ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দানকারীরা বিনা টিকিটের যাত্রী কোন আইনে?

রেলমন্ত্রীর পরিচয় দেয়ার পরও টিটিই মো. শফিকুল ইসলাম বুঝতে পারেননি তারা বিনা টিকিটের যাত্রী হবেন, আর এটাই বোধকরি স্বাভাবিক। তারপর তারা এসি রুমে বসেছেন, তাদের তো জামাই আদর প্রাপ্য! যেখানে সাধারণ মানুষের একটি টিকিটের জন্য গলদঘর্ম হতে হয় সেখানে তাদের টিকিট লাগবে না- এটা টিটিই বুঝবেন না! যদিও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দানকারীরা অন্য কোন কোন যাত্রীর সিট দখল করে বসেছিলেন? তারা রেলমন্ত্রীর কেমন আত্মীয়? তাদের বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়া যে হক এটা টিটিই বুঝবেন না। তার কতবড় সাহস যে, তাদের জরিমানা করে, শোভন শ্রেণীতে পাঠায়? তবে বিনা টিকিটে এসি কামরা দখলে নেয়া যাত্রীরা তাদের ক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছেন টিটিইকে বরখাস্তের আদেশ পাঠানোর মধ্য দিয়ে। এই বরখাস্তের আদেশ এতটাই জরুরি যে তা মুঠোফোনেই দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন আইনে তারা বিনা টিকিটের যাত্রী? যদি তারা রেলমন্ত্রীর আত্মীয় হন তাহলে কি তারা বিনা টিকিটে রেলে ভ্রমণ করতে পারেন? যদি বিনা টিকিটে চড়তে না দেয়ায় টিটিই বরখাস্ত হয় সেক্ষেত্রে যে প্রশ্নটি বড় আকারে দেখা দেয় তাহলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ কি নিজেদের খেয়াল খুশিমতো সরকারের মন্ত্রীদের পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে? আর রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা তা করতে না দেয়ায় তাদেরকে এরজন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে?
একজন টিটিই কোনো অন্যায় না করেও বরখাস্তের নোটিস পেলেন। সম্প্রতি র‌্যাবের আলোচিত সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করায় ভর্ৎসনা পেয়েছেন। সেই স্ট্যাটাসটি এই ঘটনার সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ। বিসিএস ২৭তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা লিখেছেন, চাকরি জীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশিরভাগই চাকরি জীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই অন্যায়। টিটিইর ক্ষেত্রে কি একই ধরনের ঘটনা ঘটলো না?
কে রেলমন্ত্রীর আত্মীয়- এটা বড় বিষয় নয়, এখানে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, বিনা টিকিটে চড়া কোন আইনে বৈধ? আর রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকিটে চড়া যাবে সেটা কোন আইনে বৈধ? সেক্ষেত্রে রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিতে পারেন এমনদের তালিকা টিটিই’র কাছে থাকতে হবে, নাহলে এই সাধারণ কর্মকর্তা যারা রাষ্ট্রের সেবাখাতে দায়িত্ব পালন করেন, তারা কি করে বুঝবেন? এছাড়া এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করলে দেশের আম-জনতার বুঝতে সুবিধা হবে।

নিউজ বিজয়/নজরুল

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির হাতে ৮ বাংলাদেশী আটক

রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দানকারীরা বিনা টিকিটের যাত্রী কোন আইনে?

প্রকাশিত সময় :- ০২:১১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২

রেলমন্ত্রীর পরিচয় দেয়ার পরও টিটিই মো. শফিকুল ইসলাম বুঝতে পারেননি তারা বিনা টিকিটের যাত্রী হবেন, আর এটাই বোধকরি স্বাভাবিক। তারপর তারা এসি রুমে বসেছেন, তাদের তো জামাই আদর প্রাপ্য! যেখানে সাধারণ মানুষের একটি টিকিটের জন্য গলদঘর্ম হতে হয় সেখানে তাদের টিকিট লাগবে না- এটা টিটিই বুঝবেন না! যদিও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দানকারীরা অন্য কোন কোন যাত্রীর সিট দখল করে বসেছিলেন? তারা রেলমন্ত্রীর কেমন আত্মীয়? তাদের বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়া যে হক এটা টিটিই বুঝবেন না। তার কতবড় সাহস যে, তাদের জরিমানা করে, শোভন শ্রেণীতে পাঠায়? তবে বিনা টিকিটে এসি কামরা দখলে নেয়া যাত্রীরা তাদের ক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছেন টিটিইকে বরখাস্তের আদেশ পাঠানোর মধ্য দিয়ে। এই বরখাস্তের আদেশ এতটাই জরুরি যে তা মুঠোফোনেই দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন আইনে তারা বিনা টিকিটের যাত্রী? যদি তারা রেলমন্ত্রীর আত্মীয় হন তাহলে কি তারা বিনা টিকিটে রেলে ভ্রমণ করতে পারেন? যদি বিনা টিকিটে চড়তে না দেয়ায় টিটিই বরখাস্ত হয় সেক্ষেত্রে যে প্রশ্নটি বড় আকারে দেখা দেয় তাহলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ কি নিজেদের খেয়াল খুশিমতো সরকারের মন্ত্রীদের পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে? আর রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা তা করতে না দেয়ায় তাদেরকে এরজন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে?
একজন টিটিই কোনো অন্যায় না করেও বরখাস্তের নোটিস পেলেন। সম্প্রতি র‌্যাবের আলোচিত সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করায় ভর্ৎসনা পেয়েছেন। সেই স্ট্যাটাসটি এই ঘটনার সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ। বিসিএস ২৭তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা লিখেছেন, চাকরি জীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশিরভাগই চাকরি জীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই অন্যায়। টিটিইর ক্ষেত্রে কি একই ধরনের ঘটনা ঘটলো না?
কে রেলমন্ত্রীর আত্মীয়- এটা বড় বিষয় নয়, এখানে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, বিনা টিকিটে চড়া কোন আইনে বৈধ? আর রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকিটে চড়া যাবে সেটা কোন আইনে বৈধ? সেক্ষেত্রে রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিতে পারেন এমনদের তালিকা টিটিই’র কাছে থাকতে হবে, নাহলে এই সাধারণ কর্মকর্তা যারা রাষ্ট্রের সেবাখাতে দায়িত্ব পালন করেন, তারা কি করে বুঝবেন? এছাড়া এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করলে দেশের আম-জনতার বুঝতে সুবিধা হবে।

নিউজ বিজয়/নজরুল