রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে চলছে ভোট গণনার কাজ। ভোট গণনা শেষ হয়েছে, এমন ১০০ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল জানা গেছে।
১০০ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙ্গল প্রতীক) সর্বোচ্চ ৫৯ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল (হাতপাখা) পেয়েছেন ২১ হাজার ১১৬ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন (হাতি) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৮১ ভোট। আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা) ৯ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছেন।
রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল বাতেন।
এ নির্বাচনে ৯ মেয়র প্রার্থীসহ মোট ২৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ৩৩ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ১৮৩ জন এবং ১১ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ৬৮ জন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল (হাতপাখা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান (ডাব), খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল (দেয়াল ঘড়ি), জাসদের শাফিয়ার রহমান (মশাল), জাকের পার্টির খোরশেদ আলাম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন (হাতি) ও মেহেদী হাসান বনি (হরিণ)।
নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন বছর শুধু নির্বাচনী বছরই নয়; দেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবেও চিহ্নিত হতে পারে। ২০২৩ সাল নির্বাচন কমিশন, সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, রাজনৈতিক দল সবার জন্য একটি পরীক্ষার বছর। কারণ ২০২৪ সালের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন হলেও সব প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ২০২৩ সালেই।
একটি অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্নিষ্ট সবার আন্তরিকতা ও নিরপেক্ষতার ওপরই ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। তারা বলছেন, রংপুরের নির্বাচনের মাধ্যমেই ইসি ও সরকারের নিরপেক্ষতা যাচাই হতে পারে।