শূন্য থেকে শুরু করে, প্রতিকূল পথ ধরে এই তরুণ এবং উদীয়মান ব্যক্তি সমস্ত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে, কঠোর পরিশ্রম এবং সত্য নিষ্ঠার সাথে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তার লক্ষ্য অর্জন করেছেন। দেশের তরুণ প্রজন্ম যখন মাসিক উপার্জন নিয়ে অব্যাহতভাবে চাকরির নিরাপত্তা অর্জনের জন্য কঠোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন শিহাব আহমেদ উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে সম্মুখে অগ্রসর হয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও সহজতর করেন। তিনি ভিন্ন ধারার দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করছেন এবং একটি শক্তিশালী তথ্য কাঠামো তৈরি করে তরুণ উদ্যোক্তাদের তাদের নিজ ক্ষমতায় সাফল্যের পথ দেখিয়ে চলেছেন।
যাত্রার প্রারম্ভিক গল্প
শিহাব আহমেদ সর্বদা জন-সাধারণকে সাহায্য করতে চেয়েছেন, দেশ ও জনগণের জন্য কিছু করতে এবং আর্থ-সামাজিক প্ল্যাটফর্মের উন্নয়নে অবদান রাখতে চেয়েছেন। ‘এক স্রষ্টার অধীনে এক জাতি’, তার একটি সাধারণ উক্তি। শ্রমজীবী বাবা-মায়ের পরিবারে বেড়ে ওঠা জাওয়াদ সর্বদা নিজের সাম্রাজ্য গড়ার তাগিদে অত্যন্ত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যাক্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন।
কারমাইকেল কলেজ থেকে বৃত্তি নিয়ে তুরস্কে পড়তে গিয়েছিল সে। লেখাপড়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য শিহাব সেখানে উদ্যোক্তা হিসেবে ক্ষুদ্র ব্যবসায় মনোযোগী হয়ে ওঠে। ৮ বছরে ঈর্ষনীয় সম্পদের মালিক হয়ে উঠেছে শিহাব আহমেদ। বিশ্বের ১১টি দেশে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিহাবের ব্যবসা দিনদিন আরও প্রসারিত হচ্ছে।
সুখের সাগরে থেকেও দেশ ও দেশের মানুষকে ভুলে যায়নি শিহাব। শিহাব দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে দারিদ্র্য দূরীকরণসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য বিভিন্নমুখী কার্যক্রম চলমান রেখেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে দেখাতে চেয়েছিলাম, পথ যতই ভঙ্গুর হোক না কেন বা পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, আমাদের সবার শিখতে হবে তা কিভাবে অতিক্রম করতে হয়। আসল বিজয়ীরা হলো তারাই যারা কখনই হার মানে না এবং অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়’।
‘কখনও স্বপ্ন বাস্তবায়নে পিছু হটবেন না’, উক্তির সাথে তিনি স্বপ্ন দেখতেন একজন সফল বহুজাতিক উদ্যোক্তা হওয়ার।
বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে দুই শতাধিক লোকের কর্মশালা এবং তার তত্ত্বাবধানে একটি ঐক্যবদ্ধ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ কাজের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন, ‘জাতি ও ধর্ম নির্বিশেষে, সর্ব সমতায় আমি বিশ্বাস করি বলে আমার প্রতিষ্ঠানে পক্ষপাতিত্বের কোনো স্থান নেই।’ তার কঠোর পরিশ্রম এবং সত্যনিষ্ঠ জীবন একজন সফল ব্যক্তিতের একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। তিনি বহু তরুণকে স্বল্প সময়ে তাদের নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন এবং অনেকের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে সহায়তা করেছেন। তার প্রারম্ভকালীন কোম্পানি এখন দেশব্যাপী প্রসারিত হওয়ার পরিকল্পনাধীন, আগামীর দিনগুলিতে একটি দৃঢ় এবং সুসংহত স্থাপনার প্রত্যাশায় এক অভূতপূর্ব গতিতে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন