ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রৌমারীতে অসময়ের নদীভাঙন: শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে

রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ গুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ইতোমধ্যে অসময়ের ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার বসতবাড়ীসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুকনো মৌসুমে ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি হারানো শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে দেখার যেন কেউ নেই। বর্তমানের ভাঙ্গনে উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারী,সুখের বাতীসহ এককিলোমিটার জুড়েই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় শাতাধিক বসতবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হওয়ায় বসতবাড়ী হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও পাশে দ্বারায়নি কেউ। অসময়ের ভাঙ্গনে ফসলি জমিসহ, সরকারী, আধাসরকারী, প্রতিষ্ঠান ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে বিলিন হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে কয়েক মাসে যেসব এলাকা বিলীন হয়েছে রৌমারী উপজেলার ইটালুকান্দা, সাহেবের আলগা, চর গেন্দার আলগা, ঘুঘুমারী,খেওয়ারচর, খেদাইমারী, পশ্চিম বাগুয়ারচর,বাইস পাড়া, বলদমারা, পশ্চিম পাখিউড়া, ফলুয়ার চর, পালেরচর, ধনারচর, দিগলাপাড়া, তিনতলী গ্রাম। অপদিকে যেসব এলাকা ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে বাগুয়ারচর, বাইটকামারী, উত্তর খেদাইমারী, দক্ষিণ খেদাইমারী, উত্তর পাখিউড়া, পশ্চিম খনজনমারা, কুঠিরচর, চর বাঘমারা, চর বন্দবেড়, সাহেবের আলগা, গেন্দার আলগা, ধনারচর, দিগলাপাড়া। আর রাজিবপুর উপজেলার উত্তর সাজাই, দক্ষিণ সাজাই, মাধবপুর, কড়াতিপাড়া, রাজিবপুর উপজেলা প্রশাসন, খাদ্য গুদাম, হাসপাতাল, টিএ্যান্ডটি ভবন। মোহনগঞ্জ ইউনিয়নসহ প্রায় ২৫টি গ্রাম ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। এসব এলাকা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ভাঙ্গণ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে সর্বশান্ত পরিবার গুলোর আহাজারী। অসময়ের ভাঙ্গনে সুখের বাতী – ঘুঘুমারীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নদী ভাঙ্গনের কবলে পরায় নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে। নদীর তীরঘেষা অসহায় মানুষ গুলো ভিটামাটি হারিয়ে সড়কের এক কুনে অন্যের বাসঝারে ঘর কাউড়া দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও প্রশাসনিকভাবে কোনপ্রকার আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি কেউ।

এবিষয় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন এই মুর্হুতে কোনপ্রকার বরাদ্দ নেই। তিনি আরও বলেন আমরা এসব এলাকার তালিকা করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি বরাদ্দ আসলেই নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হবে।
নদী ভাঙ্গনের বিষয় চর শৌলমারী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এস এম, সাইদুর রহমান বলেন বলেন
চর শৌলমারী ইউনিয়নটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে দেখার কেউ নেই।

এবিষয় রৌমারী নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল দিও বলেন আমি ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গিয়েছিলাম দেখে আসছি তাদের বসতবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে। এবিষয় আমি আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবগত করেছি।
মাজহারুল ইসলাম

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন

সংবাদটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রৌমারীতে অসময়ের নদীভাঙন: শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে

"নিউজ বিজয়: এক দশকের মাইলফলক" প্রকাশিত সময় : ০৬:২৯:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ গুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ইতোমধ্যে অসময়ের ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার বসতবাড়ীসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুকনো মৌসুমে ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি হারানো শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে দেখার যেন কেউ নেই। বর্তমানের ভাঙ্গনে উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারী,সুখের বাতীসহ এককিলোমিটার জুড়েই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় শাতাধিক বসতবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হওয়ায় বসতবাড়ী হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও পাশে দ্বারায়নি কেউ। অসময়ের ভাঙ্গনে ফসলি জমিসহ, সরকারী, আধাসরকারী, প্রতিষ্ঠান ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে বিলিন হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে কয়েক মাসে যেসব এলাকা বিলীন হয়েছে রৌমারী উপজেলার ইটালুকান্দা, সাহেবের আলগা, চর গেন্দার আলগা, ঘুঘুমারী,খেওয়ারচর, খেদাইমারী, পশ্চিম বাগুয়ারচর,বাইস পাড়া, বলদমারা, পশ্চিম পাখিউড়া, ফলুয়ার চর, পালেরচর, ধনারচর, দিগলাপাড়া, তিনতলী গ্রাম। অপদিকে যেসব এলাকা ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে বাগুয়ারচর, বাইটকামারী, উত্তর খেদাইমারী, দক্ষিণ খেদাইমারী, উত্তর পাখিউড়া, পশ্চিম খনজনমারা, কুঠিরচর, চর বাঘমারা, চর বন্দবেড়, সাহেবের আলগা, গেন্দার আলগা, ধনারচর, দিগলাপাড়া। আর রাজিবপুর উপজেলার উত্তর সাজাই, দক্ষিণ সাজাই, মাধবপুর, কড়াতিপাড়া, রাজিবপুর উপজেলা প্রশাসন, খাদ্য গুদাম, হাসপাতাল, টিএ্যান্ডটি ভবন। মোহনগঞ্জ ইউনিয়নসহ প্রায় ২৫টি গ্রাম ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। এসব এলাকা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ভাঙ্গণ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে সর্বশান্ত পরিবার গুলোর আহাজারী। অসময়ের ভাঙ্গনে সুখের বাতী – ঘুঘুমারীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নদী ভাঙ্গনের কবলে পরায় নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে। নদীর তীরঘেষা অসহায় মানুষ গুলো ভিটামাটি হারিয়ে সড়কের এক কুনে অন্যের বাসঝারে ঘর কাউড়া দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও প্রশাসনিকভাবে কোনপ্রকার আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি কেউ।

এবিষয় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন এই মুর্হুতে কোনপ্রকার বরাদ্দ নেই। তিনি আরও বলেন আমরা এসব এলাকার তালিকা করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি বরাদ্দ আসলেই নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হবে।
নদী ভাঙ্গনের বিষয় চর শৌলমারী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এস এম, সাইদুর রহমান বলেন বলেন
চর শৌলমারী ইউনিয়নটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে দেখার কেউ নেই।

এবিষয় রৌমারী নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল দিও বলেন আমি ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গিয়েছিলাম দেখে আসছি তাদের বসতবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে। এবিষয় আমি আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবগত করেছি।
মাজহারুল ইসলাম

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন