। তাই আমরা আগামিতে বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসা নিয়ে একটি আলোকিত বাংলাদেশ ও লালমনিরহাট জেলা চাই যেখানে বৈষম্যহীন, মেধাভিত্তাক, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। এই দেশের মানুষের সকল অধিকার সমান অধিকার থাকবে। সকল মানুষ মাথা উচু করে তাদের দাবী আদায় করে নিতে পারবে এই বাংলাদেশ চাই এটা হল প্রথম বাংলাদেশ, নতুন বাংলাদেশ সে দেশের জন্য এত রক্তপাত উৎসর্গ সে দেশ যেন নষ্ট না করি।
এর আগে সকালে পাটগ্রাম উপজেলা, বিকেলে হাতিবান্ধা উপজেলা,সন্ধায় কালীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

সংবাদটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

মহালছড়ি উপজেলার ক্যায়াংঘাট ইউপি আ.লীগের সা.সম্পাদক আটক

শেখ হাসিনার উপর আল্লাহর গজব পড়েছে: দুলু

"নিউজ বিজয়: এক দশকের মাইলফলক" প্রকাশিত সময় : ০২:১৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আদিতমারী (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, শেখ হাসিনার উপড় আল্লাহর গজব পড়েছে। হিংসা আর অহমিকা তার এক ঘেয়ামী শাষন ব্যবস্থা ছিল যার কারনে আজ তার পতন হয়েছে। সে ছিল বিশ্বের অন্যতম স্বৈরশাষক। বিরোধী দল দমনে ছিল একমাত্র প্রধান কাজ। যার কারনে আজ বাংলাদেশে ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। আমরা পেয়েছি নতুন স্বাধীনতার সূর্য্যদয়। তিনি মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলা বিএনপি’র আয়োজনে,উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে যৌথ কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য এসব কথা বলেন।
উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমিনুল ইসলামে সভাপতিত্বে অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল,আদিতমারী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সালেকুজ্জামান প্রামাণিক,সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হবিবুর রহমান হবি,পলাশী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হামিদুল ইসলাম,যুবদলের আহবায়ক ইদ্রিস আলী,স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহরিয়ার আলম ও ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল হালিম প্রমূখ। উপজেলা বিএনপির সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সাবেক উপমন্ত্রী বলেন,১৬ বছর তাদের শাষনামলে মসজিদলীগ,মন্দিরলীগ,মুখে লীগ যেখানেই যাবেন শুধু লীগ আর লীগ। পুলিশ,বিজিবি,র্য্যাব,সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সর্বস্তররের আওয়ামীলীগ ছাড়া কিছুই ছিলনা। যা দলীয় করনের মাধ্যমে দুর্নীতি করে দলীয় নেতা-কর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কোটি,কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। শেখ হাসিনার একজন পিয়ন ৪ কোটি টাকার মালিক যদি হয়ে থাকে তাহলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ কত টাকার মালিক এম প্রশ্ন করেন।
যা বিএনপি’র মাঝে এমন ভীত সন্তুষ্ট হয়েছিল যা বিএনপি লোকেরা তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা-হামলা,জমি-জমা, বাড়ীদখলসহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সবাই বলেছিল হাসিনার পতন হবে না। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-ছাত্রীদের উসিলাই হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে।
দুলু বলেন,তিনি যেমন ছিলেন তার সঙ্গ বঙ্গরাও তেমন ছিল। আর নোবেল বিজয়ী ড.ইউনুস ও খালেদা জিয়াকে ভাল লাগত না। ড.ইউনুস পদ্মা ব্রীজে ফেলে দেওয়াসহ তার সমন্ধে নানা সমালোচনার করত। হাসিনা কোনদিনও কোন মানুষের সন্মান করেন নি। অসুস্থ্য খালেদা জিয়াকে মরে যাওয়াকে নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা করতেন। আল্লাহর মাইর দুনিয়ার ভাইর অপরাধ,অহংকার দাম্পিকতায় হাসিনার পতন হয়েছে। আওয়ামীলীগ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে তারা আর কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সামনে নির্বাচনে তাদের প্রার্থী পাওয়া যাবে না। তার অহংকারের জন্য এমন পতন হয়েছে যে এক কাপড় পড়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ১৬ বছর যাবত এই স্বৈরশাষক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের অনেক হাজার,হাজার নেতা খুন ও গুম হয়েছে এবং লাখ, লাখ নেতাকর্মির নামে শত,শত মামলায় স্বীকার হয়ে তারা বাড়ীতে থাকতে পারে নাই এমনি কি তাদের স্ত্রী সন্তানদের সাথে দেখা করতে পারেত না। অবশেষে ছাত্র জনতা ও সাধারন মানুষের আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগষ্ট স্বৈরচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। আওয়ামীলীগের মা হল শেখ হাসিনা আর বিএনপি’র মা হল খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একজন মা কিভাবে তার সন্তানকে রেখে পালিয়ে যায়। অথচ আমাদের নেত্রী অসুস্থ্য খালেদা জিয়াকে সুস্থ্য করতে বিদেশে চিকিৎসার কথা বলে রাজনীতি থেকে দুরে সরে যেতে বলেছিলেন কিন্তু তিনি এদেশের মায়ায় দেশ ত্যাগ করেনি। এ সরকারের আমলে মানুষের কোন ম্বাধিনতা ছিলনা। আমাদের বাক স্বাধিনতা ফিরিয়ে এনে মানুষের কথা বলার সুযোগ অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। যারা আজ তাদের বুকের তাজা রক্তমাখা আত্নত্যাগের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকারের স্বৈরচার হাসিনাকে পতন ঘটাতে শহীদ হয়েছে আমরা ক্ষমতায় গেলে সে সমস্ত বীর ছাত্র নিহত হয়েছে আমরা ক্ষমতায় গেলে তাদেরকে বীর উপাধি দেওয়া হবে। তিনি বলেন বিএনপির মা হল খালেদা জিয়া আর আওয়ামীলীগের মা হল শেখ হাসিনা। একটা মা কখনও সন্তানকে রেখে পালিয়ে যেতে পারে না। আর শেখ হাসিনা তার সন্তানকে রেখে পালিয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে যত খুন,গুম,অন্যায়,অত্যাচার দুর্নীতি হয়েছে তার বিচার করা হবে।
দুলু বলেন, এ দেশ আমাদের সকলের। আওয়ামীলীগ সরকার এদেশ ও দেশের মানুষ কে নিয়ে ভাবেনি। তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল। তারা নিজেদের পকেট ভারী করে দেশটাকে লুটেপুটে শেষ করে দিয়েছে। ছাত্র-জনতা বা বিএনপি’র আন্দোলনে নয়, শেখ হাসিনার উপর আল্লাহর গজব পড়েছে। সেই গজবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা বা বিএনপি’র আন্দোলন ছিলো সেই গজবের উসিলা মাত্র।

