কুমিল্লার বরুড়ায় মাদ্রাসা থেকে দুই ভাতিজি-ভাগনিকে আনতে গেলে রাস্তা উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে এক গৃহবধূকে (২২) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ধর্ষণের ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম মো. রুবেল (২৮)। তিনি উপজেলার আড্ডা এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় অপর দুই অভিযুক্ত হলেন- একই এলাকার মো. মানিক (৩৩) ও মো. বাপ্পি (২৫)। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল ওই নারীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে বরুড়া উপজেলার আড্ডা বাজারের উত্তর পাশে একটি মাছের খামারে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন বুধবার রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন বলে জানিয়েছেন বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন, স্বামীর বাড়ি থেকে আড্ডা এলাকার পাশাপাশি একটি গ্রামে বাবার বাড়িতে কয়েক দিন আগে তিনি বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ভাতিজি (৬) ও ভাগনিকে (৪) বাড়ি আনতে একটি মাদ্রাসায় যান। মাদ্রাসা ছুটি হলে শিশু দুটিকে নিয়ে ফিরতে আড্ডা এলাকায় অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় ওই তিন যুবক এসে তার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করেন। এ সময় একজন চকলেট কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে দুই শিশুকে অন্যদিকে নিয়ে যান। অপর দুজন গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে আড্ডা বাজারের পাশে একটি মাছের খামারে নিয়ে তিনজন একাধিকবার ধর্ষণ করেন। দুই শিশুকে পাশের একটি জনমানবহীন বাড়িতে আটকে রাখেন তারা।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণকারীরা তাদের মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে ঘটনার কথা কাউকে বললে ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক বলেন, ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে আসামিদের আগে কোনো সম্পর্ক ছিল না। মাদ্রাসা থেকে দুই শিশুকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে লম্পট তিন বন্ধু ওই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার রুবেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে। অপর দুই আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন