ঢাকা ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার জন্য দিতে হবে যেসব তথ্য

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ । ফাইল ছবি

 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় তিন বিভাগের ১৮টি জেলার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তিন বিভাগে ৯ হাজার ৩৩৭ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এসব প্রার্থীদের সরাসরি মৌখিক পরীক্ষার অনুমতি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষায় নানা ধরনের জালিয়াতি হয়েছে এমন শঙ্কা থেকে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। উত্তীর্ণদের নিজ নিজ জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আট ধরনের কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এসব কাগজপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার্থীর তথ্য যাচাই-বাছাই করে সত্যতা মিললেই কেবল মৌলিক পরীক্ষা অনুমতি মিলবে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১০ জানুয়ারির মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাগজপত্র জমা দিতে না পারলে উত্তীর্ণ হলেও ওই প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে কোনো কার্ড (অনুমতিপত্র) দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর। ডিপিইর পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগ) মনীষ চাকমার সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
যেসব তথ্য দিতে হবে

ডিপিইর চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর তিন বিভাগের ১৮ জেলায় অনুষ্ঠিত প্রথম গ্রুপের পরীক্ষায় ফলের ভিত্তিতে সর্বমোট নয় হাজার ৩৩৭ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের আপলোড করা ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব ও স্থানীয় ঠিকানার সপক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান বা পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসহ পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ১০ জানুয়ারির মধ্যে নিজ নিজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে। জমা দেয়া সব কাগজপত্রে ন্যূনতম নবম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তার মাধ্যমে সত্যায়িত করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সব সনদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত) জমা দেয়ার সময় ওইসব কাগজপত্রের মূলকপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে দেখাতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীরা ১০ জানুয়ারির মধ্যে উল্লিখিত কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের অনুকূলে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হবে না।

মৌখিক পরীক্ষার সময় জেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেয়া সব সনদপত্র, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের মূল কপি প্রার্থীকে সঙ্গে আনতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে এবং তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

গত ৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করে তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রার্থী।

গত ২০ ডিসেম্বর রাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন নয় হাজার ৩৩৭ জন। জাতীয় নির্বাচনের পর তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার কথা রয়েছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

সোনাহারের ‘এইচবিবি’ রাস্তা ২০ বছরেও ‘বিসি’ হয়নি 

শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার জন্য দিতে হবে যেসব তথ্য

প্রকাশিত সময় :- ০৮:২২:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় তিন বিভাগের ১৮টি জেলার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তিন বিভাগে ৯ হাজার ৩৩৭ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এসব প্রার্থীদের সরাসরি মৌখিক পরীক্ষার অনুমতি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষায় নানা ধরনের জালিয়াতি হয়েছে এমন শঙ্কা থেকে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। উত্তীর্ণদের নিজ নিজ জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আট ধরনের কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এসব কাগজপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার্থীর তথ্য যাচাই-বাছাই করে সত্যতা মিললেই কেবল মৌলিক পরীক্ষা অনুমতি মিলবে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১০ জানুয়ারির মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাগজপত্র জমা দিতে না পারলে উত্তীর্ণ হলেও ওই প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে কোনো কার্ড (অনুমতিপত্র) দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর। ডিপিইর পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগ) মনীষ চাকমার সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
যেসব তথ্য দিতে হবে

ডিপিইর চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর তিন বিভাগের ১৮ জেলায় অনুষ্ঠিত প্রথম গ্রুপের পরীক্ষায় ফলের ভিত্তিতে সর্বমোট নয় হাজার ৩৩৭ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের আপলোড করা ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব ও স্থানীয় ঠিকানার সপক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান বা পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসহ পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ১০ জানুয়ারির মধ্যে নিজ নিজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে। জমা দেয়া সব কাগজপত্রে ন্যূনতম নবম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তার মাধ্যমে সত্যায়িত করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সব সনদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত) জমা দেয়ার সময় ওইসব কাগজপত্রের মূলকপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে দেখাতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীরা ১০ জানুয়ারির মধ্যে উল্লিখিত কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের অনুকূলে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হবে না।

মৌখিক পরীক্ষার সময় জেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেয়া সব সনদপত্র, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের মূল কপি প্রার্থীকে সঙ্গে আনতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে এবং তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

গত ৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করে তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রার্থী।

গত ২০ ডিসেম্বর রাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন নয় হাজার ৩৩৭ জন। জাতীয় নির্বাচনের পর তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার কথা রয়েছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন