ঢাকা ০২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান-ইসরাইল সংঘাত

লাশের স্তূপের ভিডিও দেখে ছেলেকে যেভাবে চেনেন হতভাগা মা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, একটির ওপর আরেকটি রক্তাক্ত লাশের স্তূপ করছিলেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পর্দা সরানোর সময় বেরিয়ে আসে এক মৃতদেহের হাত, যা দেখে একজন মা শনাক্ত করেন তার প্রিয় সন্তানকে এবং স্ত্রী তার স্বামীকে। এমনটি ঘটে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার দিনমজুর আবুল হোসেনের ভাগ্যে।

আবুল হোসেনের স্ত্রী লাকী আক্তার জানান, গেল ৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে ব্রাজিলের জার্সি ও লুঙ্গি পরে ছাত্রদের মিছিলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তার স্বামী আবুল হোসেন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এরপর তাকে বিভিন্ন হাসপাতাল, জেলখানাসহ সব জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। ঘটনার প্রায় ২৫ দিন পর ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে নিখোঁজ আবুল হোসেনের মা ছালমা বেগম লাশ শনাক্ত করেন।

ছালমা বেগম দাবি, দ্রুত সময়েরে মধ্যে তার ছেলের লাশ ফেরত যেন দেন তারা। পাশাপাশি দায়ীদের বিচারও দাবি করেন তিনি। নিহত আবুল হোসেনের গ্রামের বাড়ি কুমুলালার মুরাদ নগরের ফুলঘর গ্রামে। তার বাবা মনি মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই পোশাকে সেদিন তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিছু প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন, ভ্যানে থাকা লাশগুলোকে একত্রিত করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী মতিউর রহমান বলেন, ৬ আগস্ট সকালে পুরে যাওয়া চারজনের লাশ শনাক্ত করে স্বজনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো অজ্ঞাত। আগুনে পুড়ে যাওয়া দুজনের বেওয়ারিশ দেহাবশেষ স্থানীয় আমতলা গোরস্থানে কবর দেওয়া হয়েছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার মা-বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

No description available.

লাশের স্তূপের ভিডিও দেখে ছেলেকে যেভাবে চেনেন হতভাগা মা

প্রকাশিত সময়:- ১০:৪৩:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, একটির ওপর আরেকটি রক্তাক্ত লাশের স্তূপ করছিলেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পর্দা সরানোর সময় বেরিয়ে আসে এক মৃতদেহের হাত, যা দেখে একজন মা শনাক্ত করেন তার প্রিয় সন্তানকে এবং স্ত্রী তার স্বামীকে। এমনটি ঘটে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার দিনমজুর আবুল হোসেনের ভাগ্যে।

আবুল হোসেনের স্ত্রী লাকী আক্তার জানান, গেল ৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে ব্রাজিলের জার্সি ও লুঙ্গি পরে ছাত্রদের মিছিলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তার স্বামী আবুল হোসেন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এরপর তাকে বিভিন্ন হাসপাতাল, জেলখানাসহ সব জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। ঘটনার প্রায় ২৫ দিন পর ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে নিখোঁজ আবুল হোসেনের মা ছালমা বেগম লাশ শনাক্ত করেন।

ছালমা বেগম দাবি, দ্রুত সময়েরে মধ্যে তার ছেলের লাশ ফেরত যেন দেন তারা। পাশাপাশি দায়ীদের বিচারও দাবি করেন তিনি। নিহত আবুল হোসেনের গ্রামের বাড়ি কুমুলালার মুরাদ নগরের ফুলঘর গ্রামে। তার বাবা মনি মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই পোশাকে সেদিন তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিছু প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন, ভ্যানে থাকা লাশগুলোকে একত্রিত করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী মতিউর রহমান বলেন, ৬ আগস্ট সকালে পুরে যাওয়া চারজনের লাশ শনাক্ত করে স্বজনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো অজ্ঞাত। আগুনে পুড়ে যাওয়া দুজনের বেওয়ারিশ দেহাবশেষ স্থানীয় আমতলা গোরস্থানে কবর দেওয়া হয়েছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন