ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পবিত্র ঈদ-উল ফিতর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদ-উল ফিতর। এদিন সব শ্রেণি পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির কোনও স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। এ কঠিন সময়ে লালমনিরহাট জেলার সকল সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গের প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
রোববার (১লা মে) রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী ও হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহাগ এক বানীতে বলেন, মহান আল্লাহ তা-য়ালার দরবারে বিশেষ দোয়া করি যেন আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করি এবং লালমনিরহাট বাসী সহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারোক। এসময় তিনি হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ ও বিশ্ব মুসলমানদের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন। তিনি আরো বলেন মাসব্যাপী কঠোর সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের জীবনে এক স্বগীয় শান্তি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে এই পবিত্র ঈদ-উল ফিতর। ঈদ-উল ফিতরের উৎসব মুসলমানদের নিবিড় ভাতৃত্ববোধ উদ্বুদ্ধ করে। মাসব্যাপী রমজানের আত্মশুদ্ধির মহান দীক্ষার মধ্যে দিয়ে আসে। ঈদুল ফিতরের আনন্দঘন মুহূর্ত দেশের বিদ্যামান ক্রান্তি লগ্নে সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঈদের আনন্দে নিজেদের ভাগ করে নিতে হবে। তাই ঈদ-উল ফিতরের শিক্ষা থেকে আমাদের অঙ্গীকার হোক সকল হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানি থেকে মুক্তি হয়ে ন্যায়, সাম্য ঐক্য, দ্রাতৃত্ব দয়া সহানুভূতি, মানবতাও মহামিলনের এক ঐক্যবদ্ধ ও ভালোবাসা পূর্ন সমাজ এবং দেশ গঠনের জন্য একযোগে কাজকরা।