তিনি দলীয় নেতাকর্মিদের উদ্দেশ্য বলেন,আমরা যেন আওয়ামীলীগের মত আচরন না হয়।যারা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাপ্রয়োগ করতেছেন সেই সমস্ত দুস্কৃতকারীদের নিয়ে দল করব না। যতই বিশৃংখলা করবেন আইন শৃংখলার উন্নতি হবে না ততদিন বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হবে না। আইন শৃংখলার উন্নতি ভোটের পরিবেশ না হলে কিভাবে ভোট হবে। আর আমরা যদি সে পরিবেশ সৃষ্টি না করি কিভাবে নির্বাচন হবে। যতই দেড়ি করবেন ততই বিএনপি’র জন্য ক্ষমতা যাওয়া দেড়ি হবে। এখনও দেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তাই আমাদেরকে গ্রামে,গ্রামে গিয়ে আইন শৃংখলার উন্নতি এবং প্রশাসনকে তাদদের কাজে সহযোগিতা করতে হবে।
আর দল ক্ষমতায় যেতে ও উন্নয়ন করতে যারা রাস্তায় কাটা হয়ে দাঁড়ায় সেই কাটা কেটে ফেলব। তাই আমরা আগামিতে বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসা নিয়ে একটি আলোকিত বাংলাদেশ ও লালমনিরহাট জেলা চাই যেখানে বৈষম্যহীন, মেধাভিত্তাক, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। এই দেশের মানুষের সকল অধিকার সমান অধিকার থাকবে। সকল মানুষ মাথা উচু করে তাদের দাবী আদায় করে নিতে পারবে এই বাংলাদেশ চাই এটা হল প্রথম বাংলাদেশ, নতুন বাংলাদেশ সে দেশের জন্য এত রক্তপাত উৎসর্গ সে দেশ যেন নষ্ট না করি।
এর আগে সকালে পাটগ্রাম উপজেলা, বিকেলে হাতিবান্ধা উপজেলা,সন্ধায় কালীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন