রৌমারীতে শশুর কতৃক পুত্র বধুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী উপজেলাধীন রৌমারী সদর উইনিয়নের চাক্তাবাড়ি কান্দাপাড়া গ্রামে। বাদিনী চাক্তাবাড়ি ঠনঠনি পাড়া গ্রামের মহর আলীর কন্যা মারুফা আকতার অভিযোগ করে বলেন, আজ থেকে ৭ বছর আগে কান্দাপাড়া গ্রামের হযরত আলীর পুত্র আব্দুর রশিদ আলমের সাথে বিবাহ বন্দনে আবদ্দ হন। তার স্বামীর সংসার ভালই চলছিল। এদিকে সাংসারিক অসচ্ছলতার কারণে দুই বছর আগে রোজি-রোজগারের তাগিদে প্রবাসে মালেয়শিয়ায় পাড়ি জমায়। এই সুযোগে লম্পট শশুর হযরত আলী দিনের পর দিন পুত্র বধূকে কুপ্রসÍাব দিয়ে আসতে থাকে। এনিয়ে মারুফা আকতার শশুরের কুপ্রস্তাবের কথা শাশুরী রওশনারা খাতুনকে অবগত করেন।
শাশুরী বিষয়টি অন্য কাউকে বলতে বারণ করেনএবং তার স্বামী হযরত আলীকে সাবধান করে দিবেন বলে জানান। কথায় আছে চোরায় শোনেনা ধর্মের কাহিনী। এদিকে শশুর হযরত আলীর পুত্র বধূর প্রতি লোলুপ দৃষ্টি কিছুতেই দমে থাকেনা। মারুফা আরো বলেন, গত ২৫ জুন ২০২৪ ইং সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকায় তিনি তার শয়ন কক্ষে শুয়ে ছিলেন এমন সময় তার শশুর হযরত আলী ঘরে ঢুকে আমার শরীরের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। আমি চিৎকার দিতে চেষ্টা করিলে আমার মুখে গামছা ঢুকিয়ে চেচামেচি করলে জীবনে মারিয়া ফেলার হুমকি দেয়। এমত অবস্থায় আমাকে ইচ্ছেমত ভোগ করে। এমন ভাবে কয়েক দফা আমার সাথে ভোগ বিলাশে মেতে উঠে। প্রকৃত পক্ষে আমার শশুরের বংশধর খুনি ডাকাত প্রকৃতির লোক।
শশুর কতৃক ধর্ষণের পরে মারুফা ৩ মাসের অন্তসত্তা বুঝতে পেরে বিষয়টি শাশুরী রওশনারা বলেন। পরে শাশুরী রওশনারা মারুফাকে গর্ভপাত করার জোড় তদবির চালান এবং মারুফাকে ওসুধ খাওয়াইয়া গর্ভপাত করান। এর ফলে মারুফা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে রৌমারীসহ ময়মনসিংহ চরপাড়া ফাতিহা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নিযে চিকিৎসা করান। পরে মারুফার বাবা মহর আলী বাদী হয়ে শরীয়ত ও সামাজিক ভাবে শালিশী বৈঠকের জন্য চাক্তাবাড়ি স্বরলিপি যুব সংঘের সভাপতি পল্লি চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, (মাষ্টার) রফিকুল , নুর-ইসলাম, সৃজন মন্ডল ও আব্দুল কায়ু কে বিচার দেন। সভাপতি আমিনুল ইসলাম বিবাদির সাথে আতাত করে বাদিনীকে স্বামী আব্দুর রশিদ আলমকে স্বইচ্ছায় ডির্ভোস পত্রে সহি প্রদান করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বুঝিয়া লইয়া অভিযোগ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেন।
বাদী মারুফা ক্লাব কতৃপক্ষের এমন প্রস্তাব প্রত্যাক্ষাণ করে ধর্ষকের শাস্তির দাবীতে রৌমারী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩৭ তারিখ ২৪-৯-২৪ এব্যাপারে রৌমারী থানা তদন্ত কর্মকর্তা আলহেলাল মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি সামাজিক ও ধর্মীয় ভাবে স্পর্শ কাতর , এব্যাপারে পুলিশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সর্বচ্চ সহযোগিতা করবে।
নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন.