ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রৌমারীতে সাবেক এমপি-মন্ত্রীর বাড়িতে ত্রাণ ও টাকার খনি

আ’লীগ সকারের পতনের পর উত্তেজিত জনতা কর্তৃক ভাঙচুরের ঘটনায় রৌমারীর সাবেক এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ ও সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়িতে ত্রাণ ও টাকার খনি আবিস্কার করা গেছে। ভাঙচুরের দিন এমপি বিপ্লব হাসান পলাশের বাড়ি থেকে ৩০০ বস্তা ত্রাণের চাল, কয়েক হাজার লিটার সয়াবিন তেল, শুকনো খাবার, নগদ টাকা লুট হয়। প্রতিমন্ত্রী জাকিরের বাড়ি থেকে প্রায় ২৫ কোটি নগদ টাকা ও কয়েক’শ ভরি স্বর্ণের গহনা লুট হওয়ার খবর জানিয়েছে মন্ত্রীর স্বজনরা। এছাড়াও আসবাবপত্র, ডজনখানেক টিভি-ফ্রিজ, ৮টি মোটরসাইকেল, ৩টি ট্রাক, ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১টি ল্যান্ডক্রুজার জেটএক্স গাড়ি ও ১টি মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। অপরদিকে ত্রাণের কম্বল, ত্রাণের কয়েক’শ বান্ডেল ঢেউটিন, করোনার স্যানিটাইজার সামগ্রি ফুটবলসহ খেলার উপকরণ ও মাস্ক লুট হয়ে যায়। প্রশ্ন উঠেছে, এসব সরকারী ত্রাণের চাল, ঢেউটিন এমপি-মন্ত্রীদের বাড়িতে কেন? এত টাকাই বা তারা পেল কোথায়? সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন নির্বাচনী হলফনামায় আয় দেখান, ৫ কোটি ৯ লাখ ৬০ হাজার ৬৩ টাকা। কিন্তু ৫ বছর যেতে না যেতেই তার ৫ কোটি টাকা ফুলেফেঁপে কয়েক হাজার কোটিতে রূপ নিলো কিভাবে?

জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী এলাকায় অবৈধ বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ, টেন্ডারবাজি, জমি দখল, হাটবাজার ইজারা নিয়ন্ত্রণ, নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, মাদক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ, থানায় মামলা নিয়ন্ত্রণ এবং সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ-সবই হতো প্রতিমন্ত্রীর নামে। নামে-বেনামে তার ঢাকায় একাধিক বাড়ি, রংপুরে বাড়ি, কুড়িগ্রাম জেলা শহরে বহুতল বাড়ি, রৌমারীতে দুটি বাড়ি এবং রাজিবপুর উপজেলায়ও রয়েছে একটি বাড়ি। চারটি মার্কেট, সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি দখল করে ৫টি স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। মিল, চাতাল, খামারবাড়ি-সবই আছে তার। যার মূল্য কয়েক শ কোটি টাকা।

এখানেই শেষ নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুরের কিছু মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মাজারও চলে মন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সব বরাদ্দে মন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট সিন্ডিকেটকে কমিশন না দিলে মেলে না সুবিধা। ভিজিডি, ভিজিএফ, সরকারের ঘর বরাদ্দ, টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ সব কর্মসূচির বখরা যায় নেতাদের পকেটে।

স্থানীয়রা বলছেন, আ’লীগের সরকারের আগের মেয়াদে মন্ত্রীর এবং পরিবারের নামে ও বেনামে গড়ে উঠেছে হাজার কোটি টাকার সম্পদ। মন্ত্রীর বাড়ি রৌমারীর মন্ডলপাড়া রূপ নিয়েছে মন্ত্রীপাড়ায়। তার আশীর্বাদপুষ্ট সিন্ডিকেটের অন্তত ১১ জনের বহুতল বাড়ি রয়েছে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানান, ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ও তার আশীর্বাদপুষ্টরা অনেক ভূমি ও সম্পদ দখলের ঘটনায় জড়িয়েছেন। রৌমারী সদর ইউনিয়নের তুরা রোডে সড়ক ও জনপথের (সওজ) ৭০ শতাংশসহ ব্যক্তিমালিকানার কিছু জমি অবৈধভাবে দখল করে ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলে এই দখলের কয়েক মাস পর রাতের আঁধারে সেই সাইনবোর্ড উধাও হয়ে যায়।

এলাকাবাসী আরও জানান, সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনের নামে রৌমারীর চরশৌলমারী ইউনিয়নের ঈদগাহ মাঠ নামক স্থানে প্রায় আড়াই একর জায়গা অধিগ্রহণের জন্য নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সেই জায়গা দখল করে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্টের প্রায় দুই কোটি টাকার জায়গা এখন মন্ত্রীর দখলে। একইভাবে তুরা রোডের গুচ্ছগ্রামে ১৫ শতাংশ, পাশে ২১ শতাংশ ও অপর এক স্থানে ৫০ শতাংশসহ প্রায় দুই একর জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

সদর ইউনিয়নের জন্তিরকান্দা নামক স্থানে সরকারি এক একর জায়গা দখল করে প্রতিমন্ত্রী ‘শিরি অটোরাইস মিল’ নামে শিল্পকারখানা নির্মাণ করেন। এ জমির মূল্য ৩ কোটি টাকা। কর্তিমারী বাজারের সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন ১নং খাস খতিয়ানের ৪ কোটি টাকা মূল্যের ৩২ শতক জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে মার্কেট। রাজিবপুর উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম সংলগ্ন ২ কোটি টাকার সরকারি পুকুরের ২০ শতাংশ জমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে দোকানঘর।

এছাড়াও বন্দবেড় ইউনিয়নের কুটিরচরে এক একর, দইখাওয়া এলাকায় ৫ একর, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা বাজার এলাকায় ১ একর সরকারি জায়গা দখল এবং সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভরাট করে ‘আরব আলী বাবার মাজার’ নির্মাণ করেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। ইছাকুড়ি মহিলা মাদ্রাসা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোসহ জায়গা দখল করে মন্ত্রী গড়ে তোলেন ‘জাকির হোসেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’।

ঠিকাদারদের অভিযোগ, নিজ নির্বাচনি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার, মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন কাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ৩০ শতাংশ হারে ভাগ নিতেন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। সবমিলে গত ৫ বছরে জাকির হোসেন অবৈধ ভূমি দখলসহ কামিয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। এর ফলশ্রুতি শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর ক্ষুব্ধ জনতা তার গাড়ি, বাড়ি. খামার লুটপাট অগ্নিসংযোগ করেন ও অবৈধ দখলকৃত সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করে বসবাস শুরু করেন।

বর্তমানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও সাবেক এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ পলাতক রয়েছেন।

আরও পড়ুন>>>আবু সাঈদ হত্যার জেরে বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের দুই কর্মকর্তা

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেসসচিব হলেন দুই সাংবাদিক

রৌমারীতে সাবেক এমপি-মন্ত্রীর বাড়িতে ত্রাণ ও টাকার খনি

প্রকাশিত সময় :- ০৬:৩৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

আ’লীগ সকারের পতনের পর উত্তেজিত জনতা কর্তৃক ভাঙচুরের ঘটনায় রৌমারীর সাবেক এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ ও সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়িতে ত্রাণ ও টাকার খনি আবিস্কার করা গেছে। ভাঙচুরের দিন এমপি বিপ্লব হাসান পলাশের বাড়ি থেকে ৩০০ বস্তা ত্রাণের চাল, কয়েক হাজার লিটার সয়াবিন তেল, শুকনো খাবার, নগদ টাকা লুট হয়। প্রতিমন্ত্রী জাকিরের বাড়ি থেকে প্রায় ২৫ কোটি নগদ টাকা ও কয়েক’শ ভরি স্বর্ণের গহনা লুট হওয়ার খবর জানিয়েছে মন্ত্রীর স্বজনরা। এছাড়াও আসবাবপত্র, ডজনখানেক টিভি-ফ্রিজ, ৮টি মোটরসাইকেল, ৩টি ট্রাক, ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১টি ল্যান্ডক্রুজার জেটএক্স গাড়ি ও ১টি মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। অপরদিকে ত্রাণের কম্বল, ত্রাণের কয়েক’শ বান্ডেল ঢেউটিন, করোনার স্যানিটাইজার সামগ্রি ফুটবলসহ খেলার উপকরণ ও মাস্ক লুট হয়ে যায়। প্রশ্ন উঠেছে, এসব সরকারী ত্রাণের চাল, ঢেউটিন এমপি-মন্ত্রীদের বাড়িতে কেন? এত টাকাই বা তারা পেল কোথায়? সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন নির্বাচনী হলফনামায় আয় দেখান, ৫ কোটি ৯ লাখ ৬০ হাজার ৬৩ টাকা। কিন্তু ৫ বছর যেতে না যেতেই তার ৫ কোটি টাকা ফুলেফেঁপে কয়েক হাজার কোটিতে রূপ নিলো কিভাবে?

জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী এলাকায় অবৈধ বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ, টেন্ডারবাজি, জমি দখল, হাটবাজার ইজারা নিয়ন্ত্রণ, নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, মাদক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ, থানায় মামলা নিয়ন্ত্রণ এবং সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ-সবই হতো প্রতিমন্ত্রীর নামে। নামে-বেনামে তার ঢাকায় একাধিক বাড়ি, রংপুরে বাড়ি, কুড়িগ্রাম জেলা শহরে বহুতল বাড়ি, রৌমারীতে দুটি বাড়ি এবং রাজিবপুর উপজেলায়ও রয়েছে একটি বাড়ি। চারটি মার্কেট, সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি দখল করে ৫টি স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। মিল, চাতাল, খামারবাড়ি-সবই আছে তার। যার মূল্য কয়েক শ কোটি টাকা।

এখানেই শেষ নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুরের কিছু মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মাজারও চলে মন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সব বরাদ্দে মন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট সিন্ডিকেটকে কমিশন না দিলে মেলে না সুবিধা। ভিজিডি, ভিজিএফ, সরকারের ঘর বরাদ্দ, টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ সব কর্মসূচির বখরা যায় নেতাদের পকেটে।

স্থানীয়রা বলছেন, আ’লীগের সরকারের আগের মেয়াদে মন্ত্রীর এবং পরিবারের নামে ও বেনামে গড়ে উঠেছে হাজার কোটি টাকার সম্পদ। মন্ত্রীর বাড়ি রৌমারীর মন্ডলপাড়া রূপ নিয়েছে মন্ত্রীপাড়ায়। তার আশীর্বাদপুষ্ট সিন্ডিকেটের অন্তত ১১ জনের বহুতল বাড়ি রয়েছে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানান, ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ও তার আশীর্বাদপুষ্টরা অনেক ভূমি ও সম্পদ দখলের ঘটনায় জড়িয়েছেন। রৌমারী সদর ইউনিয়নের তুরা রোডে সড়ক ও জনপথের (সওজ) ৭০ শতাংশসহ ব্যক্তিমালিকানার কিছু জমি অবৈধভাবে দখল করে ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলে এই দখলের কয়েক মাস পর রাতের আঁধারে সেই সাইনবোর্ড উধাও হয়ে যায়।

এলাকাবাসী আরও জানান, সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনের নামে রৌমারীর চরশৌলমারী ইউনিয়নের ঈদগাহ মাঠ নামক স্থানে প্রায় আড়াই একর জায়গা অধিগ্রহণের জন্য নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সেই জায়গা দখল করে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্টের প্রায় দুই কোটি টাকার জায়গা এখন মন্ত্রীর দখলে। একইভাবে তুরা রোডের গুচ্ছগ্রামে ১৫ শতাংশ, পাশে ২১ শতাংশ ও অপর এক স্থানে ৫০ শতাংশসহ প্রায় দুই একর জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

সদর ইউনিয়নের জন্তিরকান্দা নামক স্থানে সরকারি এক একর জায়গা দখল করে প্রতিমন্ত্রী ‘শিরি অটোরাইস মিল’ নামে শিল্পকারখানা নির্মাণ করেন। এ জমির মূল্য ৩ কোটি টাকা। কর্তিমারী বাজারের সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন ১নং খাস খতিয়ানের ৪ কোটি টাকা মূল্যের ৩২ শতক জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে মার্কেট। রাজিবপুর উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম সংলগ্ন ২ কোটি টাকার সরকারি পুকুরের ২০ শতাংশ জমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে দোকানঘর।

এছাড়াও বন্দবেড় ইউনিয়নের কুটিরচরে এক একর, দইখাওয়া এলাকায় ৫ একর, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা বাজার এলাকায় ১ একর সরকারি জায়গা দখল এবং সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভরাট করে ‘আরব আলী বাবার মাজার’ নির্মাণ করেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। ইছাকুড়ি মহিলা মাদ্রাসা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোসহ জায়গা দখল করে মন্ত্রী গড়ে তোলেন ‘জাকির হোসেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’।

ঠিকাদারদের অভিযোগ, নিজ নির্বাচনি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার, মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন কাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ৩০ শতাংশ হারে ভাগ নিতেন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। সবমিলে গত ৫ বছরে জাকির হোসেন অবৈধ ভূমি দখলসহ কামিয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। এর ফলশ্রুতি শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর ক্ষুব্ধ জনতা তার গাড়ি, বাড়ি. খামার লুটপাট অগ্নিসংযোগ করেন ও অবৈধ দখলকৃত সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করে বসবাস শুরু করেন।

বর্তমানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও সাবেক এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ পলাতক রয়েছেন।

আরও পড়ুন>>>আবু সাঈদ হত্যার জেরে বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের দুই কর্মকর্তা

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন