পবিত্র রমজান মাস কবে শুরু হবে তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। এরই মধ্যে চলতি বছরের রমজান মাস শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি হিসেব-নিকেশ অনুযায়ী ২০২৩ সালের রমজান মাস ২৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) শুরু হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দৈনিক খালিজ টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের রমজান মাস ২৯ দিন হতে পারে। সেই হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য দিন আগামী ২১ এপ্রিল (শুক্রবার)।
এ বছরের সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দুটি চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে বলেও জানিয়েছেন এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান। এর মধ্যে আমিরাতে আগামী ৫ মে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ এবং আগামী ২৮ অক্টোবর আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
আরবি মাসের শুরু ও শেষ সাধারণত চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। আরবি ক্যালেন্ডারে নবম মাস রমজান। এই মাসের নাম এসেছে আরবি ‘রামাদ’ শব্দ থেকে। এর অর্থ ‘তপ্ত’ বা ‘শুষ্কতা’। রমজান মাস দোয়া কবুলের মাস। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলিমের দোয়া কবুল করা হয়।’
সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান বলেছেন, এ বছর আমিরাতি রোজাদাররা দিনে প্রায় ১৪ ঘণ্টা পানাহার থেকে বিরত থাকবেন। তিনি বলেন, রমজানের শুরুতে মানুষ ১৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট রোজা রাখবে। কিন্তু পবিত্র মাসের শেষের দিকে রোজা প্রায় ১৪ ঘণ্টা ১৩ মিনিট স্থায়ী হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাধারণত ঈদুল ফিতরের ছুটি থাকে ২৯ রমজান থেকে ৩ শাওয়াল পর্যন্ত। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে এ বছর সেটি আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত থাকতে পারে।
এদিন শুধু রমজান ও ঈদুল ফিতরই নয়, ঈদুল আজহার সম্ভাব্য দিনক্ষণও জানিয়েছেন আমিরাতের অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান।
তার মতে, এ বছর আরবি জ্বিলহজ্জ মাসের প্রথম দিন হতে পারে ১৯ জুন, সোমবার। সেক্ষেত্রে আরাফাতের দিন হবে ২৭ জুন এবং ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ২৮ জুন। সেই মোতাবেক, আমিরাতে কোরবানির ঈদের ছুটি থাকতে পারে ২৭ জুন থেকে ৩০ পর্যন্ত।
আরবি মাসের শুরু ও শেষ সাধারণত চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে আরবি মাসের শুরুর বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত পূর্বাভাস দেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে দিন, মাস ও বছর গণনার দুটি পদ্ধতি রয়েছে-সৌর পদ্ধতি ও চান্দ্র পদ্ধতি। সূর্যের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে তৈরি পঞ্জিকাকে বলা হয় সৌর পঞ্জিকা এবং চাঁদের গতিবিধি হিসেব করে তৈরি পঞ্জিকাকে বলা হয় চান্দ্র পঞ্জিকা। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ সৌর পঞ্জিকা অনুসরণ করলেও মধ্যপ্রাচ্যের আরবি ভাষা-ভাষী দেশগুলো চান্দ্র পঞ্জিকা মেনে চলে।