চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত নরসিংদী রেলস্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণীকে হেনস্তা, মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত নারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতার নারীর নাম শিলা আক্তার ওরফে সায়মা।
সোমবার (৩০ মে) নরসিংদীর শিবপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বলেছেন, সম্প্রতি নরসিংদী রেলস্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণীকে হেনস্তা, মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা হয়। এ মামলায় হেনস্তাকারী নারীকে নরসিংদীর শিবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
সায়মার বড় মেয়ে লিজা আক্তার বলেন, ‘আমার ষাটোর্ধ্ব বয়সী মা শিবপুর ইটাখোলার মুন্সি ভার্চর গ্রামে খালার বাড়িতে ছিলেন। রেলওয়ে স্টেশনে তরুণী হেনস্তার বিষয়ে নাকি মা সম্পৃক্ত ছিলেন।
‘রোববার রাত আড়াইটার দিকে আমি জানতে পারি মাকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তিন বোন। এর মধ্যে দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট বোন অসুস্থ হওয়ায় মা তাকে নিয়েই উপজেলা মোড়ের পশ্চিম ব্রাহ্মদী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।’
স্টেশনে তরুণীকে হেনস্তাকারী নারী আমার মা না দাবি করে লিজা আক্তার বলেন, তিনি ওই দিন রেলস্টেশনে ছিলেন তা ঠিক আছে। তবে আমি ভাইরাল ভিডিওটি দেখেছি, তাতে আমার মাকে দেখা যায়নি।’
তরুণী হেনস্তা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপপরিদর্শক হারুনুজ্জামান রুমেল বলেন, ‘র্যাব-১১ এর সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
উল্লেখ্য, ১৮ মে সকালে নরসিংদী রেলস্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন দুই তরুণ ও এক তরুণী। মেয়েটির পরনে ছিল জিনস প্যান্ট ও শর্ট টপ। এ পোশাকে দেখে স্টেশনে অবস্থানরত এক নারী প্রথমে ওই তরুণীকে আঘাত করেন। পরে আরও কয়েকজন ব্যক্তি তার ওপর হামলার চেষ্টা চালান।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী তখন দৌড়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে আশ্রয় নিয়ে তাকে বাঁচানোর অনুরোধ করেন। পরে স্টেশন মাস্টারের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়া হয়।