বাংলাদেশে চারটি রেলওয়ে বিভাগের মধ্যে অন্যতম হলো লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগ। একটি পূর্ণাঙ্গ রেলওয়ে বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর আশাবাদ ছিল, উত্তরাঞ্চলের রেলযোগাযোগে নতুন যুগ সূচিত হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই বিভাগের সদর ছাড়া বাকি উপজেলার জনগণ এখনো আন্তঃনগর ট্রেন সেবার স্বাদ পায় না।
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম, কালীগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলাগুলো ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অথচ এই বিভাগের অধীনে থাকা পঞ্চগড়ে তিনটি ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়েও রয়েছে একাধিক আন্তঃনগর ট্রেন। সেখানেও রেলওয়ে অবকাঠামো উন্নয়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে।
তাহলে প্রশ্ন জাগে—কেন লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলাগুলোর প্রতি এমন বৈষম্য? রংপুর একটি বিভাগীয় শহর হলেও এখানকার রেল সংযোগ এখনো সীমিত। কুড়িগ্রামের রেললাইন এখনো উন্নয়নের অপেক্ষায়। অথচ চিলাহাটি ও খুলনায় নতুন ট্রেন বাড়ানো নিয়ে ভাবছে রেল মন্ত্রণালয়।
রেলওয়ে বিভাগের দৃষ্টি এবং উন্নয়নের ভারসাম্য কোথায়? একটি বিভাগের নামধারী লালমনিরহাট কেন নিজেই উন্নয়নের বাইরে থাকবে? জনগণের এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে রেল মন্ত্রণালয়কে।
রেলপথ দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সেটি হতে হবে সমানভাবে, সমতাভিত্তিক। রেলওয়ে বিভাগীয় কাঠামোর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হলে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছাতে হবে লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রামসহ প্রতিটি অঞ্চলে।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন