আশুলিয়া, গাজীপুরসহ দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানা শনিবার থেকে খোলার ঘোষণা দিয়েছে বিজিএমইএ। সংগঠনটির এমন ঘোষণার সঙ্গে একমত হয়েছেন শ্রমিকরাও।
শুক্রবার আশুলিয়া এবং গাজীপুরে শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে বিজিএমইএ। পরে সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শ্রমিক নেতারা বলেন, তাদের দাবি যৌক্তিক হলেও এর সমাধান আন্দোলন নয়। দেশের ক্রান্তিকালে শিল্প টিকিয়ে রাখা মূল চ্যালেঞ্জ। কারণ শিল্প না বাঁচলে অনেক শ্রমিক কর্মহীন হবেন এবং দেশের অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়বে।
তারা বলেন, অনেক দাবি মালিকরা মেনে নিয়েছেন। কিছু দাবি মালিক পক্ষ মেনেছে বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বাস পাওয়া গেছে। বাকিগুলো লিখিত দিলে আলোচনা করে সমাধান হবে। তাই আন্দোলন ছেড়ে শ্রমিকদের উচিত কাজে যোগ দেওয়া।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। আশুলিয়া এবং গাজীপুরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা এবং টহল বাড়ানো হবে।
শনিবার থেকে গার্মেন্টসগুলো নিরবিচ্ছিন্নভাবে চালু রাখার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিক সুবিধা পেলে সবচেয়ে খুশি হবেন মালিকরা। কারাখানা চালুর সঙ্গে শ্রমিকদের দাবি মানার প্রক্রিয়াও চালু থাকবে।
টিফিন ভাতা, হাজিরা বোনাস, বেতন বৃদ্ধি, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি, মাতৃত্বকালীন ছুটি, ছাঁটায়ের প্রতিবাদসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছিলেন শ্রমিকেরা।
রপ্তানি বন্ধেও চড়া ইলিশের দামরপ্তানি বন্ধেও চড়া ইলিশের দাম
শ্রমিক ও বহিরাগতদের বিক্ষোভে সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চল বুধবারও বুধবারও অশান্ত ছিল। বিক্ষোভ ও হামলার কারণে ১৬৭টি তৈরি পোশাক কারখানায় বৃহস্পতিবারও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
নিউজবিজয়/এফএইচএন